Tag Archives: Sri Lanka

গলায়-গলায় বন্ধু! সেই বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে লুকিয়ে প্রেম! ক্রিকেটারের পিঠে ছুরি মারে বন্ধুই

কলকাতা: মাঠে একসঙ্গে অনেক ম্যাচে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন শ্রীলঙ্কার দুই কিংবদন্তি। শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি উপুল থারাঙ্গা ও তিলকরত্নে দিলশান। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন, উপুল থারাঙ্গা সতীর্থ দিলশানের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। মাঠে বিতর্ক থেকে দূরে থাকা থারাঙ্গার ব্যক্তিগত জীবন বিতর্কে ঘেরা।

উপুল থারাঙ্গা ও তিলকরত্নে দিলশান ছিলেন গলায়-গলায় বন্ধু। দিলশানের স্ত্রী নীলঙ্কা বিথানেগের প্রেমে পড়েছিলেন থারাঙ্গা। একটা সময় প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে প্রতারনা করেন থারাঙ্গা।

শেষ পর্যন্ত নীলঙ্কাকে বিয়ে করেছিলেন থারাঙ্গা। তবে অনেকেই থারাঙ্গাকে আসলে দিলশান ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের কারণ হিসেবে বলেন। তাঁর জন্যই নাকি দিলশানের বিয়ে ভাঙে। থারাঙ্গার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন দিলশানও।

আরও পড়ুন- KKR vs RR: রাজস্থান ম্যাচের আগে কেকেআরের বড় চিন্তা! কোন পথে হাঁটলেন গম্ভীররা?

দিলশান এবং তাঁর স্ত্রী নীলাঙ্কা বিথানেজের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ ছিল। তাঁরা দুজনেই কিছু সময়ের জন্য আলাদা থাকতে শুরু করেন। সেই সময়েই উপুল থারাঙ্গা এবং দিলশানের স্ত্রী ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।

থারাঙ্গা প্রায়ই তাঁর বন্ধু দিলশানের বাড়িতে যেতেন। বন্ধুর স্ত্রীর সাথে দেখা করতেন নিয়মিত। দিলশান যখন এই বিষয়ে জানতে পারেন, তখন তিনি স্ত্রীকে বিববাহবিচ্ছেদের জন্য চাপ দেন।

নীলাঙ্কা ও দিলশানের একটি ছেলেও রয়েছে। দিলশানের ছেলে এখন থারাঙ্গা ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকে। বিবাহবিচ্ছেদের পর দিলশান তাঁর বন্ধু মঞ্জুলাকে ২০০৮ সালে বিয়ে করেন। তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে।

স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দিলশান।
স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দিলশান।

আরও পড়ুন- টি-২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে ওপেনিংয়ে বড় চমক!রোহিতের পার্টনার কে?জানুন বিস্তারিত

আপনাদের জানিয়ে রাখি, ক্রিকেট মাঠে বন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা নতুন কিছু নয়। টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড় দীনেশ কার্তিকের স্ত্রী নীকিতা একটা সময় মুরলি বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান।

ICC -র মেগা সিদ্ধান্ত বদলে গেল সামনের বছরের ‘এই’ বিশ্বকাপের ভেন্যু, শ্রীলঙ্কা নয় এবার খেলা দক্ষিণ আফ্রিকায়

আহমেদাবাদ: বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি মঙ্গলবার সামনের বছর হতে চলা অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে বড় ঘোষণা করল৷  আগে ভ্যেনু শ্রীলঙ্কা থাকলেও তা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল৷ খেলা এখন হবে  দক্ষিণ আফ্রিকায় ৷ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে শুরু প্রশাসনিক অস্থিরতার জেরেই আইসিসি-র এত বড় সিদ্ধান্ত৷ এসএলসি অশান্তির জেরে আইসিসি তাদের সাসপেন্ড করেছে৷ তারপরেই নেওয়া হল এই মেগা সিদ্ধান্ত৷

আগামী বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কায় অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আসর বসার কথা  ছিল। শ্রীলঙ্কায় এই নিয়ে তিনবার অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আসর বসত৷ নিউজিল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে তিনবার প্রতিযোগিতার আয়োজক হত তারা। এর আগে ২০০০ এবং ২০০৬ সালে  অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। আসন্ন সংস্করণে মোট ১৬ টি দল অংশগ্রহণ করবে৷

আরও পড়ুন – Astro Tips 2024: জয় শনি মহারাজের জয়, ২০২৪ এ ব্যাপক বদল, তুফান উঠবে এই রাশিদের জীবনে

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে অস্থিরতার পর, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংস্থা  অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের পরবর্তী সংস্করণ দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ একটি সর্বভারতীয় সংস্থায় প্রকাশিত খবর অনুসারে সূত্রের খবর আহমেদাবাদের বৈঠকে আইসিসি বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 আইসিসি দীর্ঘ আলোচনার পর এসএলসিকে  সাসপেন্ড করে রাখার  সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। আইসিসি জানিয়েছে সাসপেনশন তোলা হবে না, তবে  দ্বীপ রাষ্ট্রের ক্রিকেট দল ক্রিকেট খেলতে পারবে৷

১০ নভেম্বর, গেমের গভর্নিং বডি সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য অবিলম্বে এসএলসিকে সাসপেন্ড  করে। একটি বিবৃতিতে, আইসিসি বলেছে যে “এসএলসি সদস্য হিসাবে তার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে, বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিতভাবে এবং সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই এর বিষয়গুলি পরিচালনা করা উচিত।”

বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের সার্বিক ব্যর্থতার পরেই  শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রানাসিংহেপুরো এসএলসি বোর্ডকে বরখাস্ত করেছিলেন। এবারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দশ দলের টুর্নামেন্টে নবম স্থানে থেকে শেষ করেছে, এবং তাদের পরে রয়েছে শুধু নেদারল্যান্ডস৷  এমনকি ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যোগ্যতা অর্জনও তারা করতে পারেনি৷

রানাসিংহে বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে এসএলসি-র অন্তর্বর্তী কমিটির প্রধান হিসেবেও নিযুক্ত করেছেন।  শ্রীলঙ্কার অ্যাপিল আদালত রানাসিংহের সিদ্ধান্তের ওপর দুই সপ্তাহের স্থগিতাদেশ জারি করেছে এবং রাষ্ট্রপতি শাম্মি সিলভা দ্বারা পরিচালিত এসএলসি শাসন পুনঃস্থাপন করেছে। এরপরে, শ্রীলঙ্কার সংসদ ক্রিকেট বোর্ডের অপসারণের জন্য একটি প্রস্তাব পাস করে- এরপরেই আইসিসি এসএলসিকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নেয়৷

দৌড়ে গিয়ে এক হাতে অবিশ্বাস্য ক্যাচ, প্লেয়ার নয় দর্শকের, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

ক্রাইস্ট চার্চ: আধুনিক ক্রিকেটে ফিল্ডিং অন্য উচ্চতায় পৌছে গিয়েছে। টেস্ট, ওডিআই হোক আর টি-২০ সাম্প্রতিক সময় অবিশ্বাস্য কিছু ফিল্ডিং ও কোচ দেখা গিয়েছে। যেই সকল ভিডিও নেট দুনিয়ায় রীতিমত ঝড় তুলেছে। তবে শুধু ক্রিকেটাররা নয় দিন বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরাও অনবদ্য ফিল্ডার হয়ে উঠেছে। মাঠের বাইরেও অনেক দর্শকই অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরেছেন। তেমনই আরও এক ঘটনা দেখা গেল ক্রাইস্ট চার্চে শ্রীলঙ্কা বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে।

দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ব্যাট করার সময় ক্রিজে ছিলেন নেইল ওয়াগনর। একটি বিগ হিট করেন কিউই তারকা। সেই বল মাঠের বাইরে দৌড়ে গিয়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেন এক দর্শক। অনেকটা উড়ন্ত বাজপাখি বললেও ভুল হবে না। দৌড়ে গিয়ে এক হাত বাড়িয়ে যেভাবে ক্যাচটি ধরেছেন ওই দর্শক তা দেখে হতবাক হয়ে যান অন্যান্য দর্শকরা। অবাক হয়ে যান ক্রিকেটাররাও। হাততালি দিয়ে অভিনন্দনও জানান অন্যান্য দর্শকরা। উল্লাস করতে দেখা যায় ওই দর্শককে। যেই ভিডিও এখন ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।

আরও পড়ুনঃ Viral News: ক্রিকেটে এক বলে সর্বোচ্চ কত রান হতে পারে? জানলে চক্ষু চড়কগাছ হবে আপনারও

প্রসঙ্গত, নিউজল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কার সিরিজের ফলের উপরও অনেকটা নির্ভর করছে ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌছবে কিনা। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৫৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন কুশল মেন্ডিস। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩৭৩ রান করে কিউইরা। শতরান করেন ডায়ার্ল মিচেল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০২ রান করে শ্রালঙ্কা। শতরান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডকে ২৮৫ রানের টার্গেট দেয় লঙ্কানরা। চতুর্থ দিনের খেলার শেষে কিউইরা ২৮ রানে এক উইকেট। অর্থাৎ পঞ্চম দিনে যদি আরও ২৫৭ রান করে ম্যাচ জিততে পারে নিউজিল্যান্ড তাহলেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত।

শুরুতেই অঘটন, বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চমক দিল নামিবিয়া

#গিলং: পাকিস্তানকে হারিয়ে কয়েক মাস আগেই এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলংকা। ফেভারিট না হয়েও দুর্ধর্ষ ক্রিকেট খেলেছিলেন লঙ্কার ক্রিকেটাররা। একটা টিম হিসেবে উঠে এসেছিল লঙ্কান লায়নরা। তাই এমন একটা দল নামিবিয়াকে হারিয়ে দেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে এতে আশ্চর্যের কী আছে? এমনটা মনে করাই স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন – বুমরাহর বদলে বিশ্বকাপে রেনুকাকে চাই ! সোশ্যাল মিডিয়ায় অদ্ভুত দাবি ভারতীয় সমর্থকদের

কিন্তু মহান অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটকে কেন বলা হয় সেটা আবার প্রমাণ হলেও রবিবার। বিশ্বাস করতে পারেন নাও পারেন, কিন্তু সত্যিটা হল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়েছে নামিবিয়া। আফ্রিকা মহাদেশের এই অনামী ক্রিকেট দলটি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দেবে প্রথম ম্যাচেই কেউ ভাবতে পারেননি।

যোগ্যতা অর্জন পর্বে শ্রীলঙ্কার গ্রুপে নামিবিয়া ছাড়াও রয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সেই দু’টি ম্যাচ জিততেই হবে শ্রীলঙ্কাকে। না হলে বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার আশা শেষ হয়ে যাবে এশিয়া কাপজয়ীদের। শ্রীলঙ্কার পরের ম্যাচ সোমবার। সে দিন আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলবে তারা। সেদিন নামিবিয়া খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে।

নামিবিয়ার হয়ে শ্রীলঙ্কার কাজটা কঠিন করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এক সময় খেলা অভিজ্ঞ ডেভিড ওয়াইস। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নেন তিনি। দু’টি করে উইকেট নেন বার্নার্ড স্কোলজ়, বেন শিকঙ্গো এবং ফ্রিলিঙ্ক। একটি উইকেট নেন স্মিট। নামিবিয়ার মতো দেশের বিরুদ্ধে ১৬৪ রানের লক্ষ্য খুব কঠিন হওয়ার কথা ছিল না দাসুন শনাকাদের জন্য।

কিন্তু সেই সহজ কাজটাই কঠিন করে ফেললেন কুসল মেন্ডিসরা। ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দানুষ্কা গুণাতিলকা কোনও রান পাননি। ১১ বলে ১২ রান করে ফিরে যান ধনঞ্জয় ডী সিলভা। অধিনায়ক শনাকা ২৩ বলে ২৯ রান করেন। ৫৫ রানে হার শ্রীলঙ্কার।

১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ১০৮ রানে শেষ শ্রীলঙ্কার ইনিংস। তবে একটা দিনের এরকম পারফরম্যান্স দেখে শ্রীলঙ্কাকে যাচাই করা উচিত নয় জানিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক শানাকা। পরের ম্যাচেই তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা, মাঠেই মন ভোলানো নাচ গোটা দলের

ছেলেদের এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের মুখের সামনে থেকে গ্রাস ছিনিয়ে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা৷ প্রতিযোগিতায় আন্ডারডগ হিসেবে শুরু করেও নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে সকলকে চমক দিয়েছিল দাসুন শানাকারা৷ এবার মেয়েদের এশিয়া কাপেও ফেভারিট তকমা না থাকলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেমি ফাইনাল ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌছে গেল শ্রীলঙ্কার মেয়েরা৷ রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ রানে হারাল শ্রীলঙ্কা। ম্য়াচ জয়ের পর শ্রীলঙ্কার মেয়েদের সেলিব্রেশন ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।

প্রথমবারের মতো মহিলাদের এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা মহিলা দল। একইসঙ্গে ছেলে ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথমবার কোনও দল এক রানে ম্য়াচ জিতল। ম্য়াচ জয়ের পর শ্রীলঙ্কা দলের ক্রিকটাররা মাঠেই দল বেধে নাচতে দেখা যায়। সাধারণত খেলোয়ারদের দল বেধে একই তালে নাচতে খুব একটা কম দেখা যায়। কিন্তু এদিন দেখা গেল শ্রীলঙ্কার মহিলা ক্রিকেটারে পেশাদার ডান্সারদের মত দল বেধে সুন্দরভাবে নাচলেন। যেই ভিডিও খুবই মিষ্টি। শ্রীলঙ্কা মহিলা ক্রিকেট দলের এমন সেলিব্রেশন নেট দুনিয়ায় সকলেই পছন্দ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন হরশিতা সামারাউইকরামা। এছাড়া ২৬ রান করে অনুষ্কা সঞ্জিওয়ানি। ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে অতিরিক্ত ধীর গতিতে ব্য়াট করার খেসারত দিতে হয় পাকিস্তান দলকে। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করে পাকিস্তান। অধিনায়ক বিসমাগ মাহরুফ ৪২ ও নিদা দার ২৬ রানের ইনিংস খেললেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। অন্য়ান্য় ব্য়াটাররা ব্য়র্থ হন। ১ রানে ম্য়াচ জিতে ফাইনালে পৌছাল শ্রীলঙ্কা। ১৫ অক্টোবর এশিয়া কাপের মেগা ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।

দলে ফিরলেন দুই আগুনে পেসার, টি ২০ বিশ্বকাপের আগে হুঙ্কার লঙ্কানদের

#কলম্বো: সাহস এবং ইচ্ছে শক্তি থাকলে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে সেটাই প্রমাণ করেছে শ্রীলংকা। দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট, মাহেলা জয়াবর্ধনে-কুমার সাঙ্গাকারদের অবসরের পর পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটও। তাই দাসুন শানাকার দল নিয়ে তেমন একটা আশা ছিল না ক্রিকেটপ্রেমীদের।

সেই শ্রীলঙ্কাই এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের মতো ফেবারিটদের পেছনে ফেলে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপের আগে যে ট্রফি লঙ্কানদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। এশিয়া কাপের সেই চ্যাম্পিয়ন দল থেকে বিশ্বকাপের জন্য খুব একটা পরিবর্তন আনেনি শ্রীলঙ্কা।

দলে বলতে গেলে কোনো চমক নেই তাদের ১৫ সদস্যের দলে। তবে দুই তারকা পেসার ফেরায় বিশ্বকাপে আরও শক্তিশালীই হবে লঙ্কানদের দল। নিয়মিত খেলোয়াড়রা তো আছেনই, পাশাপাশি ইনজুরি কাটিয়ে বিশ্বকাপ দলে ফিরেছেন তারকা পেসার দুশমন্ত চামিরা। ফিরেছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার লাহিরু কুমারাও।

তবে তাদের রাখা হয়েছে ফিটনেস সাপেক্ষে। অভিজ্ঞ দিনেশ চান্দিমালের জায়গা হয়েছে স্ট্যান্ডবাই তালিকায়। এখানে তার সঙ্গে আছেন আশেন বান্দারা, প্রবীণ জয়াবিক্রমে, বিনুরা ফার্নান্দো আর নুওয়ানিদু ফার্নান্দো।

বিশ্বকাপ স্কোয়াড – দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দানুশকা গুনাথিলাকা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), চারিথ আসালাঙ্কা, ভানুকা রাজাপাকসে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকসানা, জেফরি ভেন্ডারসে, চামিকা করুনারত্নে, দুশমন্ত চামিরা, লাহিরু কুমারা, দিলশান মধুশঙ্কা, প্রমোদ মধুশান।

স্ট্যান্ডবাই: আশেন বান্দারা, প্রবীণ জয়াবিক্রমা, দিনেশ চান্দিমাল, বিনুরা ফার্নান্দো, নুওয়ানিদু ফার্নান্দো।

লঙ্কা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অনেক কিছু বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি মনে করছেন সাঙ্গাকারা, জয়সূর্যরা। অধিনায়ক শানাকা এবং হাসারাঙ্গার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।

প্রবল দারিদ্র এবং খিদেকে উপেক্ষা করে চ্যাম্পিয়ন! শ্রীলঙ্কার এশিয়া সেরা হওয়া যেন জীবন্ত রূপকথা

#কলম্বো: যেন জীবন্ত রূপকথা। অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার গল্প। ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠা। ফেভারিট হেভিওয়েট প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ছোট দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাহস সোনালী অক্ষরে লেখা থাকবে ক্রিকেট ইতিহাসে। যে দেশটির লাখো মানুষ হাজারো দুশ্চিন্তা নিয়ে প্রতিরাতে বিছানায় যায়, আজ তারা রাত জাগবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে।

এই জয় তাদের দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করে দেবে না; অপরাজনীতি দূর করতে পারবে না, চালের দাম কমাতে পারবে না; কিন্তু কিছু সময়ের জন্য হলেও গর্বে বুকটা ফুলে উঠবে দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিকদের। রাতের খাবার জোগার করতে না পারা মানুষটির মুখেও থাকবে এক চিলতে হাসি। কারণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আজ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা।

বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল হয়েছে দেশের মুখ। যারা এই বিজয় এনে দিয়েছে তারা ডাকসাইটে কেউ নয়, তারা ১১টি ভাই। বাংলাদেশকে হারানোর পর শ্রীলঙ্কার ডানহাতি স্পিনার মহীশ থিকশানা টুইটারে লিখেছিলেন, বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের কোনো প্রয়োজন নেই, যখন তোমার ১১টা ভাই আছে। সেই ১১টা ভাই মিলেই আজ দলকে চ্যাম্পিয়ন করে দিল।

কী অসাধারণ তাদের টিম স্পিরিট, মাঠে নিবেদন, হার না মানা লড়াকু মানসিকতা- সব মিলিয়ে যোগ্যতম দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার ১১টা ভাই দেখিয়ে দিয়েছে, দৃঢ়প্রতিজ্ঞা থাকলে যে কোনো বাধা বিপত্তি পেরিয়ে যাওয়া যায়। প্রাক্তন ক্রিকেটার জয় সূর্য এবং অধিনায়ক অর্জুন রনতুঙ্গা জানিয়েছেন এই জয় শ্রীলংকার মানুষকে খারাপ সময় কিছুটা শান্তি দেবে।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন হয়তো তাদের কষ্টকর জীবনের সুরাহা করবে না, কিন্তু কিছুটা হলেও বেঁচে থাকার অক্সিজেন দেবে। রাজাপক্ষ, হাসারাঙ্গা, মধুশানরা দেশে ফিরলে জাতীয় নায়কের সম্মান পাবেন। আর শ্রীলংকার ব্রিটিশ কোচ এবং ইংল্যান্ডের প্রাক্তন কোচ ক্রিস সিলভারউড জানিয়েছেন এই জয় টি২০ বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কাকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।

পাক বোলারদের দাপট সামলে এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ে রাখলেন রাজাপক্ষ

শ্রীলঙ্কা – ১৭০/৬

#দুবাই: বন্যায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান নাকি তীব্র আর্থিক সংকটে ভেঙে পড়া শ্রীলংকা? এশিয়া কাপ ফাইনালে বাজিমাত করবে কারা এটাই ছিল বড় প্রশ্ন। রবিবার সন্ধ্যায় দুবাইতে শাদাব খান ও নাসিম শাহকে দলে ফেরাল পাকিস্তান। আগের ম্যাচে এই দুই ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। ব্যাট করতে নামল শ্রীলঙ্কা।

প্রথম ওভারেই নাসিম শাহের বলে আউট কুশল মেন্ডিস। নিখুঁত ইনসুইং বলে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। হ্যারিস রউফের বলে আউট নিসঙ্ক। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় উইকেটের পতন। তুলে মারতে গিয়েছিলেন লঙ্কার ওপেনিং ব্যাটসম্যান। ক্যাচ ধরেন বাবর আজম। হ্যারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন দানুষ্কা গুণতিলকা। বাহাতি ব্যাটসম্যান ব্যাট নামানোর আগে উইকেট ভেঙে যায়।

অষ্টম ওভারে আবার ধাক্কা লাগে শ্রীলংকার। সেট হয়ে যাওয়া ধনঞ্জয় দিসিলভা ইফতিকারের হাতে কট অ্যান্ড বোল্ড হলেন ২৮ করে। সব মিলিয়ে পাওয়ার প্লে এবং প্রথম ১০ ওভারে ম্যাচে দাপট ছিল পাকিস্তানের। অত্যন্ত খারাপ শট খেলে আউট হলেন শ্রীলংকার অধিনায়ক শানাকা। দুই করে ক্রস শট খেলতে গিয়ে শাদাব খানের বলে বোল্ড হলেন।

শ্রীলংকার পক্ষে বড় টার্গেট তোলা সম্ভব নয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। প্রথম ১০ ওভারে শ্রীলংকার রান ছিল ৬৭/৫। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছিল পাকিস্তান। তাদের পেস এবং স্পিনের যুগলবন্দীতে লঙ্কার অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে উঠছিল। ১৪ ওভারে ১০০ পূর্ণ হল শ্রীলংকার।

এই জায়গা থেকে শ্রীলংকার হয়ে কিছুটা জমি তৈরি করলেন রাজাপক্ষ এবং হাসারাঙ্গা। ৫০ রানের পার্টনারশিপ তৈরি হল দুজনের। কিন্তু দুর্দান্ত খেলতে থাকা হাসারাঙ্গা (৩৬) করে আউট হয়ে গেলেন রউফের বলে। রউফ তুলে নিলেন তিনটি উইকেট।

পাকিস্তান নাকি শ্রীলঙ্কা? আজ এশিয়া কাপ কার ঘরে? আপনার মতামত জানান

#দুবাই: এশিয়া কাপ জিতবে কে? পাকিস্তান না শ্রীলঙ্কা? উত্তর পেতে হয়তো কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। দুই দলই এবারের এশিয়া কাপ শুরু করেছে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে। তবে পরের তিন ম্যাচে টানা জয় তুলে নিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে তারাই। অবশেষে ফাইনালের আগে সুপার ফোরের মুখোমুখি লড়াইয়ে থেমেছে এক দলের জয়যাত্রা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালের আগে দুই ফাইনালিস্টের লড়াইতে উড়তে থাকা পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের করা ১২১ রানের জবাবে তিন ওভার আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দাসুন শানাকার দল। একই মাঠে আজকের ফাইনালে একদিকে টানা চার জয়ে উড়তে থাকা শ্রীলঙ্কা, অন্যদিকে পরপর তিন জয়ের পর হঠাৎ হোঁচট খাওয়া পাকিস্তান।

দারুণ ছন্দে থাকা শ্রীলঙ্কা নিজেদের শেষ চার ম্যাচ যেমন জিতেছে, তেমনি মুখোমুখি লড়াইয়েও শেষ চার ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে। তবু দুই দলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানকেই ফেবারিট বলছেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। তবে শ্রীলঙ্কাকে একদমই খাটো করছেন না ওয়াসিম। তার মতে, ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কার তরুণদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে পাকিস্তানকে।

ওয়াসিম বলেছেন, এশিয়া কাপে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স অসাধারণ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারা ম্যাচে ব্যাটিংয়ে তাদের সেই একাগ্রতা দেখা যায়নি। বোলিং ডিপার্টমেন্ট অবশ্য ভাল ছিল। আশা করি তারা নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি আরও বলেন, তবু আমি মনে করি ফাইনালে পাকিস্তানই ফেবারিট।

তবে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলতে থাকা এই তরুণ শ্রীলঙ্কাকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। ওয়াসিম নিশ্চিত লঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ফোর ম্যাচের ভুল ত্রুটি আলোচনা করেছে পাকিস্তান। সেগুলো ঠিক করে নিয়েই ফাইনালে নামবে তারা।

তবে আগে ব্যাটিং করতে হলেও যাতে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে সমস্যা না হয় সেটা নিয়েও ভেবে রাখতে হবে তাদের। লঙ্কার লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা এবং বাঁহাতি পেসার মধুশঙ্কা বাবর, রিজওয়ানদের বড় চ্যালেঞ্জ জানাবে মনে করেন ওয়াসিম।

এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে পাকিস্তানকে হারিয়ে বার্তা দিয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা

#দুবাই: এশিয়া কাপের ফাইনাল রবিবার। তার আগে আজ শুক্রবার সুপার ফোরের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকা। এক কথায় বলা যায় রবিবার ফাইনালের আগে আজকের খেলা দুটো দলের কাছে অ্যাসিড টেস্ট ছিল। পাকিস্তান বিশ্রাম দিয়েছিল শাদাব খান, নাসিম শাহকে। কারণ ফাইনালের আগে এই দুজন ধারাবাহিক ক্রিকেটারকে কিছুটা বিশ্রাম দিতে চেয়েছিল পাক ম্যানেজমেন্ট।

প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। কিন্তু স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২১ রান তোলে তারা। বাবর আজম (৩০) ছাড়াও কিছুটা লড়াই করলেন নওয়াজ (২৬)। ফখর জামান, খুশদিল শাহ, ইফতিকাররা সম্পূর্ণ ফ্লপ। লঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত বল করলেন হাসারাঙ্গা। ২১ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিলেন তিনি। দুটি করে উইকেট নিলেন মধুশান এবং থিক্সানা।

মনে হয়েছিল ভারতকে হারানোর পর ফর্মে থাকা শ্রীলংকা সহজেই হারিয়ে দেবে পাকিস্তানকে। কিন্তু সেটা যে হওয়ার নয় বোঝা গেল শ্রীলংকা ইনিংসের শুরু থেকে। হাসনেইনের বলে খাতা না খুলে ফিরে গেলেন কুশল মেন্ডিস। হ্যারিস রউফ তুলে নিলেন গুনদিলকাকে। তিনিও খাতা খুলতে পারেনি। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল এত কম রান হাতে নিয়েও বোধহয় বাজিমাত করতে পারে পাকিস্তান।

কিন্তু হতে দিলেন না নিঃশঙ্ক। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করলেন এই ওপেনার। ভারতের বিরুদ্ধেও রান পেয়েছিলেন। মাঝখানে কিছুটা রান করে গেলেন ভানুকা রাজপক্ষে (২৪)। অন্যদিকে দায়িত্ব নিলেন লঙ্কার অধিনায়ক শানাকা। ধীরে ধীরে নিজেদের লক্ষ্যমাত্রার কাছে পৌঁছে গেল শ্রীলংকা। ম্যাচটা জিতেও নিল।

ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম জানিয়ে গেলেন আজকে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই তাদের হারতে হয়েছে। তবে একদিন পরে ফাইনালে এই ভুল যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে পাকিস্তান। শ্রীলংকা অনেকের হিসেবে বাইরে থাকলেও তাদের লড়াকু মানসিকতাকে ছোট করে দেখার জায়গা নেই বোঝা গেল আজ।

ফাইনাল তাই লড়াই সমানে সমানে হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে প্রথমে ব্যাট করলেই হার, এই এশিয়া কাপে এমন ট্রেন্ড বজায় রইল। এটা ক্রিকেটিয় দিক থেকে লজ্জার।