লাইফস্টাইল Health: অমৃতসমান…! গরমের এই ফলের বীজ ‘মহৌষধ’! রোগ ছুঁতে পারবে না, ‘সঞ্চয়’ করে রাখলে সারা বছর বাঁচাবে Gallery June 16, 2024 Bangla Digital Desk গ্রীষ্মের মরশুমে বাজারে আরও একটি রসালো ফল পাওয়া যায়। সেটি হল খরমুজ। মে এবং জুন মাসে সারা বাজারেই দেখা মিলবে এই ফলটির। উপকারী এই ফলটির বীজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যা একাধিক রোগের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে খরমুজের বীজের গুরুত্ব অপরিসীম। ওষুধ তৈরিতেও তা ব্যবহার করা হয়। আর মে-জুন মাস নাগাদই এই ফলের বীজ সংগ্রহ করা হয়। গ্রীষ্মের মরশুমে প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয় খরমুজ। এর পাশাপাশি এর বীজ খাওয়াও সমান ভাবে উপকারী। এমনটাই দাবি করেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসাবিদেরা। তাঁদের বক্তব্য, খরমুজের বীজ দারুণ ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। কিন্তু কীভাবে এর থেকে তৈরি হয় ওষুধ। আর কীভাবেই তা ব্যবহার করা সম্ভব। এবার সেটাই দেখে নেওয়া যাক। খরমুজ খাওয়া হয়ে গেলে তা থেকে প্রাপ্ত বীজ রোদে শুকাতে হবে। তবে তার আগে বীজ বার করে সেটা পরিষ্কার করতে হবে। তারপর তা কোনও পাত্রে ছড়িয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। যাতে বীজের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে, তাই এমনটা করা হয়ে থাকে। আর খরমুজের বীজ শুকিয়ে নেওয়ার সময় তাপমাত্রার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিক। কারণ এর মধ্যে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। হার্বাল নলেজ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ঈশ্বর চন্দ্র মন্ডুশিয়া বলেন, খরমুজের বীজ বিভিন্ন খাবারে যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। বাড়ির বাচ্চাদের ব্রেকফাস্ট বা প্রাতরাশে ব্রেড এবং কেচ-আপ অথবা স্যালাডের সঙ্গে খরমুজের বীজ মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে পারে। এছাড়া যাঁরা জিম করেন এবং ব্যায়াম করেন, তাঁরা খরমুজের বীজ গুঁড়ো করে প্রোটিন শেকের মধ্যে এক চামচ যোগ করে প্রতিদিন পান করতে পারেন। এখানেই শেষ নয়, লাড্ডু তৈরির সময়েও খরমুজের বীজও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ছোট শিশুরা যখন দুধ পান করতে অনীহা প্রকাশ করে, তখন এই বীজের গুঁড়ো দুধে মিশিয়ে তাদের খাওয়ানো যেতে পারে। এতে দুধের স্বাদ আরও বেড়ে যায় এবং শিশুরা আনায়াসে তা পান করে নেয়।