Tag Archives: East Medinipur News

Odisha bus accident: ভয়াবহ বাস দূর্ঘটনা ওড়িশায়! একাধিক যাত্রী পূর্ব মেদিনীপুরের? এখনও পর্যন্ত মৃত ৪

পূর্ব মেদিনীপুর: ওড়িশায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। ব্রিজের ওপর থেকে প্রায় ২০ ফুট নিচে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় বাস। বাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু যাত্রী ছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দূর্ঘটনায় মৃত যাত্রীদের মধ‍্যে চারজন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন আহতদের জেলায় ফিরিয়ে এনে চিকিৎসার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছে। এই ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার এলাকায়। কারণ প্রতিদিন সন্ধের পর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার বাস স্ট্যান্ড থেকে ওড়িশার উদ্দেশ্যে বহু দূর পাল্লার বাস ছেড়ে যায়। সাধারণত বিভিন্নকাজ ও চিকিৎসার প্রয়োজনে এই বাসগুলিতে যাত্রীরা ওড়িশা রাজ্যে যান।

আরও পড়ুন: রাজ কাপুরের বাড়ির সার্ভেন্ট কোয়ার্টারে বাস! আজ ১৫০ কোটির মালিক! জানেন কে সেই বলি সেলেব

ওড়িশার জাজপুরের বারাবাটিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে মঙ্গলবার ভোরে আসার কথা ছিল। ওড়িশায় যাওয়া যাত্রীরা এই বাসে করেই পূর্ব মেদিনীপুরে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। বাসটির শেষ গন্তব্য ছিল নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ড।

মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাসটি যাত্রী নিয়ে নন্দকুমারে আসার কথা ছিল। তবে ঠিক কোন কারণে এই দুর্ঘটনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমারের বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিনই বিপুল পরিমানে বাস ওড়িশায় যায়। কটক, পুরী, ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার জন্যই যাত্রীরা এই বাসগুলিতে যাতায়াত করেন।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনা গ্রস্থ বাসটি রবিবার বিকেলে নন্দকুমার থেকে ছেড়ে ওড়িশায় গিয়েছিল। এবং সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ সেটি পুনরায় ওড়িশা থেকে ছেড়ে নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে আসছিল। জাজপুরের কাছে বাসটি ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে যায়।

ওড়িশা সরকার আহতদের চিকিৎসার সমস্ত রকম দায়িত্ব বহন করছে বলে জানা গিয়েছে। আহতদের প্রথমে ধর্মশালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হয়। পরে গুরুতর জখম ৩৫ জনকে কটকের শতাব্দী প্রাচীন এসসিবি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

আহতদের সমস্ত রকমের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে ওড়িশা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতদেহগুলি দ্রুত ময়না তদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি এ রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

এই ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ। কারণ প্রতিনিয়ত ওড়িশার উদ্দেশ্যে বসে করে বহু মানুষ যাতায়াত করেন পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার, ময়না, কোলাঘাট, চণ্ডিপুর, নন্দীগ্রাম ভগবানপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ চিকিৎসা বা কাজের প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। সেরকমই একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

সৈকত শী

East Medinipur News: ওড়িশায় ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জয়জয়কার পূর্ব মেদিনীপুরের

পূর্ব মেদিনীপুর : ওড়িশায় ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রতিভার ছাপ রাখল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মেয়েরা। বিএসএফ আয়োজিত ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতি নগর থানার অন্তর্গত মুগবেড়িয়া গ্রামের ২৫ জন ছেলে-মেয়ে বিভিন্ন বিভাগে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। গ্রামের ছেলেদের এই অভাবনীয় সাফল্যে খুশি এলাকাবাসী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানার অন্তরগত মুগবেড়িয়াতে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত একটি ক্যারাটে স্কুল কিছু বছর আগে চালু হয়। এই স্কুলের মূল উদ্দেশ্য বর্তমান সময়ে ছেলে মেয়েদের বিনা খরচে আত্মরক্ষার পাঠ দেওয়া।

আত্মরক্ষার পাঠ দিতেই ওই স্কুলে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বর্তমানে বহু ছাত্র-ছাত্রী ওই স্কুলে আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে ক্যারাটে শিখছে। কিন্তু শুধুমাত্র আত্মরক্ষার কৌশল হিসাবে ক্যারাটে শিক্ষা গ্রহণ নয়। বরং এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য ও জাতীয়  স্তরে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। এই স্কুলে গ্রামের সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিনা মূল্যে আত্মরক্ষার কৌশল হিসাবে শেখানো হয় ক্যারাটে। আর সেখানেই ক্যারাটেশিখে দেশ বিদেশে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। সম্প্রতি BSF এর আয়োজনে ক্যারাটেপ্রতিযোগিতায় এই স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করেছিল ২৫ জন ছাত্র ছাত্রী।তাদের সবাই কোনও না কোনও বিভাগেজিতছে সোনা রুপো ও ব্রোঞ্জ এর পদক। এই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ স্কুলের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরাও এর আগেও বিভিন্ন ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেছিল। এবার তাদের স্কুলের ২৫ জন ছাত্রছাত্রী ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।

আরও পড়ুন : তমলুকে আন্তর্জাতিক দাবার আসর

প্রসঙ্গত ওই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ স্কুলটি চালায় স্থানীয় ব্যক্তি সন্দীপ মাইতি ও তার স্ত্রী। তাদের নিজেদের খরচে এই ক্যারাটে স্কুল পরিচালনা করেন। সন্দীপ মাইতি জানান, করোনা লকডাইন থেকেই তাদের এই স্কুল শুরু হয়। গ্রামের ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করে ক্যারাটে স্কুলটি শুরু হয়েছিল। আগামী দিনে এই স্কুলকে আর বড় করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

সন্দীপ মাইতির এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ থেকে অভিভাবক অভিভাবিকারা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আত্মরক্ষার কৌশল হিসাবে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাত্রছাত্রীরা গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছে।

সৈকত শী

East Medinipur News: যক্ষা দূরীকরণে অঙ্গীকার পূর্ব মেদিনীপুরের সাংবাদিকদের

তমলুক: শুধু সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে খবর সংগ্রহ করা বা খবর পরিবেশ নয়, এবার আরও বড় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল সাংবাদিকের সংগঠন। যক্ষা রোগ নির্মূল করতে বড় ভূমিকা পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ হল সাংবাদিকেরা। তমলুক মহকুমার সাংবাদিক সংগঠন যক্ষা রোগীর দায়িত্ব নিল। ১৬ জন যক্ষা রোগীর খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব কাদের তুলে নিল সাংবাদিকেরা। সাংবাদিকদের সংগঠন তমলুক জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাবের উদ্যোগে তাম্রলিপ্ত পৌরসভা এলাকার সমস্ত যক্ষা রোগীদের উপযুক্ত মানের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য প্রদান করার মাধ্যমে দত্তক নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১২৮৫ জন সরকারিভাবে নথিভুক্ত যক্ষা রোগী রয়েছেন। এছাড়াও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার ক্ষেত্রেও এই সংখ্যাটা প্রায় হাজার খানেক। ফলে এই সকল রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসার পাশাপাশি রোগ মুক্তির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আহারের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার আহ্বান জানায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই মত ন্যাশনাল টিবি এলিমিনেশন প্রোগ্রামে বিভিন্ন বেসরকারি কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় নিক্ষয় মিত্রের মাধ্যমে এলাকার যক্ষা রোগীদের দত্তকের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : দিঘা বেড়ানো অনেক হল! ছোট্ট ছুটিতে যান ৩ নদীর এই সঙ্গমস্থলে, আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য

এলাকার যক্ষা রোগীদের মধ্যে চাল, ডাল, ডিম, সোয়াবিন, তেল, ছোলা, নানান রকমের ফলমূল সহ যাবতীয় পুষ্টিগণ সম্পন্ন আহার বিতরণ করা হয়। আগামী ৬ মাস পর্যন্ত এভাবেই যক্ষা আক্রান্তদের সেবায় এই সকল পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আহার তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। যার প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে এদিন পৌরসভা এলাকায় ১৬ জন যক্ষা রোগীকে ৬ মাসের জন্য দত্তক নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের পক্ষে কাজল মাইতি, শুভময় জানারা। তাদের কথায়, খবর সংগ্রহের পাশাপাশি যক্ষা দূরীকরণের মত এমন সমাজসেবামূলক কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে চাই আগামী দিনেও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, ‘উপযুক্ত চিকিৎসার পাশাপাশি এই রোগ সম্পূর্ণরূপে দূরীকরণের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা অনেকটাই সমস্যা তৈরি করে। তাই যাতে অসহায় আক্রান্তদের পর্যাপ্ত মানের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আহরের ক্ষেত্রে কোনও রকমের আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে না পারে তার জন্য নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার সমস্ত সংগঠনের কাছেই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই যক্ষামুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে রাজ্যের নিরিখে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুর। প্রশাসনিক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর মুখ্য স্বাস্থ্য জেলার প্রায় ৬৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে যক্ষা মুক্ত প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে জোরদার প্রচার চলে। যক্ষামুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গড়ে তোলার পাশাপাশি এবার নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যক্ষা রোগীদের দত্তক নেওয়ার আহবান জানায় প্রশাসন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

মূলত, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনদের পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আহারে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূর করতেই এমন উদ্যোগ বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের। আর ইতিমধ্যেই তাদের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে একাধিক বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সাংবাদিকদের এগিয়ে আসায় নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে যেন প্রাণ সঞ্চার হল আক্রান্তদেরও।

সৈকতশী

East Medinipur News: অসময়ে অতিবৃষ্টি, বাদাম চাষের শুরুতেই ক্ষতি!  

পূর্ব মেদিনীপুর, পটাশপুর: বসন্তে বিরাজ করছে বৃষ্টি! উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গ সর্বত্রই ঝড়-বৃষ্টি চলছে। আর এই অসময়ে অতিবৃষ্টি চাষবাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি এক দিকে যেমন আলু চাষের ক্ষতি করছে সেই সঙ্গে বাদাম চাষের শুরুতেই এই বৃষ্টি ব্যাপক ক্ষতির মুখের ফেলে দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল পান ও ধান হলেও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভৌগোলিক বৈচিত্রের কারণে বিভিন্ন ব্লকে বিভিন্ন ধরনের চাষবাস হয়। যেমন শাকসবজি ও ফুল চাষের জন্য কোলাঘাট পাঁশকুড়া বিখ্যাত। তেমনইএগরা পটাশপুর ভগবানপুর তৈলবীজ চাষের জন্য উপযোগী।

এগরা পটাশপুর ভগবানপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়। কিন্তু অসময়ের অতি বৃষ্টি বাদাম চাষকে নষ্ট করেছে।অতি বর্ষণের ফলে চাষের শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত হল বাদাম । একটানা এই বৃষ্টিতে বাদাম বীজ লাগানো জমিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে জল। আর সদ্য গজিয়ে ওঠা বাদামচারাগুলিতে জল জমেছে। এগরা, পটাশপুর ও ভগবানপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাদামচাষ শুরু হওয়ার মুখেই ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা। এমনকী মাঠের বাদাম লাগানো জমিগুলিতে জমা জল সরাতে দেখা গিয়েছে চাষিদের।

আরও পড়ুন :এবার পানপাতা রাখা যাবে ৩ মাস, পান প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতিতে বিশাল লাভ, জানুন কীভাবে

গত বছর বাদাম চাষের শেষে এই বৃষ্টির কারণে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। আবার এ বছর চাষের শুরুতেই অকাল বর্ষণে বাদাম বীজ নষ্ট হতে বসেছে। হাতে আর নতুন করে বাদাম লাগানোর সময়ও নেই।বাদাম চাষিদের অভিযোগ দিনের পর দিন অবৈধভাবে ভরাট হচ্ছে জলাশয়। ফলে অল্প বৃষ্টিতে জল জমা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সারাদিন একটানা বৃষ্টি হওয়ায় বাদাম চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যায়।

হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি প্রভাব ফেলেছে চাষবাসে। বাদাম চাষের জমিতে ইতিমধ্যেই জমেছে জল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পচতে শুরু করেছে বাদাম গাছ। এরপর যদি আরও বৃষ্টি হয় এবার বাদাম চাষ পুরোপুরি নষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন বাদাম চাষিরা।

সৈকত শী

East Medinipur News: ওভারটেক করতে গিয়ে পাল্টি খেল বাস, জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত একাধিক!

পূর্ব মেদিনীপুর, তমলুক : অফিস টাইমে ভয়াবহ দুর্ঘটনা জাতীয় সড়কে। যাত্রী বোঝাই বাস উল্টে গেল। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে একাধিক স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সাধারণ যাত্রী। সপ্তাহ শুরুর সকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল তমলুক। তমলুক থানার অন্তর্গত কাকগেছিয়ার কাছে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত গতিতে থাকা একটি যাত্রী বোঝাই বাস জাতীয় সড়কের ওপরে উল্টে যায়। বাসটিতে বহু স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা সহ সাধারণ যাত্রী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হলদিয়া মেছাদা জাতীয় সড়কে হলদিয়া মেচেদা রুটেরই একটি বাস অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মেচেদার দিক থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়েই বিপত্তি হয়, এমনিতেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল, আর তার ওপর বাসটি দ্রুত গতিতে থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের ওপরই উল্টে যায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন বাসটির গতি অত্যন্ত দ্রুত থাকার কারণে উল্টে যাওয়ার পরেও প্রায় দুশো মিটার এগিয়ে যায়।

আরও পড়ুন : ভিক্ষা থেকে সফল ব্যবসায়ী! সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে জয়দেব মুনিয়ার গল্প

অফিস টাইমের জন্য বাসটিতে অফিস যাত্রীর পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও ছিলেন। বাসটি রাধামনি বাসস্ট্যান্ডের পর থেকেই দোল খেতে শুরু করেন বলে জানান বাসের ভেতরে থাকা আহত যাত্রীরা। তারা জানায় রাধামনি বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে আসার পর থেকেই বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল। অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায় আর বাসটি দুলতে থাকে। তারপর বাসটি উল্টে যায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অনেকেই। গুরুতর আহত বাস যাত্রীদের তাম্রলিপ্ত গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিশ এসে যাত্রীদের উদ্ধার করার পাশাপাশি রাস্তার ওপর থেকে উল্টে যাওয়া বাসটি সরিয়ে নিয়ে যান চলাচল সচল করে

প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক এমনকি গ্রামীণ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা কমাতে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। তা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও নিত্যযাত্রীরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এদিন তমলুক থানার অন্তর্গত কাকগেছিয়ার কাছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল ওই দুর্ঘটনা গ্রস্ত বাসটির যাত্রীরা।

সৈকত শী

East Medinipur News: মাঠের ফসল শুকনো, অনাবৃষ্টিতে ১০৮ বেলপাতা-কলসির জল! ৫০০ বছরের প্রাচীন এই শিব মন্দিরের কাহিনি অবাক করার মত!

পটাশপুর: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ইতিহাসের নিদর্শন বহু বইতে পাওয়া যায়। এই জেলায় নানান প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান ধরনের ইতিহাস। এই জেলায় যে ক’টি রাজবংশ রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল পঁচেটগড় রাজবাড়ি। রাজ্য হেরিটেজ কমিশন স্বীকৃতি লাভ করেছে এই রাজবাড়ি। এই রাজবাড়ির অদূরেই রয়েছে প্রাচীন শিব মন্দির। যার আনুমানিক বয়স প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন পঁচেট গড় রাজবাড়ির রাজা কালা মুরারিমোহন দাস। এই মন্দিরের কাহিনীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানান ইতিহাস ও লৌকিক কাহিনি।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নং ব্লকের পঁচেটগড় রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ওড়িশার আটঘর এলাকার বাসিন্দা আদি পুরুষ কালা মুরারিমোহন দাস। তিনি ওড়িশার জগন্নাথ দেবের সামনে নিত্যদিন সঙ্গীত পরিবেশন করতেন তিনি। সেই সঙ্গীতেই মুগ্ধ হয়ে রাজা তাকে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মন্দিরের পাশে পেয়েছিলেন জমি সেই জমিতে জগন্নাথ দেবের নিত্য সেবার জন্য তুলসি চাষ করতেন। পরবর্তী সময় ঔরঙ্গজেবের এর নজরে পড়ে যান। তাকে বাংলা, বিহার ও তাম্রলিপ্ত বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেন মুঘল সম্রাট। কাজটি তিনি সূচারুভাবে করায় পটাশপুর এই এলাকার জায়গীর দান করেন সম্রাট ঔরঙ্গজেব।

এলাকার জায়গীর পাওয়ার পর বসবাস শুরু করেন তিনি। রাজা কালা মুরারির মোহন তার রাজকর্মচারীদের থেকে জানতে পারেন ওই এলাকার এক গভীর জঙ্গলের নির্জন যায়গায় উঁচু মাটির ঢিপির ওপর প্রতিদিন কিছু গরু গিয়ে দাড়ায়। তারপর গরু গুলির বাট থেকে দুধ ঝরে পড়ে মাটির ঢিপির ওপর। অলৌকিক এই ঘটনা শুনে তিনি নির্দেশ দেন ওই জঙ্গল কেটে পরিস্কার করতে। তারপর রাজা নিজে দাড়িয়ে থেকে ওই মাটির ঢিপি খনন করেন।

খনন করার সময় মাটির নিচে পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হয় শিবলিঙ্গ। খনন কার্যের সময় শিবলিঙ্গটি আঘাত লেগে ভেঙ্গে যায়। এই ঘটনায় চিন্তায় পড়েন রাজা। রাজপুরোহিতের নির্দেশে শিবলিঙ্গের চারপাশে বেনারস থেকে এনে আরও চারটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়। কালামুরারি দাস মহাপাত্র তৈরি করেন পঞ্চেশ্বর মন্দির।

আরও পড়ুন: Ketu Lucky Rashifal: কেতুর বিশাল খেলা শুরু! শয়নে স্বপনে বিশাল অঙ্কের টাকা জাতক-জাতিকাদের হাতে, মার্চ থেকেই আচ্ছে দিন

আরও পড়ুন: Hooghly News: চাষের আলু খুঁড়ে পাতা হচ্ছিল গ্যাসের পাইপ লাইন! বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা তারপর…

পঁচেট গড় রাজবাড়ির এই শিব মন্দির নিয়ে আরও একটি কথিত কাহিনি রয়েছে। কথিত আছে এই এলাকায় অনাবৃষ্টি দেখা দিলে। মাঠের ফসল শুকিয়ে যায়। বৃষ্টির জন্য এই শিব মন্দিরে ১০৮ টি বেলপাতা সহকারে পুজো এবং ১০৮ কলসী জল ঢালা হয়। পুজো দেওয়ার পরেই বৃষ্টি নেমে আসে। বর্তমানে রাজবাড়ির এই শিব মন্দিরে শিব চতুর্দশী তিথিতে বহু ভক্তের সমাগম হয়। এই মন্দিরে জল ঢালতে এলাকার অসংখ্য মানুষ। প্রতিবছর শিবরাত্রি থেকে এই মন্দিরে পূজা উপলক্ষে বসে মেলা। বহু ভক্তের সমাগম হয় এই মেলায়।

সৈকত শী

East Medinipur News: স্কুলের প্রাক্তনীরা বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের ইচ্ছে পূরণ করল! অনুদানে তৈরি হল স্কুলের তোরণ

 পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর : বর্তমান স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের বহুদিনের ইচ্ছে পূরণ হল। তাদের এই বহুদিনের ইচ্ছে পূরণ করল ওই স্কুলের প্রাক্তনীরা।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নং ব্লকেরমথুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পানিয়া সারদাবাড় রামকৃষ্ণ শিক্ষা সদন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়। এই বিদ‍্যালয় ১৯৩৯ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রসন্ন কুমার ত্রিপাঠির প্রচেষ্টায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয়। এই স্কুলের বর্তমান বয়স ৮৫ বছর পার করেছে। বহু গুণী ও কৃতি ছাত্র ছাত্রী এ স্কুল থেকেই পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

স্কুলের সেই প্রাক্তনীরা স্কুলকেই কিছু ফিরিয়ে দিল। আর তাতে খুশি বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ ছাত্রছাত্রীরা। পানিয়া সারদাবাড় রামকৃষ্ণ শিক্ষা সদন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে ৮৫ বছর পরেও প্রাচীন এই স্কুলের ছিল না কোনওগেট বা তোরণ। তাই স্বাভাবিক ভাবেই স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের দির্ঘদিনের দাবি ছিল স্কুলের মূল গেট বা তোরণ তৈরি হোক। স্কুল শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন সরকারি ফান্ডের আশায় বসে ছিলেন।

আরও পড়ুন : ছোটবেলার শখকেই রোজগারের পথ! আয়ের নতুন দিশা দেখাচ্ছেন কলেজ পড়ুয়া

কিন্তু দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরও স্কুলের তোরণ বা মূল গেট তৈরির ফান্ড মিল ছিল না। আর তারপরেই এগিয়ে আসেন ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তায় তৈরি হয় স্কুলের মূল গেট।বর্তমান ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের ইচ্ছা পূরণে ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা স্কুলকে দান করেন।

দীর্ঘদিনের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সেই টাকা থেকেই তৈরি করে মূল গেট। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের এই কাজে খুশি বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক শিক্ষিকারা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

স্কুলের প্রাক্তনীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হল ওই স্কুলের। ফলে খুশির হাওয়া স্কুল চত্বরে।

সৈকত শী

East Medinipur News: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই প্রাচীন মন্দির সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন আপনিও!

তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক শহরে অলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন মন্দির। বেশ কিছু মন্দিরের তথ্য পাওয়া যায় পুরাণ, মহাভারত সহ বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থে। তমলুক শহরেই রয়েছে একটি প্রাচীন শিব মন্দির। প্রাচীন এই শিব মন্দিরের অজানা কাহিনি অবাক করবেন আপনাকে। তমলুক রাজ্য তথা দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর। যার প্রাচীন নাম ছিল তাম্রলিপ্ত নগরী। প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরীতে বেশ কিছু পুরানো মন্দির রয়েছে যার নিদর্শন মহাভারত থেকে পুরাণ এ উল্লেখিত রয়েছে। তমলুক শহরে মহাভারতে উল্লেখিত নানা নিদর্শন পাওয়া যায়।

মহাভারতে বর্ণিত শিব মন্দির আজও বর্তমান তমলুক শহরে।মহাভারতের কাল থেকে আজকের ভারতের প্রবাহমান ইতিহাসের সাক্ষী তাম্রলিপ্ত নগর বা অধুনা তমলুক। রূপনারায়ণ নদে জলের স্রোতের মত প্রবাহমান তমলুক শহরের ইতিহাস। যার নানান নিদর্শন পাওয়া যায় মহাকাব্য মহাভারতে।

তমলুক শহরে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মন্দির। এই প্রাচীন মন্দির গুলির মধ্যে একটি হল চক্রেশ্বর শিব মন্দির। এই শিব মন্দিরের নিদর্শন পাওয়া যায় মহাভারতে। কথিত আছে পান্ডবদের অজ্ঞাতবাসের সময় পঞ্চপান্ডবসহ কুন্তী ও দৌপ্রদী পুজো দিয়েছিলেন এই শিব মন্দিরে।চক্রেশ্বর মন্দির মোট চারটি শিবের লিঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়। জানা যায় তার মধ্যে একটি স্বয়ং প্রকটিত হয়েছে। কথিত আছে বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যুধিষ্ঠির ভীম ও অর্জুন।

এ বিষয়ে বংশ-পরম্পরায় ওই মন্দিরে পুজো করে আসা পুরোহিত বংশের বর্তমান পূজক অরুন কুমার মিশ্র জানান, ‘চক্রেশ্বর শিব মন্দির বহু প্রাচীন। এই মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে মহাভারতে। এই মন্দিরে মোট চারটির শিবলিঙ্গ রয়েছে। একটি স্বয়ং প্রকটিত। এবং অন্য তিনটি প্রথম ৩ পাণ্ডব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে প্রতিদিন নিত্য পুজো হয় এর পাশাপাশি প্রতি সোমবার বিশেষ পুজো পাঠ চলে। শিবরাত্রি ও চৈত্র মাসের নীল সংক্রান্তির পূজো হয় এই মন্দিরে’

আরও পড়ুন: Budh-Shukra Transit 2024: ১০০ বছর পরে শুয়ে বিশাল ঘটনা! একই দিনে বুধ-শুক্রের রাশি পরিবর্তন, সোনা দিয়ে কপাল বাঁধানো ৩ রাশির

তমলুকের প্রাচীন এই চক্রসার মন্দিরের মহাভারতের যোগসূত্র নিয়ে আঞ্চলিক ইতিহাসবিদ জয়দেব মালাকার জানান,মহাভারতের অজ্ঞাতবাস পর্বে এই মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়।মহাভারতের কাহিনী বা কথিত কাহিনী যাই থাক না কেন এই মন্দিরে ভগবান শিবের পুজো আজও হয়ে আসছে।

আরও পড়ুন: Purulia News : মাত্র ২৫ টাকায় বার্গার! কোথায় মিলছে এই লোভনীয় অফার… শিগগির জানুন

প্রতিদিন সকালে শিবের পুজো হয়। প্রতি সোমবার মহাদেবের বিশেষ পুজো হয়। এছাড়াও শিবচতুর্দশী তিথিতে বিশেষ পুজো পাঠ হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসে গাজন ও চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়ক পুজো হয়। চক্রেশ্বর শিব মন্দিরটি তাম্রলিপ্ত পৌরভবন এর কাছেই অবস্থিত।

সৈকত শী

East Medinipur News: লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় সাফল্য শাসক শিবিরে! কোথা থেকে এল বড় জয়?

এগরা: লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় সাফল্য শাসক শিবিরে। লোকসভা নির্বাচন দোর গড়ায়। ২০২৪ সালে দেশ জুড়ে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে লোকসভার নির্বাচনে দামামা বেজে গিয়েছে। সময় যত এগোচ্ছে ভোট নিয়ে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই চায়ের আড্ডায় জমে উঠছে ভোটের চর্চা।

শিয়রে যখন লোকসভা ভোট তখন তার আগেই জেলায় শাসক-শিবিরের সাফল‍্য। শাসক শিবিরের বড় জয় লোকসভা ভোটের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাল। আর সেই বাড়তি অক্সিজনে এল সমবায় নির্বাচন থেকে। নির্বাচনে বড় সাফল্য লাভ করল রাজ্যের শাসক দল।

আরও পড়ুন: আগামী তিন মাস বন্ধ থাকবে ‘মন কি বাত’! বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিপুল জয় শাসক শিবিরে। ধরাশায়ী বিরোধী শিবির। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার দলঅলুয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। দলঅলুয়া সমবায় সমিতিতে মোট ৫০টি আসন। কড়া পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যে প্রতিটি আসনে ভোট হয়। মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ২৬৪ জন।

এর মধ্যে ভোট দেন ১ হাজার ২৫০ জন। ভোটের পর ভোট গণনায় ৫০ টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসন জয়লাভ করে শাসক দলের প্রার্থীরা। মাত্র ৭টি আসনে জয় লাভ করে বিরোধি শিবিরের প্রার্থীরা। এদিন জয়ের পর উচ্ছ্বসিত শাসক শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকেরা সবুজ আবির উড়িয়ে ও মিষ্টি মুখ করে আনন্দে মেতে ওঠেন।

সমবায় নির্বাচনে শাসক শিবির জয় লাভ করায় জয়ী প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। এগরার বিধায়ক জানিয়েছেন, এই জয়, মানুষের জয়। এগরা পৌরসভার মানুষ যে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে আছে তা এর থেকেই প্রমাণিত হয়।

আগামী লোকসভা নির্বাচনে এগরা থেকে অনেক বেশি ভোটে রাজ্যের শাসক দল লিড পাবে। কিন্তু শাসক শিবিরের কথাকে আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে না বিরোধী শিবির। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার ইনচার্জ অরুপ দাশ জানিয়েছেন, ‘‘সমবায় সমিতির নির্বাচন দেখে লোকসভার বিচার করা যায় না। র‍্যাগিং করে তৃণমূল ভোটে জিতেছে। আগামী লোকসভা ভোটে এগরার মানুষ রাজ্যের শাসক দল নয় বরং প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থীকেই সমর্থন জানাবে।’’

প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সমবায় নির্বাচন ঘিরেই ভোট আবহ লোকসভা নির্বাচনের আগেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতেও খানিকটা কোণঠাসা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। আর তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে সমবায় নির্বাচনে এই জয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় শাসক শিবিরকে বাড়তি অক্সিজেন দিল।

সৈকত শী

East Medinipur News: নন্দীগ্রামে রেল যোগাযোগ! দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে চলবে ট্রেন 

নন্দীগ্রাম : দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম রেল লাইনের কাজ দ্রুতই শুরু হচ্ছে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকেই নন্দীগ্রামের রেললাইন আবারও চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।নন্দীগ্রামের রেল লাইন দ্রুত চালু করার জন্য পরিদর্শনে আসেন দক্ষিণ-পূর্ব রেল শাখার জেনারেল ম্যানেজার। তখন থেকেই লাইন নির্মাণের কাজের জন্য ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও রেললাইন পাতার কাজ থমকে থাকে। রেললাইন পাতার কাজের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মাটি। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণ মাটি না পাওয়ায় কাজ থমকে দাঁড়ায়। চলতি সপ্তাহে আবারও দক্ষিণ পূর্ব রেল শাখারজেনারেল ম্যানেজার দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম রেল লাইনের কাজ তদারকিতে আসেন। জানান রেল লাইন নির্মাণ এর প্রাথমিক কাজ দ্রুতই শুরু হবে।

২০০৯ সাল থেকে আটকে থাকা স্বপ্নকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন রেল আধিকারিকেরা। দক্ষিণ পূর্ব রেল শাখার তমলুক-দিঘা লাইনের দেশপ্রাণ স্টেশন থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ১৮.৫ কিলোমিটার নতুন লাইন পাতার প্রাথমিক ধাপ লাইনে মাটি ফেলার কাজ দ্রুতই শুরু হবে। সম্প্রতি দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম রেল লাইন নির্মাণ কাজ তদারকিতে আসেন দক্ষিণ পূর্ব রেল শাখার জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্রা। তিনি দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ঘুরে দেখেন এবং লাইন পাতার কাজে বাধা দূর করতে স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন।

আরও পড়ুন : দিঘাকে আকর্ষণীয় করতে চমকের পর চমক! একবার জানলে দিঘা যাওয়ার জন্য মুখিয়ে উঠবেন

মূলত মাটির সমস্যার কারণে রেললাইন পাতার প্রাথমিক কাজ আটকে রয়েছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেল শাখার জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্রা জানান, ‘ দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ১৮.৫ কিলোমিটার রেললাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদারী সংস্থা কাজ করছে। কাজ করতে গিয়ে মাটির সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে মাটির সমস্যা ১০-১৫ দিনের মধ্যে মিটে যাবে। দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে নন্দীগ্রামের মধ্যে।’

রেল লাইন নিয়ে নন্দীগ্রামের মানুষ স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল ২০০৯ সালে। তৎকালীন ভারতীয় রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত নতুন রেললাইন প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতই সেই সময় জমি অধিগ্রহণ এর পাশাপাশি গড়ে ওঠে নন্দীগ্রাম রেল স্টেশন। কিন্তু তারপর হঠাৎই এই প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। নন্দীগ্রামবাসীর স্বপ্ন অধরা থেকে যায়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আবারও প্রায় দেড় দশক পর নন্দীগ্রামবাসীর রেললাইন নিয়ে সেই অধরা স্বপ্ন নতুন করে দেখতে শুরু করেছে।

সৈকত শী