৫৩ বছর ধরে জ্বলছে আগুন, পৃথিবীর ‘এই’ জায়গাই কি নরকের দরজা! সেখানে বড় কাণ্ড

‘পাপ’ করলে নাকি নরকে যেতে হয়! তবেই মুক্তি! পৃথিবীর নানা সংস্কৃতিতে নরক নিয়ে রয়েছে নানা মত। কারও মতে, ‘নরকের দ্বার’ রয়েছে এই পৃথিবীতেই। সেখানে নাকি সব সময় আগুন জ্বলে। সত্যিই কি এমন কোনও জায়গা রয়েছে?
‘পাপ’ করলে নাকি নরকে যেতে হয়! তবেই মুক্তি! পৃথিবীর নানা সংস্কৃতিতে নরক নিয়ে রয়েছে নানা মত। কারও মতে, ‘নরকের দ্বার’ রয়েছে এই পৃথিবীতেই। সেখানে নাকি সব সময় আগুন জ্বলে। সত্যিই কি এমন কোনও জায়গা রয়েছে?
পশ্চিম এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তান। সেখানে নাকি রয়েছে ‘নরকের দ্বার’। এক বিশাল গর্তে মুখে সবসময়ই আগুন জ্বলে। বিষয়টা ঠিক কী? ওই দেশের রাজধানী আশখাবাদ। সেখান থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে এই ‘নরকের দ্বার’! ধূ ধূ মরুভূমির মাঝে ২০ মিটার গভীর একটা রহস্যময় গর্ত। প্রায় ৫৩ বছর একটানা আগুন জ্বলছে সেখানে।
পশ্চিম এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তান। সেখানে নাকি রয়েছে ‘নরকের দ্বার’। এক বিশাল গর্তে মুখে সবসময়ই আগুন জ্বলে। বিষয়টা ঠিক কী? ওই দেশের রাজধানী আশখাবাদ।
সেখান থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে এই ‘নরকের দ্বার’! ধূ ধূ মরুভূমির মাঝে ২০ মিটার গভীর একটা রহস্যময় গর্ত। প্রায় ৫৩ বছর একটানা আগুন জ্বলছে সেখানে।
তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ দেশ। একটা সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে থাকাকালীন ১৯৭১ সালে ভূতত্ত্ববিদরা এখানে গ্যাস নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। কিন্তু সাফল্য আসেনি। এই খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সেখানে তৈরি হয় বিশাল এক ক্রেটার বা গর্ত। সেই গর্ত থেকে যাতে কোনোভাবে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসতে না পারে, সেজন্য ওই গর্তে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবার সেই গর্তে বড় এক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে।
তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ দেশ। একটা সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে থাকাকালীন ১৯৭১ সালে ভূতত্ত্ববিদরা এখানে গ্যাস নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। কিন্তু সাফল্য আসেনি। এই খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সেখানে তৈরি হয় বিশাল এক ক্রেটার বা গর্ত। সেই গর্ত থেকে যাতে কোনোভাবে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসতে না পারে, সেজন্য ওই গর্তে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবার সেই গর্তে বড় এক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সেই গর্তের আগুন এখন ধীরে ধীরে নিভতে শুরু করেছে। এতে বিপদ সঙ্কেতও রয়েছে। আগুন নিভলে ভূগর্ভস্থ গ্যাস বেরিয়ে আসবে না তো!
জানা গিয়েছে, সেই গর্তের আগুন এখন ধীরে ধীরে নিভতে শুরু করেছে। এতে বিপদ সঙ্কেতও রয়েছে। আগুন নিভলে ভূগর্ভস্থ গ্যাস বেরিয়ে আসবে না তো!
জন ব্র্যাডলি নামে মার্কিন আলোকচিত্রীর কারণেই এই জায়গার ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। কেন অবিরত জ্বলছে এই ক্রেটার? বিজ্ঞানীরা এখনও এর স্বতঃসিদ্ধ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তবে অনেকের মতে, সালফার, মিথেন-সহ বেশ কিছু গ্যাসের কারণেই এই আগুন। গর্তের মুখ থেকে সব সময়ই সালফারের গন্ধ নির্গত হয়। সন্ধ্যা হতেই অনেক দূর থেকেও এই আগুনের লেলিহান শিখা চোখে পড়ে। উপগ্রহতেও ধরা পড়েছে সেই ছবি।
জন ব্র্যাডলি নামে মার্কিন আলোকচিত্রীর কারণেই এই জায়গার ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। কেন অবিরত জ্বলছে এই ক্রেটার? বিজ্ঞানীরা এখনও এর স্বতঃসিদ্ধ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তবে অনেকের মতে, সালফার, মিথেন-সহ বেশ কিছু গ্যাসের কারণেই এই আগুন। গর্তের মুখ থেকে সব সময়ই সালফারের গন্ধ নির্গত হয়। সন্ধ্যা হতেই অনেক দূর থেকেও এই আগুনের লেলিহান শিখা চোখে পড়ে। উপগ্রহতেও ধরা পড়েছে সেই ছবি।
২০১০ সালে তুর্কমেনিস্তানের রাষ্ট্রপতি গুরবানগুলি বের্ডিমুহামেডো এটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নরকের দ্বার দেখতে পর্যটকদের প্রবল উৎসাহে সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয় সরকার। ওই এলাকার আয়ের অন্যতম উৎসই এই নরকের দ্বার।
২০১০ সালে তুর্কমেনিস্তানের রাষ্ট্রপতি গুরবানগুলি বের্ডিমুহামেডো এটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নরকের দ্বার দেখতে পর্যটকদের প্রবল উৎসাহে সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয় সরকার। ওই এলাকার আয়ের অন্যতম উৎসই এই নরকের দ্বার।