হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মূর্তি তার বসতভিটাতে

South 24 Parganas News: হারিয়ে যাচ্ছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত বহড়ুর এই বাড়ি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা : প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ১০৫ তম জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে জয়নগরের বহড়ুর পৈতৃক ভিটিতে তাঁর নামে সংগ্রহশালা ও এলাকার নামকরণ তাঁর নামে করার দাবি করলেন এলাকার মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আক্ষেপ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটের প্রতি নজর নেই প্রশাসনের। এমনকী, জন্মদিনে পৈতৃক ভিটেতে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদানও করতে দেখা যায়নি প্রশাসনের লোকজনকে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাবা কালীদাস মুখোপাধ্যায়ের ভিটে ছিল বহড়ু ক্ষেত্র পঞ্চায়েতের উত্তর দুর্গাপুরের ঢিবের হাট গ্রামে।

১৯২০ সালে বারানসীতে মামার বাড়িতে জন্ম হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের। তাঁরা চার ভাই এক বোন ছিলেন। জন্মের কিছুকাল পরে কালীদাস মুখোপাধ্যায় পরিবার নিয়ে চলে আসেন ঢিবের হাট গ্রামে। বহড়ুর এক পাঠশালায় তারপরে বহড়ু উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনাও করেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। গ্রামে তাঁর এক আত্মীয় বলেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় গ্রামে কলেরা হয়। তখন সবাইকে নিয়ে তাঁর বাবা চলে যান। বাড়ির কালী মন্দিরে ছোট বেলায় নিয়মিত পুজো করতেন হেমন্ত। সেটির চারপাশ আগাছায় ভরা। বাড়িতে আসার রাস্তা ইটের। হেমন্তের ছোটবেলার ভিটে ক্ষতবিক্ষত অবস্থা মুখ ভেংচে বলে দিচ্ছে কেউ মনে রাখেনি বরেণ্য এই সঙ্গীত শিল্পীকে।

আরও পড়ুন-     গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এই এলাকার নামকরণ অন্তত হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নামে হোক। একই সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখতে সংগ্রহশালার দাবিও প্রশাসনের কাছে করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে ২০২১ সালে শিল্পীর জন্মশতবর্ষ পূর্তিতে হেরিটেজ কমিটি ফর গ্রেটার জয়নগর ও বহড়ু দক্ষিণ পাড়া শ্রী দুর্গা ক্লাবের উদ্যোগে ওই এলাকায় শিল্পীর ৯ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আবরন উন্মেচোন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন-     বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

জন্মদিনে শিল্পীর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন হেরিটেজ কমিটি ফর গ্রেটার জয়নগরের সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ তরুণ কান্তি নস্কর। এদিন তরুণ কান্তি নস্কর বলেন, এখানকার বাসিন্দারা সবাই চান একটি সংগ্রহশালা হোক। জয়নগর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন থেকে অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের দাবি কুলপি রোডের একটি অংশের নামকরণ ও বহড়ু স্টেশনের নাম শিল্পীর নামে হোক।

সুমন সাহা