পাঁশকুড়া: মাঝে মাত্র আর দু’দিন তারপরই কালীপুজো। এবার কালীপুজোর সময় ফুলের সংকট দেখা দেখে বলে ধারণা ফুল চাষে থেকে ফুল বিক্রেতাদের। কারণ ভারী বৃষ্টিতে জলের তলায় ফুলের ক্ষেত। দানা নামক প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নাস্তানাবুদ দক্ষিণবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় প্রবল বৃষ্টির ফলে জলবন্দী অবস্থা। বৃষ্টির জমা জলে পুকুর রাস্তাঘাট চাষের জমি সবই জলের তলায়। জমা জলে বন্যা পরিস্থিতি। বৃষ্টির জলে ডুবেছে ফুল চাষের ক্ষেত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুল চাষ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ও কোলাঘাটে ব্যাপক পরিমাণ ফুল চাষ হয়। কিন্তু সর্বত্রই জলের তলায় ফুল চাষ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লক ফুল চাষের জন্য অন্যতম। এই দুটি ব্লকে ফুল চাষ প্রধান অর্থকারী ফসল। বিভিন্ন ধরনের মরশুমি ফুলের পাশাপাশি সারা বছরই নানা ধরনের ফুল চাষ হয়। কিন্তু চলতি বছর ফুল চাষ নিয়ে বিপাকে ফুল চাষিরা। কারণ সেপ্টেম্বর মাসে নদী বাঁধ ভেঙে বন্যায় ভেসে যায় পাঁশকুড়া। মাঠের পর মাঠ ফুল চাষের জমি জলের তলায় চলে যায়। ক্ষতি হয় ফুল চাষের। পাঁশকুড়ার পাশাপাশি সেই সময় বৃষ্টির কারণে কোলাঘাটেও জল জমে ক্ষতি হয় ফুল চাষের। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আবারও দানা নামক বিপর্যয় গভীর সমস্যায় ফেলে দিয়েছে ফুল চাষিদের।
পাঁশকুড়া সর্বত্রই ফুল চাষের জমি জলের তলায়। জমা জলে নষ্ট হয়েছে ফুল চাষ। প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন ফুল চাষিরা, এ বিষয়ে পাঁশকুড়ার ফুল চাষিরা জানান, ‘প্রথমে বন্যা তারপর দানার কারণে প্রবল বৃষ্টি। জলে ভাসছে ফুল চাষের জমি। নষ্ট হচ্ছে ফুলের গাছ। সামনেই কালীপুজো সহ বিভিন্ন পুজো পার্বণ রয়েছে। এই সময়টা ফুলের দাম ভাল থাকে। কিন্তু এবার এই সময়ে ফুলের যোগান পাওয়া যাবে না। এর ফলে তাদের প্রভূত ক্ষতি।’ বিঘার পর বিঘা ফুল চাষের জমি জলের তলায় ফুলের সংসার কিভাবে চলবে তা নিয়ে চিন্তায় ফল চাষিরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ‘দানা’র প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন। বিভিন্ন ব্লকে বৃষ্টির জমা জলে বন্যা পরিস্থিতি। ডুবেছে রাস্তাঘাট ভাসছে চাষের জমি। দানা বিপর্যয় জেলা জুড়ে চাষিদের করুণ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল ধান, পানের পাশাপাশি ফুল চাষ ভারী বৃষ্টির জমা জলে ডুবে নষ্ট হওয়ায় কালীপুজোর সময় পর্যাপ্ত ফুলের জোগান থাকবে না বলে মনে করছেন ফুল বিক্রেতারা।
সৈকত শী