Tag Archives: Infosys

ব্যাঙ্কের মতো এবার LIC-তেও ডিজিটাল বিপ্লব? Infosys-কে বড় দায়িত্ব দিল জীবন বিমা সংস্থা

কলকাতা: ইনফোসিসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল এলআইসি। এবার বিমা সেক্টরেও হবে ডিজিটাল বিপ্লব। গ্রাহক যেমন ব্যাঙ্কের ডিজিটাল পরিষেবা ব্যবহার করেন, তেমন পরিষেবা এবার মিলবে এলআইসি-তেও। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছে দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থা।

এলআইসি DIVE (ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যান্ড ভ্যালু এনহ্যান্সমেন্ট) নামে একটি নতুন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন প্রোগ্রাম শুরু করেছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রাহক, ফিল্ড ফোর্স, কর্মী এবং অংশীদারদের নতুন অভিজ্ঞতা দিতে চায় এলআইসি। এই নেক্সটজেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইনফোসিসকে।

আরও পড়ুন-– এক বছর মেয়াদি FD-তে ৮.৫৫ শতাংশ হারে সুদ! বন্ধন ব্যাঙ্কের দারুণ অফার

নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এলআইসির জন্য পোর্টাল, ডিজিটাল শাখার মতো উচ্চ মূল্যের ব্যবসায়িক অ্যাপ্লিকেশনের ভিত তৈরি করবে। গ্রাহকরা ইন্টিগ্রেটেড এন্ড-টু-এন্ড ডিজিটাল ইনস্যুরেন্স-সহ বিভিন্ন ধরণের পরিষেবা পাবেন। এর ফলে কর্মীদেরও অনেক সুবিধা হবে। এলআইসির এই নেক্সটজেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হবে মডুলার, নমনীয়, ক্লাউড-নেটিভ। এতে থাকবে প্ল্যাটফর্ম-চালিত আর্কিটেকচার যা উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, নতুন পণ্য এবং ফিচারগুলিকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহককে উন্নত মানের পরিষেবা দেবে।

এই প্রসঙ্গে এলআইসির সিইও এবং এমডি সিদ্ধার্থ মোহান্তি বলেন, “প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের জীবন বিমা পরিষেবার সবরকম সুযোগ সুবিধা দেওয়াই এলআইসির লক্ষ্য। আন্তজার্তিক মানের ডিজিটাল সুবিধা দেওয়ার জন্যই ইনফোসিসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, “দেশের উন্নত ডিজিটাল ইকোসিস্টেম ব্যবহার করে গ্রাহককে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।’’

আরও পড়ুন- রাস্তা তৈরিতে খরচ ১,৯০০ কোটি, কিন্তু ৮০০০ কোটি টাকার টোল আদায় কেন করা হল? জবাব দিলেন গড়করি

ডিজিটাল পরিষেবার প্রয়োজনীয়তাও ব্যাখ্যা করেন এলআইসির সিইও এবং এমডি সিদ্ধার্থ মোহান্তি। তাঁর মতে, “এখন ডিজিটাল যুগ। সবাই একে অপরের সঙ্গে ডিজিটালি যুক্ত। অন বোর্ডিং এবং পোস্ট সেলস সার্ভিসের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা তাৎক্ষণিক পরিষেবা চান। এই কাজে আমাদের সাহায্য করবে প্রযুক্তি। গ্রাহক, এজেন্ট এবং স্টেকহোল্ডারদের সর্বোত্তম পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি।’’

প্রসঙ্গত, দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ইনফোসিসের SaaS (সফটওয়্যার-অ্যাজ-এ-সার্ভিস) সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। তেল এবং গ্যাস কোম্পানিগুলিও ইনফোসিসের এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে। স্বাস্থ্যসেবা, লজিস্টিকস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির অনেক কোম্পানিতেও এই সফটওয়্যারের বিপুল ব্যবহার হয়।

নারায়ণ মূর্তির ৭০ ঘণ্টা কাজের বক্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক; তার মাঝেই হাইব্রিড ওয়ার্ক মডেলকে স্বাগত জানানোর কথা বললেন আরেক শিল্পপতি

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি কমবয়সীদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরে অনেকেই তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু অনেকেই আবার সেই পরামর্শ মানতে নারাজ। যেমন ? আরপিজি এন্টারপ্রাইসের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কাও ইনফোসিস সহ-প্রতিষ্ঠাতার পরামর্শ একেবারেই সমর্থন করছেন না। তাঁর বক্তব্য, কোনও কর্মীর উৎপাদনশীলতা ঘণ্টায় পরিমাপ করা একদমই উচিত নয়। তিনি এই বিষয়টাকে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা, উদ্দেশ্য এবং ব্যক্তিগত উৎপাদনশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বর্ণনা করেছেন। এর পাশাপাশি হর্ষ গোয়েঙ্কা একটি নতুন আলোচনা প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন। তাঁর মতে, অফিসে বসে ৫ দিনের কাজ বন্ধ হওয়া উচিত।

এক্স (পূর্বে ট্যুইটার) সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে নিজের এই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছেন হর্ষ গোয়েঙ্কা। তাঁর কথায়, “পাঁচ দিনের অফিস সপ্তাহ একেবারেই বিলুপ্তির পথে! মানুষ নিজেদের অফিস টাইমের ৩৩ শতাংশ দূরবর্তী স্থানে থেকে কাজ করছে। আর এটাই খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে। কাজের সময়ের নমনীয়তা কর্মীদের কাছে অনেকটা ৮ শতাংশ বেতনবৃদ্ধির মতোই। নমনীয়তার অনুভূতি এবং অফিসে প্রতিদিনকার যাতায়াত বাদ দেওয়াটাকেই আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।”

আরও পড়ুন? ১৫ বছরে বিয়ে, ১৮ বছরে মা, ধর্মেন্দ্রর ছেলেকে শিখিয়েছিলেন সহবত, দেব আনন্দ বলতে এখনও পাগল ?বালিকা বধূ?

হাইব্রিড ওয়ার্কই ভবিষ্যৎ: হর্ষ গোয়েঙ্কা বলেন যে, হাইব্রিড ওয়ার্ক মডেলই বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অফিস এবং রিমোট ওয়ার্ককে মিলিয়ে নিতে হবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৫০ অথবা ৭০ ঘণ্টা কাজের বিষয় নয়। এখন এটা কারও নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা, লক্ষ্য এবং উৎপাদনশীলতার বিষয়। পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে হবে। নতুন কাজের পটভূমিটাকেই বেছে নেওয়া আবশ্যক। সেই সঙ্গে বাড়ি আর অফিসের মধ্যে সঠিক ভারসাম্যও বজায় রাখতে হবে। আর কর্মজীবনের জন্য জরুরি বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেওয়ার এটাই সেরা সময়।

আরও পড়ুন- মাত্র ১৫ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি এই ছবি আয় করেছিল ৯৬৫ কোটি! দুর্দান্ত অভিনয়ে চমকে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রীও

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি একটি পডকাস্টে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন। যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, দেশের যুব সম্প্রদায়ের উচিত সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করা। যার অর্থ হল সপ্তাহে ৬ দিন অন্তত ১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা স্তরের সমস্ত ধরনের মানুষই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কেউ কেউ নারায়ণ মূর্তির এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তো আবার কেউ বা বিষয়টা একেবারেই মানতে চাননি। যেমন ? নারায়ণ মূর্তির এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন জানিয়েছেন ওলা-র প্রতিষ্ঠাতা ভাবিশ আগরওয়াল। আবার ভারতপে-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশনীর গ্রোভার বিষয়টাকে একেবারেই সমর্থন করেননি।