ভুবনেশ্বর: দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা নিট৷ মেডিক্যালের এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করার জন্য কঠিন অধ্যাবসায়ের প্রয়োজন হয়৷ কঠিন পরিশ্রমের পরেও অনেক পড়ুয়াই নিট পরীক্ষায় পাস করতে পারেন না৷
কিন্তু সেই কঠিন পরীক্ষায় পাস করেই শিরোনামে উঠে এসেছেন ওড়িশার বাসিন্দা ৬৪ বছর বয়সি জয়কিশোর প্রধান৷ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে অবসর নেন তিনি৷ এর পরেই নিট পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দেন জয়কিশোর৷
দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে ব্যাঙ্কে চাকরি করার পরেও নতুন উদ্যমে নিট পরীক্ষায় পাস করার জন্য ঝাঁপান জয়কিশোর৷ শেষ পর্যন্ত সাফল্যও পেয়েছেন তিনি৷ ব্যাঙ্ক উচ্চপদ কাজ করে অবসর নেওয়ার পর নিশ্চিন্তেই জীবন কাটাতে পারতেন তিনি৷ পরিবারকে নিয়ে আর পাঁচ জনের মতো সময় কাটাতেও পারতেন তিনি৷ কিন্তু সেই পথে না হেঁটে ব্যতিক্রমী চেষ্টা করেন অবসরপ্রাপ্ত এই ব্যাঙ্ক কর্মী৷
আরও পড়ুন: ধর্ষণ করেই খুন কুলতলির নাবালিকা! ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মিলল নৃশংস অত্যাচারের প্রমাণ
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ছাত্র জীবনেই একবার ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিলেন জয়কিশোর৷ কিন্তু তখন সফল হননি তিনি৷ পরবর্তী সময়ে ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়ে গেলেও ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন তাঁর মনের এক কোণায় থেকে গিয়েছিল৷ পরে নিজের দুই মেয়েকে নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দেখে ফের নতুন করে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার ইচ্ছে জাগে জয়কিশোরের মনে৷
২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টও নিট পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷ ফলে জয়কিশোরের নিট পরীক্ষায় বসতে কোনও সমস্যা হয়নি৷ ২০২০ সালে শেষ পর্যন্ত নিট পাস করেন তিনি৷ এর পর ভির সুরেন্দ্র সাই ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পান তিনি৷ জয়কিশোর আবারও প্রমাণ করলেন, বয়স শুধুই একটা সংখ্যা!