সনাতনী মতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিথি হল গুরুপূর্ণিমা৷ শ্রবাণমাসের পূর্ণিমা তিথিকে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে উৎসর্গ করা হয়৷
গুরু পূর্ণিমা তিথিকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়৷ এই তিথিতে পালনীয় বিশেষ কিছু নিয়ম এবং আচার আচরণ আছে৷ প্রচলিত বিশ্বাস, সেগুলি মেনে চললে জীবনে ধনসম্পদ, শ্রী ও সৌভাগ্যের অভাব ঘটে না৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশারদ নন্দকিশোর মুদগল৷
এই তিথিতে বাড়ির প্রধান দরজায় মা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন অবশ্যই আঁকবেন৷ বাড়িতে এই পদচিহ্নে কোনও ধাতব রূপ থাকলে সেটি উত্তর দিকে রেখে তার সামনে আঁকুন মা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন৷ এতে দারিদ্র দূর হয়ে ভাল হয় অর্থভাগ্য
এই শুভ তিথিতে দেবী লক্ষ্মীর কাছে অর্পণ করুন নারকেলের তৈরি কোনও মিষ্টান্ন৷
গুরু পূর্ণিমার সন্ধ্যায় ধূপ দীপ সহকারে পুজো করুন চন্দ্রদেবের৷ খোলা জায়গায় যে কোনও সাদা খাবার প্রসাদ হিসেবে নিবেদন করুন চন্দ্রদেবকে৷
একটি নারকেল লাল কপড়ে মুড়ে তাতে আটা ও সিঁদুর লাগিয়ে অর্পণ করুন চন্দ্রদেবকে৷ এতে ব্যবসায় উন্নতি হয়৷
এই তিথিতে বেলগাছকে সুগন্ধি ধূপ ও দীপ দিয়ে পুজো করলে আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে৷
এই তিথিতে সাধ্যমতো অন্ন ও বস্ত্র দান করুন দরিদ্রদের৷ সম্ভব হলে গঙ্গায় স্নান করুন৷
সত্যনারায়ণের পুজো করাও খুব শুভ এই তিথিতে৷ বাড়ির উপর থেকে কুনজরের প্রভাব কেটে যায়৷
এদিন একটি সাদা কাপড়ের উপর মুগডাল, কালো তিল, কলাই, ছোলার ডাল, আটা রেখে সেটি নবগ্রহ যন্ত্রের কাছে স্থাপন করে মনে মনে মনস্কামনা বলুন৷ এতে গ্রহদোষ দূর হয়৷ নবগ্রহ যন্ত্রে তিলক কাটতে ভুলবেন না৷
