#রাজকোট: সুনীল গাভাসকার বলছেন ওর বয়সের দিকে তাকাবেন না। শুধু পারফরম্যান্স দেখুন। অস্ট্রেলিয়ার বিমানে ওর জায়গা পাকা। সচিন তেন্ডুলকর থেকে মহম্মদ কাইফ, প্রাক্তন ক্রিকেটাররা দীনেশ কার্তিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে হেরে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। বিশাখাপত্তনমের পর রাজকোটের জয়ে ভারত সিরিজ আপাতত ২-২ করতে পেরেছে।
যেভাবে ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং প্রোটিয়াদের গতকাল ৮২ রানে হারিয়েছে তাতে বেঙ্গালুরুতেও ঋষভ পন্থদেরই এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের জয়ের দুই অন্যতম কারিগর হার্দিক পাণ্ডিয়া ও দীনেশ কার্তিক ম্যাচের শেষে একে অপরকে কয়েকটি প্রশ্ন করলেন। তাতেই জানা গেল অনেক অজানা তথ্য।
In-flight insightful conversation ?
Learning from the great @msdhoni ?
Being an inspiration ?DO NOT MISS as @hardikpandya7 & @DineshKarthik chat after #TeamIndia‘s win in Rajkot. ? ? – By @28anand
Full interview ?️? #INDvSA | @Paytmhttps://t.co/R6sPJK68Gy pic.twitter.com/wx1o9dOPNB
— BCCI (@BCCI) June 18, 2022
রাজকোটে হার্দিক পাণ্ডিয়া ও দীনেশ কার্তিক জুটি বাঁধেন ভারতের স্কোর তখন ১২.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান। এরপর ৩৩ বলে ৬৫ রান যোগ করেন তাঁরা। ব্যাট করতে নেমে হার্দিক ব্যাটারদের জন্য কঠিন উইকেটে প্রথমদিকে অস্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু পরে কার্তিক ও হার্দিক যেভাবে ব্যাট করেন তাতে সেই উইকেটকেই পাটা বলে মনে হচ্ছিল।
এই পার্টনারশিপই ভারতকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দেয়। দীনেশ কার্তিক বলেন, হার্দিকের সঙ্গে বিশাখাপত্তনম থেকে রাজকোটে আসার সময় বিমানে কথা হচ্ছিল মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে খেলতে হবে, কাদের টার্গেট করতে হবে- সেসব বিষয় নিয়ে।
কার্তিক হার্দিককে আরও বলেন, আমি অনেকদিন আগেই ঠিক করেছি যে কোনও মূল্যে এবারের টি ২০ বিশ্বকাপ খেলতে হবে। আইপিএলে আরসিবি আমাকে সুযোগ দেয়। সেখানকার পারফরম্যান্সের সুবাদেই সকলের ভালোবাসা পাচ্ছি, কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচকরা আস্থা দেখাচ্ছেন।
ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমকে বাইরে থেকে দেখছিলাম বিগত কয়েক বছর ধরে। সেখানে যে দারুণ প্রতিযোগিতা চলে সে সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল ছিলাম। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দলে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। ড্রেসিংরুমে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে দারুণ এনার্জি রয়েছে। আমিও জানি মাঠে নেমে আমি দলের জন্য কীভাবে অবদান রাখতে পারি।
সিনিয়র হিসেবে কার্তিককে এই ছন্দে দেখে মুগ্ধ হার্দিক পান্ডিয়াও। দীনেশ কার্তিক যে তরুণ ক্রিকেটারদের আদর্শ হওয়া উচিত মনে করেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু হরেক রকম শট রপ্ত করলেন কিভাবে? কার্তিক বলছেন, ব্যক্তিগত কোচের সঙ্গে দিনে দুটো সেশন অনুশীলন করতাম। মোট তিন ঘন্টা। তাতেই সুফল পাচ্ছি। আমি তৃপ্ত নই। বিশ্বকাপের দলে নিজের নাম দেখতে মরিয়া।