চকোলেট খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ বোধহয় নেই। সে ক্যাডবেরি হোক কিংবা ডার্ক চকোলেট প্রিয়জনদের ভালবাসা হোক কিংবা উৎসব অনুষ্ঠানে, চকোলেট দেওয়া তো চাই চাই। তবে ইতিমধ্যেই চলছে প্রেমের মরশুম, যেখানে চকলেট দিতেই হবে প্রিয়জনকে। তবে এবার বেছে চকলেট দিন আপনার কাছের মানুষকে। চকলেটে পেয়ে যেমন আনন্দ পাবে আপনার প্রিয়জন তেমনি খেয়ে শরীরে আসবে পুষ্টিগুণ। (রঞ্জন চন্দ)চকোলেটপ্রেমীরা সকলেই ডার্ক চকোলেটের সঙ্গে পরিচিত। তবেই ডার্ক চকোলেটের পুষ্টিগুণ জানলে অবাক হবেন। প্রসঙ্গত, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে খাওয়াদাওয়ায় অনেক বাধ্যবাধকতা আসে। প্রতিদিনের মেনু থেকে বাদ দিতে হয় ভাল ভাল খাবার। এরপর যদি হয় ডায়াবেটিস তবে মিষ্টি জিনিসের সঙ্গে চিরকালের জন্য বিচ্ছেদ সৃষ্টি হয়। বাধা আসে চকোলেট খাওয়াতেও।তবে সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস মানেই চকোলেট খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে, তার কোনও মানে নেই। ডায়াবেটিকরা অনায়াসে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। বরং ডার্ক চকোলেটে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম করে ডার্ক চকোলেট খাওয়া যেতেই পারে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,ডার্ক চকোলেট হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। ডার্ক চকোলেটে থাকা কোকো রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে কোকো, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। কোকোর মধ্যে থাকে ভরপুর মাত্রায় ফ্ল্যাভনয়েড, যা মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালনা বাড়িয়ে দেয়।পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন মন্তব্য করেন, বার্ধক্য জনিত প্রভাব কমাতে ভরসা ডার্ক চকলেট। ডার্ক চকলেটে থাকা বিশেষ উপাদান ত্বকের পক্ষে বেশ উপকারী।এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।