নদিয়া: প্রতি বছর ঝাঁকে ঝাঁকে ফুটবলার তৈরি হয় শান্তিপুরের প্রত্যন্ত এই গ্রামে। এবারেও আন্ত বিদ্যালয়ে রাজ্য স্তরে পাঁচ প্লেয়ার নদিয়া এবং বর্ধমান জেলার। ৬৮তম রাজ্য স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় এবছরে আবারও প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে শান্তিপুরের পাঁচ জন প্রতিভাবান ফুটবলার।
যার মধ্যে অনূর্ধ্ব ১৭ দলে বর্ধমান জেলা স্কুলের হয়ে রুদ্রনীল ঢঙী এবং অনূর্ধ্ব ১৪ নদিয়া জেলা স্কুলের হয়ে শান্তিপুরের- সৈকত দে (বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়), আনোয়ার সেখ ও রাজ সেখ (দ্বারিকানাথ উচ্চ বিদ্যালয়) এবং বিশাল সরকার (মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়) এবছর প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে।
আরও পড়ুন- চিরাচরিত প্রথা ছেড়ে ভোররাতে ঘুম থেকে উঠবেন দেবী বর্গভীমা, শিহরণ জাগানো কারণ
তারা প্রত্যেকেই বর্তমানে শান্তিপুরের একটি ফুটবল অ্যাকাডেমির ছাত্র। কোচ রাকেশ সাহা জানান, শীত, গ্রীষ্মে বা বর্ষা তাদের সব ছেলেরা ভোর বা বিকেলে প্রমোদনগর ফুটবল ময়দানে ছুটে আসছে জীবনের আসল উদ্দেশে পৌঁছনোর নেশায়।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগের বছরেও তাদের চারজন খেলোয়াড় সোহম ঘোষ, সুরেশ সর্দার, শুভঙ্কর সাঁতরা ও রাকেশ বিশ্বাস অনূর্ধ্ব ১৪ নদিয়া জেলা স্কুলের জন্য ঝাড়গ্রামে গিয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে। এবারে তাদের গন্তব্য হয়েছে আলিপুরদুয়ার।
অন্যদিকে, অভিভাবকরাও এতটা দূরের পথ পেরিয়ে প্রত্যন্ত এই গ্রামে এসে খুশি! কারণ তাদের উত্তরসূরিরা পড়াশোনার পাশাপাশি শারীরিক দিক থেকেও হয়ে উঠছে সুস্থ এবং সবল।
ডাক্তার হোক কিংবা ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক অথবা প্রশাসক কিংবা বড় ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা যতই লাভ করুক শরীর সুস্থ থাকলে, তবেই তা অর্জন করা সম্ভব ।
আরও পড়ুন- উৎসব শেষে উৎসব শুরুর অপেক্ষায় ওঁরা
অন্যদিকে, ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, দু-কজন সহৃদয় ব্যক্তি কখনও দু একটি ফুটবল দেওয়া কিংবা ট্রফি, মেডেল দেওয়ার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ালেও বড় মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে খরচের অভাবে পিছিয়ে যেতে হয়। তবে তারই মধ্যে অভাব এবং নানান প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর এই মাঠ থেকে ছেলেমেয়েরা তাদের কৃতিত্ব দেখিয়ে চলেছে।
Mainak Debnath