হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Garden Reach Building Collapse: মৃত বেড়ে ৭ ! ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে বেশ কয়েকজন, গার্ডেনরিচের ঘটনায় গ্রেফতার ১

কলকাতা: গার্ডেনরিচের ঘটনায় মৃত বেড়ে ৭ ৷ ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে বেশ কয়েকজন বলে জানা গিয়েছে ৷  যেখানে বহুতল ভেঙে পড়েছে, সেখানে আজ, সোমবার সকাল সকালই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিন সকালে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ যে হাসপাতালে আহতরা ভর্তি রয়েছেন, সেখানে আজ সকালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ৷

মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার পাশাপাশি আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার ৷ নবান্নের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ গার্ডেনরিচের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে নিজের এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আমি তাতে শোকাহত। আমাদের মেয়র, দমকলমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনারের সেক্রেটারিয়েট, সিভিক পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল সারা রাত ধরে ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’’ এদিন গার্ডেনরিচে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যান কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায় এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালও।

আরও পড়ুন– ঘটনাস্থলে মমতা, মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই গার্ডেনরিচের ভাঙা বহুতলের উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী

রবিবার কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি ভেঙে বিপত্তি। উদ্ধারকাজে দমকল ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং NDRF। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার কাজ। ভাঙা বাড়ির নীচে আরও কেউ আটকে আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, বহু লোক জখম হয়েছেন এই ঘটনায়। পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ জনের বেশি মানুষ আহত এবং ইতিমধ্যে ৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবার রাত ১২টার কিছু আগে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যেটি ভেঙে পড়েছে, সেটি বেআইনি নির্মীয়মাণ একটি পাঁচ তলা ভবন। বহুতলটি সামনের টালি ও ঝুপড়ি ঘরের উপর ভেঙে পড়ে। বেআইনি নির্মাণকেই আপাতত ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন– কয়েক দশক ধরে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা; কোথায় রয়েছে এই ‘নরকের দরজা’?

যে বাড়িটি ভেঙেছে তার ঠিকানা ৫১৩/৫ ব্যানার্জিপাড়া লেন। বহুতল বাড়ির নীচে এবং পাশে বেশকিছু ঝুপড়ি ঘর ছিল। সেখানে লোক ছিল বলে খবর। আজহার মোল্লা বাগান এলাকায় যেখানে এই ঘটনা রয়েছে। সেখানে একাধিক বহুতল রয়েছে। ফলে প্রবল আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়। যেই বাড়ি ভেঙেছে, তার পাশে আরেকটি ভবন হেলে রয়েছে। দমকল, পুলিশ, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট , NDRF টিম পৌঁছে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগান এই এলাকায়।

লালবাজার সূত্রে বলা হয়েছে, ১২টা নাগাদ তাঁরা এই দুর্ঘটনার খবর পান। পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। প্রস্তুত করা হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স। কাউকে উদ্ধার করলে তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পৌঁছনো যায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দর এলাকায় ট্রাফিক পরিস্থিতিও ঠিকঠাক রাখা হয়েছে।

যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সময় এলাকায় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ কানফাটানো আওয়াজে সবাই বেরিয়ে আসেন। এসেই তাঁরা দেখতে পান চারিদিক ধুলোয় ভর্তি। কংক্রিটের বহুতল ভেঙে পড়েছে দেখেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।