প্রবল দারিদ্র এবং খিদেকে উপেক্ষা করে চ্যাম্পিয়ন! শ্রীলঙ্কার এশিয়া সেরা হওয়া যেন জীবন্ত রূপকথা

#কলম্বো: যেন জীবন্ত রূপকথা। অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার গল্প। ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠা। ফেভারিট হেভিওয়েট প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ছোট দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাহস সোনালী অক্ষরে লেখা থাকবে ক্রিকেট ইতিহাসে। যে দেশটির লাখো মানুষ হাজারো দুশ্চিন্তা নিয়ে প্রতিরাতে বিছানায় যায়, আজ তারা রাত জাগবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে।

এই জয় তাদের দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করে দেবে না; অপরাজনীতি দূর করতে পারবে না, চালের দাম কমাতে পারবে না; কিন্তু কিছু সময়ের জন্য হলেও গর্বে বুকটা ফুলে উঠবে দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিকদের। রাতের খাবার জোগার করতে না পারা মানুষটির মুখেও থাকবে এক চিলতে হাসি। কারণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আজ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা।

বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল হয়েছে দেশের মুখ। যারা এই বিজয় এনে দিয়েছে তারা ডাকসাইটে কেউ নয়, তারা ১১টি ভাই। বাংলাদেশকে হারানোর পর শ্রীলঙ্কার ডানহাতি স্পিনার মহীশ থিকশানা টুইটারে লিখেছিলেন, বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের কোনো প্রয়োজন নেই, যখন তোমার ১১টা ভাই আছে। সেই ১১টা ভাই মিলেই আজ দলকে চ্যাম্পিয়ন করে দিল।

কী অসাধারণ তাদের টিম স্পিরিট, মাঠে নিবেদন, হার না মানা লড়াকু মানসিকতা- সব মিলিয়ে যোগ্যতম দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার ১১টা ভাই দেখিয়ে দিয়েছে, দৃঢ়প্রতিজ্ঞা থাকলে যে কোনো বাধা বিপত্তি পেরিয়ে যাওয়া যায়। প্রাক্তন ক্রিকেটার জয় সূর্য এবং অধিনায়ক অর্জুন রনতুঙ্গা জানিয়েছেন এই জয় শ্রীলংকার মানুষকে খারাপ সময় কিছুটা শান্তি দেবে।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন হয়তো তাদের কষ্টকর জীবনের সুরাহা করবে না, কিন্তু কিছুটা হলেও বেঁচে থাকার অক্সিজেন দেবে। রাজাপক্ষ, হাসারাঙ্গা, মধুশানরা দেশে ফিরলে জাতীয় নায়কের সম্মান পাবেন। আর শ্রীলংকার ব্রিটিশ কোচ এবং ইংল্যান্ডের প্রাক্তন কোচ ক্রিস সিলভারউড জানিয়েছেন এই জয় টি২০ বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কাকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।