নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি কমবয়সীদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরে অনেকেই তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু অনেকেই আবার সেই পরামর্শ মানতে নারাজ। যেমন ? আরপিজি এন্টারপ্রাইসের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কাও ইনফোসিস সহ-প্রতিষ্ঠাতার পরামর্শ একেবারেই সমর্থন করছেন না। তাঁর বক্তব্য, কোনও কর্মীর উৎপাদনশীলতা ঘণ্টায় পরিমাপ করা একদমই উচিত নয়। তিনি এই বিষয়টাকে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা, উদ্দেশ্য এবং ব্যক্তিগত উৎপাদনশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বর্ণনা করেছেন। এর পাশাপাশি হর্ষ গোয়েঙ্কা একটি নতুন আলোচনা প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন। তাঁর মতে, অফিসে বসে ৫ দিনের কাজ বন্ধ হওয়া উচিত।
এক্স (পূর্বে ট্যুইটার) সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে নিজের এই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছেন হর্ষ গোয়েঙ্কা। তাঁর কথায়, “পাঁচ দিনের অফিস সপ্তাহ একেবারেই বিলুপ্তির পথে! মানুষ নিজেদের অফিস টাইমের ৩৩ শতাংশ দূরবর্তী স্থানে থেকে কাজ করছে। আর এটাই খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে। কাজের সময়ের নমনীয়তা কর্মীদের কাছে অনেকটা ৮ শতাংশ বেতনবৃদ্ধির মতোই। নমনীয়তার অনুভূতি এবং অফিসে প্রতিদিনকার যাতায়াত বাদ দেওয়াটাকেই আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।”
হাইব্রিড ওয়ার্কই ভবিষ্যৎ: হর্ষ গোয়েঙ্কা বলেন যে, হাইব্রিড ওয়ার্ক মডেলই বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অফিস এবং রিমোট ওয়ার্ককে মিলিয়ে নিতে হবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৫০ অথবা ৭০ ঘণ্টা কাজের বিষয় নয়। এখন এটা কারও নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা, লক্ষ্য এবং উৎপাদনশীলতার বিষয়। পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে হবে। নতুন কাজের পটভূমিটাকেই বেছে নেওয়া আবশ্যক। সেই সঙ্গে বাড়ি আর অফিসের মধ্যে সঠিক ভারসাম্যও বজায় রাখতে হবে। আর কর্মজীবনের জন্য জরুরি বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেওয়ার এটাই সেরা সময়।
While we discuss the merits of a 70 hour week, we also need to think of working smart.
Here is a shining example 😂! pic.twitter.com/Ii2T2FwPfS— Harsh Goenka (@hvgoenka) November 1, 2023
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি একটি পডকাস্টে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন। যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, দেশের যুব সম্প্রদায়ের উচিত সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করা। যার অর্থ হল সপ্তাহে ৬ দিন অন্তত ১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা স্তরের সমস্ত ধরনের মানুষই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কেউ কেউ নারায়ণ মূর্তির এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তো আবার কেউ বা বিষয়টা একেবারেই মানতে চাননি। যেমন ? নারায়ণ মূর্তির এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন জানিয়েছেন ওলা-র প্রতিষ্ঠাতা ভাবিশ আগরওয়াল। আবার ভারতপে-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশনীর গ্রোভার বিষয়টাকে একেবারেই সমর্থন করেননি।