গাজা: ৭ অক্টোবর থেকে শুরু। হামাস আক্রমণ করে দক্ষিণ ইজরায়েল। শুরু হয়ে যায় গাজার যুদ্ধ। তার পর থেকেই যুদ্ধ নিয়ে উত্তাল যেমন দুই দেশ, তেমনই বিশ্ব রাজনীতি। তবে সম্প্রতি যে বড়সড় আক্রমণ ঘটে গেল, তা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে বেশ কয়েকগুণ।
জানা গিয়েছে যে রবিবার এই আক্রমণ ঘটেছে। ঘটনার দায় স্বীকার করে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস রবিবার বলেছে, যে তারা ইজরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আভিভে একটি “বড় রকেট ব্যারেজ” নিক্ষেপ করেছে। সেনাবাহিনী আক্রমণ প্রতিহত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রিমলের তাণ্ডব, রাতভর আতঙ্ক! একটি কারণেই বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা সুন্দরবন সহ দুই ২৪ পরগণার
এখানেই শেষ নয়। ইজেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড একটি টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছে যে তারা “নিরীহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ইহুদি (ইজরায়েলি) গণহত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তেল আভিভে একটি বড় রকেট ব্যারেজ ছুড়েছে”।
অন্য দিকে, ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার রাফা শহর থেকে দেশের মধ্যাঞ্চলে অন্তত আটটি রকেট ছোড়া হয়েছে। যদিও ইজরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই হামলা আংশিক প্রতিরোধ করতে পেরেছে৷
কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো এবার যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে তেল আভিভে রকেট সাইরেন বেজেছে।
🔴A barrage of rockets was launched from Rafah toward central Israel moments ago.
Humanitarian aid has been going into Gaza through the Kerem Shalom Crossing this morning, and now rockets are being fired at central Israel.
This is what it looked like from the Rafah Crossing: pic.twitter.com/wmQyVL4NKK
— Israel Defense Forces (@IDF) May 26, 2024
ইজরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের উপরে ভিত্তি করে এএফপি যে তথ্য দিয়েছে, সেই অনুযায়ী যুদ্ধ শুরুর পরে ১১৭০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এঁদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ ছিলেন বলে খবর।
আবার, ইজরায়েলের পাল্টা আক্রমণে গাজায় অন্তত ৩৫,৯৮৪ জন নিহত হয়েছেন, এঁদেরও বেশিরভাগই সাধারণ মানুশ, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অন্তত সেরকমই দাবি করছে।
ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ এই প্রথম হলেও ইতিপূর্বে গাজায় ড্রোন হামলা চলেছে। এপ্রিলেই ইরানি ড্রোন প্রতিহত করার ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিল ইজরায়েল।
রাতে ইজরায়েলের উপরে এই ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইরান। সঙ্গে সঙ্গে সতর্কবার্তা জারি করে দেয় নেতানিয়াহু সরকার। বিস্ফোরণের শব্দ পেলেই বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়। তবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৯৯ শতাংশ ড্রোন আকাশেই প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছিল সেই সময়ে ইজরায়েল।
বিবিসি সেই সময়ে তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, শুধু ইরান নয়, ইজরায়েলের উপর হামলায় যোগ দিয়েছে ইরানের মিত্র দেশগুলিও। সেই রাতে ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকেও হামলা চালানো হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের পাশাপাশি জর্ডন তাদের বাধা দেয়।