স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে যে কি-বোর্ড এখন ব্যবহার করা হয় তাতে ব্যকরণ মেনে ABCD পরপর থাকে না। কিন্তু কেন?

General Knowledge: কেন তৈরি হয়েছিল QWERTY কি-বোর্ড? ABCD-র লে-আউট বদলে দিলেই বা কী হবে? জানুন

প্রযুক্তির উন্নতির যুগে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন ছাড়া কাজ করা বেশ সমস্যাজনক হয়ে পড়ছে। কিন্তু আগে পরিস্থিতি এমন ছিল না। তখন কাগজ, কলমেই সব কাজ করতে হত। তারপর এল QWERTY কি-বোর্ড। কেন এমন ক্রমবিন্যাস, কী করেই বা তৈরি হল এই বিশেষ পদ্ধতি। জেনে নেওয়া যাক কিছু মজার তথ্য—
প্রযুক্তির উন্নতির যুগে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন ছাড়া কাজ করা বেশ সমস্যাজনক হয়ে পড়ছে। কিন্তু আগে পরিস্থিতি এমন ছিল না। তখন কাগজ, কলমেই সব কাজ করতে হত। তারপর এল QWERTY কি-বোর্ড। কেন এমন ক্রমবিন্যাস, কী করেই বা তৈরি হল এই বিশেষ পদ্ধতি। জেনে নেওয়া যাক কিছু মজার তথ্য—
স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে যে কি-বোর্ড এখন ব্যবহার করা হয় তাতে ব্যকরণ মেনে ABCD পরপর থাকে না। কিন্তু কেন থাকে না!
স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে যে কি-বোর্ড এখন ব্যবহার করা হয় তাতে ব্যকরণ মেনে ABCD পরপর থাকে না। কিন্তু কেন থাকে না!
আসলে, কি-বোর্ডের এই ফরম্যাটটিকে বলা হয় QWERTY, যা বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কেন এই QWERTY কি-বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল এবং কেন এটি ABCD পর পর বসান হয় না, তার উত্তর খোঁজা যাক।
আসলে, কি-বোর্ডের এই ফরম্যাটটিকে বলা হয় QWERTY, যা বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কেন এই QWERTY কি-বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল এবং কেন এটি ABCD পর পর বসান হয় না, তার উত্তর খোঁজা যাক।
QWERTY কি-বোর্ডর উদ্ভাবন হয়েছিল ১৮৭৩ সালে। এর জনক বলা যায় ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলসকে। এই লেআউটটি মূলত যান্ত্রিক টাইপরাইটারদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল এবং টাইপিং গতি কমিয়ে জ্যামিং প্রতিরোধ করাই ছিল এর উদ্দেশ্যে।
QWERTY কি-বোর্ডর উদ্ভাবন হয়েছিল ১৮৭৩ সালে। এর জনক বলা যায় ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলসকে। এই লেআউটটি মূলত যান্ত্রিক টাইপরাইটারদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল এবং টাইপিং গতি কমিয়ে জ্যামিং প্রতিরোধ করাই ছিল এর উদ্দেশ্যে।
QWERTY কি-বোর্ডের চেয়েও বেশি দক্ষ লে-আউট রয়েছে। যাদের কি-বোর্ড ডিজাইনে প্রয়োগ করা হয়েছে। যেমন ডভোরাক এবং কোলেমাক। কিন্তু QWERTY এখনও সর্বাধিক ব্যবহৃত।
QWERTY কি-বোর্ডের চেয়েও বেশি দক্ষ লে-আউট রয়েছে। যাদের কি-বোর্ড ডিজাইনে প্রয়োগ করা হয়েছে। যেমন ডভোরাক এবং কোলেমাক। কিন্তু QWERTY এখনও সর্বাধিক ব্যবহৃত।
যাঁরা নতুন টাইপিং শেখেন তাঁদের যদি এ,বি,সি,ডি-র মতো অক্ষর পর পর দেখিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে সুবিধাই হয়। কিন্তু এই জায়গাতেই QWERTY বিশেষত্ব। এই জিজাইন আবিষ্কারের সময় উদ্দেশ্যই ছিল টাইপিং-এর গতি কমিয়ে দেওয়া। যাতে চেনা অক্ষরমালা ঝড়ের গতিতে কেউ টাইপ না করে ফেলতে পারেন। কিন্তু হল উল্টো। মানুষ এই QWERTY-তেও যথেষ্ট গতিতে টাইপ করতে পারে।
যাঁরা নতুন টাইপিং শেখেন তাঁদের যদি এ,বি,সি,ডি-র মতো অক্ষর পর পর দেখিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে সুবিধাই হয়। কিন্তু এই জায়গাতেই QWERTY বিশেষত্ব। এই জিজাইন আবিষ্কারের সময় উদ্দেশ্যই ছিল টাইপিং-এর গতি কমিয়ে দেওয়া। যাতে চেনা অক্ষরমালা ঝড়ের গতিতে কেউ টাইপ না করে ফেলতে পারেন। কিন্তু হল উল্টো। মানুষ এই QWERTY-তেও যথেষ্ট গতিতে টাইপ করতে পারে।
তার একটা কারণ কিন্তু এর ডিজাইন। এই লে-আউটে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত বর্ণগুলিকে সাধারণত পাওয়া যায় একেবারে মাঝখানে ঘেঁষে। যাতে টাইপ করার সময় আঙুল সঞ্চালন করতে খুব বেশি বেগ পেতে না হয়।
তার একটা কারণ কিন্তু এর ডিজাইন। এই লে-আউটে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত বর্ণগুলিকে সাধারণত পাওয়া যায় একেবারে মাঝখানে ঘেঁষে। যাতে টাইপ করার সময় আঙুল সঞ্চালন করতে খুব বেশি বেগ পেতে না হয়।
তবে, QWERTY কি-বোর্ড প্রতিস্থাপন করা হলে, লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে নতুন কি-বোর্ড সেটিং এর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে, যার ফলে লোকসান হবে। এছাড়া কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সঙ্গে নতুন লেআউট সামঞ্জস্য করতে কোম্পানিগুলোকে নতুন করে কাজ করতে হবে।
তবে, QWERTY কি-বোর্ড প্রতিস্থাপন করা হলে, লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে নতুন কি-বোর্ড সেটিং এর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে, যার ফলে লোকসান হবে। এছাড়া কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সঙ্গে নতুন লেআউট সামঞ্জস্য করতে কোম্পানিগুলোকে নতুন করে কাজ করতে হবে।