রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নতুন মোড়! গৌড়বঙ্গের উপাচার্যের দফতর সিল করার নির্দেশ বোসের

University of Gour Banga: রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাতে নতুন মোড়! গৌড়বঙ্গের উপাচার্যের দফতর সিল করার নির্দেশ রাজ্যপালের

মালদহ: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে এবার নতুন মোড়। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের চেম্বার ‘সিল’ করে দেওয়ার নির্দেশ রাজভবনের। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিশ্বজিৎ দাসকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দিল রাজভবন।

শুধু তাই নয়, উপাচার্যের চেম্বার তথা অফিস সিল করার ক্ষেত্রে কোনওরকম বাধার সম্মুখীন হলে রেজিস্টার যেন পুলিশি সাহায্য নেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আচার্য তথা রাজ্যপালের তরফে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই নির্দেশিকা এসে পৌঁছোয় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আরও পড়ুন: রোজ সকালে এক ভুল! কিছুতেই কমছে না মেদ! মেনে চলুন এই নিয়ম, উপকার পাবেন নিশ্চিত

রাজ্যপালের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এদিনই প্রতিবাদ আন্দোলন করে তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা। এরই মধ্যে রাজ্যপাল তথা আচার্যের দফতর থেকে নতুন নির্দেশিকা এসে পৌঁছনোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার বিশ্বজিৎ দাস সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, রেজিস্টার এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটি এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরে জানিয়েছেন। এমন ঘটনায় তিনি হতবাক। এইরকম পরিস্থিতি অনভিপ্রেত বলেও মন্তব্য করেছেন রেজিস্টার। আগামী শনি ও রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি। সোমবার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান রেজিস্টার।

উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ওয়েবকুপার রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাকে ঘিরেই বিবাদের সূত্রপাত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়েবকুপার রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ওই মঞ্চে হাজির ছিলেন মালদহের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীরা।

এছাড়াও একাধিক তৃণমূল জনপ্রতিনিধি ও নেতৃত্ব।  বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই সম্মেলনের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় কংগ্রেস। কমিশন শোকজ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এর পরপরই উপাচার্যের পদ থেকে রজত কিশোর দে-কে অপসারণের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য। কিন্তু এর কয়েকঘন্টার মধ্যেই রজত কিশোর দে-কেই ফের গৌড়বঙ্গের উপাচার্য পদে বহাল করে রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর। নিজের পদে থেকে কাজ শুরু করেন উপাচার্যও। এবার উপাচার্যের অফিস বন্ধ করে দেওয়ার রাজ্যপাল তথা আচার্যের নির্দেশিকা এই সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করল।