লাইফস্টাইল Health Tips:পুরুষদের স্ট্যামিনা বাড়ানোয় বড়-বড় ওষুধকে হার মানায় এই গাছ,লিভার ভাল রাখে, কাবু করে ডায়াবেটিস Gallery October 18, 2024 Bangla Digital Desk কদম গাছের ওষধি গুণ জানলে চমকে যাবেন। রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতার জন্যও কদম গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। আয়ুর্বেদেও এর উল্লেখ রয়েছে। এই গাছের ছাল থেকে পাতা, ফুল, ফল সবই উপকারী। বলা হয়, কদম গাছের পাতা সেবনে লিভার ভাল থাকে। প্রাচীনকালে এর নির্যাস চর্মরোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হত। কদম গাছের ফুল, ফল ও বাকল অনেক ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। এমনটাই সুশ্রুতের গ্রন্থে বলা হয়েছে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, এর ফল শরীরের ত্রিদোষ অর্থাৎ বাত, কফ এবং পিত্ত নিয়ন্ত্রণে রাখে। কদম ফল পুরুষদের জন্য খুব উপকারী। নিয়মিত সেবনে শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শরীরের স্ট্যামিনা বাড়ে। কদম ফল খেতে তেঁতো। কিন্তু শরীরের অনেক গুরুতর সমস্যার প্রতিষেধক। অনেক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে তৈরি দ্রবণ ক্ষতস্থানে লাগালে ঘা সেরে যায়। আবার এর পাউডার জলে গুলে মাখলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। তিনি বলছেন, কদম কোনও সাধারণ গাছ নয়, ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। নিয়মিত সেবনে শরীরে কফের সামান্য বৃদ্ধি ঘটলেও পিত্তজনিত রোগ দূর করে। এছাড়া আরও অনেক রোগের চিকিৎসাতেও এই ফল প্রতিষেধক হিসাবে প্রমাণিত। কদম ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং আয়রন রয়েছে যা রক্তশূন্যতায় উপকারী। পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। খিদে বাড়ে। কদম ফলের গুঁড়ো কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম নিরাময় করে। এর বাকল এবং পাতায় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর পাতা মুখের ঘা, চোখের সমস্যা, কাশি, দুর্বলতা এবং পা ফোলার মতো সমস্যায় ব্যবহার হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কদম গাছের চাষ হয়। মোটা টাকা আয় করেন কৃষকরা। কারণ এর কাঠের অনেক দাম। টেবিল, চেয়ার এবং অন্যান্য আসবাবপত্র তৈরি হয়। কদম কাঠ শক্তিশালী এবং টেকসই। তাই আসবার শিল্পে এর চাহিদা রয়েছে।