লাইফস্টাইল Parenting Tips: টিনএজ বয়সে সন্তান ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে? কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখুন, দেখবেন সে নিজেই আপনার কাছে এসে বসছে Gallery October 19, 2024 Bangla Digital Desk আপনার বাচ্চার বয়স ১৪ থেকে ১৬৷ ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছেন সন্তানের থেকে৷ এই সমস্যায় অনেক মা-বাবাই ভুগতে থাকে৷ এখনকার দিনে অনেক টিন এজ বাচ্চারা প্রায়ই মা-বাবার সঙ্গ পছন্দ করে না৷ তারা তাদের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাতে অনেক বেশি পছন্দ করেন৷ তার কারণে কষ্ট পায় মা-বাবা৷ কিন্তু কেবল কষ্ট না পেয়ে ভাবেন, এই দূরত্বের কারণ কেবল জেনারেশন?নাকি খানিক আপনিও৷ অনেক মা-বাবাকেই দেখা যায়, তাঁরা তাঁদের সন্তানের সঙ্গে খুব ভাল কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পারেন না৷ সন্তানের প্রত্যেকটা বিষয়তেই জ্ঞান বা আদেশ দেন৷ এটা না করে সত্যিকারের বন্ধুর মতো মিশুন৷ দিনে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট একে অপরের সঙ্গে সমস্যা শেয়ার করুন৷ একে অপরকে জাজ না করে কথা গুলো শুনুন৷ হয়তো সে আপনার সমস্যার সমাধান না, কেবল খারাপ বা ভাল লাগাগুলো শেয়ার করতে চায়৷ শিশুরা যদি কোনও সমস্যা নিয়ে আসে বা কিছু শেয়ার করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওদেরকে বকাবকি করা বন্ধ করুন৷ নয়তো শিশু ভাগ করে নিতে অস্বস্তি বোধ করবে৷ এই বয়সে অনেকেই নতুন প্রেম করে বা প্রেম ভাঙে৷ সেই নিয়ে যদি আপনি তাকে বকাবকি করেন, তাহলে আপনাকে বলতে সে লজ্জা পেতে শুরু করে। আপনি যদি তাদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেন তাহলে তারাও সবকিছু শেয়ার করতে পারবে৷ ব্যস্ততার কারণে আপনিও হয়তো এতদিন তাকে সময় দিতে পারেননি৷ সেও নিজের একটা জগৎ খুঁজে নিয়েছে৷ হঠাৎ করে সেই জগতকে অস্বীকার করলে তো হবে না৷ বরং সেই জগৎকে সম্মান করেই নিজেদের মধ্যে একটা সেতু তৈরি করুন৷ চেষ্টা করুন দিনের একটা খাবার একসঙ্গে বসে খাওয়ার৷ সেখানে কোনও ধরনের মোবাইল বা টিভি চলবে না৷ কাজের কথাও নয়৷ একে অপরের দিন কেমন কাটল, তা নিয়ে কথা বলুন৷ এতে আপনাদের সম্পর্ক ভাল হয়ে যাবে৷ এই সময় তাঁরা স্বভাবতই প্রতিবাদী হয়৷ অনেক সময় কিছু নিষেধ করলে শোনে না৷ সরাসরি নিষেধ না করে, নিষেধের কারণটি ভাল করে বুঝিয়ে বলুন৷ সবচেয়ে ভাল সন্তানকে ছোটবেলার গল্প বলুন৷ বিশেষ করে এই বয়সের৷ আপনার করা ছোট-ছোট ভুলগুলোও বলুন৷ এতে জ্ঞান না দিয়েও আগাম ভুলগুলো সম্বন্ধে সচেতন করে দেওয়া যায়৷ তাছাড়াও আপনাকে তারা কেবল মা-বাবা হিসেবে না দেখে, খানিক বন্ধু হিসেবেও দেখতে পারেন৷ অভিভাবকরা প্রায়শই সন্তানের জগতের বিষয়ে কোনও আগ্রহ দেখান না৷ এই বয়সের শিশুরা গেম, সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত শখের প্রতি খুব আগ্রহী হয়৷ কিন্তু অভিভাবকরা এসব কাজে আগ্রহ দেখান না৷ এর ফলে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। কিন্তু আপনি যদি তাদের শখের প্রতি আগ্রহ দেখান, তাহলে তাদেরও ভাল লাগে৷ আপনি নিজেও তো এই সময়টা পেরিয়ে এসেছেন৷ আপনিও জানেন ১৪-১৬ বছর কতটা আবেগের৷ তাই ওকে একটু সময় দিন৷ কেবল মা-বাবা হয়ে ওঠার পরিবর্তে বন্ধু হয়ে ওঠার প্রথম পদক্ষেপটা না হয় আপনাই করলেন৷