লাইফস্টাইল Custard Apple: ক্যালসিয়াম, ফাইবারের খনি! জিভে জল আনা স্বাদ! কিন্তু খেলেই সর্বনাশ…কাদের খাওয়া উচিত নয় আতা? Gallery October 20, 2024 Bangla Digital Desk ফল খেলে সুস্থ থাকবে শরীর। ভিটামিন, ফাইবারের ভরা বেশিরভাগ ফলই স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি ফলেরই উপকারিতা আলাদা। তেমনই একটি চেনা ফল হল আতা। আতা খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আতাকে ক্যালসিয়াম ও ফাইবারের মতো পুষ্টির খনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গাছের ফল ছাড়াও ছাল, বীজ ও পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে এত উপকারী হলেও আতা খাওয়া সকলের জন্য মোটেই নয়। একাধিক রোগ সারাতে যেমন উপকারী আতা, তেমনি কিছু শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলা উচিত এই ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীর থেকে ক্ষতিকর জীবাণু দূরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন রোগজীবানু দূরে রাখে। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, মেথিওনিনের মতো পুষ্টি উপাদানগুলি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলেন এটি সামান্য পরিমাণে খেতে হবে। অন্যথায় কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যা শরীরের জন্য বড় ক্ষতি৷ চিকিত্সক নিত্যানন্দ ত্রিপাঠী জানালেন, বহুগুণে সমৃদ্ধ আতাও কারও কারও এড়িয়ে চলা উচিত। কাদের খাওয়া উচিত নয় আতা, জেনে নিন। চিকিত্সকের মতে, যাদের আতা খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হয়, তাদের এড়িয়ে চলা উচিত এই ফল। কেউ কেউ এই ফল খাওয়ার পর চুলকানির সমস্যায় ভোগেন। আতায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে৷ তবে এটি বেশি খেলে ফোলাভাব অনুভব করতে পারেন৷ পেটে ব্যথাও হতে পারে। আবার কখনও কখনও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ড.নিত্যানন্দ ত্রিপাঠী বলেন,আতা ফল স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী হলেও এর বীজ খুবই বিষাক্ত। তাই ভুল করেও বীজ গিলে ফেলবেন না৷ এই ফলের বীজে থাকা কিছু যৌগ স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। অ্যানোনাসিন নামক টক্সিন থাকায় এটি নার্ভের সমস্যা সৃষ্টি করে। যারা নার্ভের সমস্যায় ভুগছেন ওষুধ খান তারা এই ফলটি খেলে তাদের রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে যেতে পারে। কারও কারও আবার চোখ লাল হয়ে জলও পড়তে পারে। আতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এই কারণে, কিছু লোক বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা এবং প্রদাহও হতে পারে। ড.নিত্যানন্দ ত্রিপাঠী আরও বলেন, ঠান্ডা আবহাওয়ায় এই ফল খেলে সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলো ক্যালোরি সমৃদ্ধ। এর ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। গর্ভবতী মহিলাদের যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। ভুলবশত পাকস্থলীতে বীজ ঢুকলে গর্ভপাতের ঝুঁকিও থাকে। যারা স্থূলতায় ভুগছেন তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত।