লাইফস্টাইল High Cholesterol Tips: ধমনীতে আঠার মতো লেগে থাকা কোলেস্টেরলকে টেনে বার করে..সুগারেও ধন্বন্তরি! শুধু ১৫ দিন খেয়ে দেখুন এই ভাবে Gallery May 16, 2024 Bangla Digital Desk আজকের ব্যস্ত জীবনের জন্য অল্প বয়সেই নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে মানুষ। হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র হাই কোলেস্টেরল নয়, এমন একাধিক রোগ রয়েছে যাতে তুলসী পাতা অত্যন্ত কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা জানি, ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তুলসী পাতা৷ তবে স্বাস্থ্যের উপরেও এই তুলসীর গুণ অনস্বীকার্য। তুলসী গাছে থাকা উপাদান অনেক বড় রোগে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী, রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রক্তে শর্করার মাত্রা সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। এর জন্য তুলসী খুবই কার্যকরী। প্রি-ডায়াবেটিক অবস্থা বা টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, তুলসী খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তুলসী পাতার ব্যবহার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতেও সাহায্য করে। সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি এটি ক্ষত নিরাময়েও সহায়ক। আসুন জেনে নেই তুলসীর প্রধান স্বাস্থ্য উপকারিতা। হার্টের শিরায় জমা খারাপ কোলেস্টেরল হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো জরুরি। এর জন্য তুলসী খাওয়া খুবই কার্যকরী হতে পারে। প্রাণীজ গবেষণার সময় দেখা গেছে, যে তুলসী খাওয়া খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া তুলসীর তেলও বেশ উপকারী। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্টে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর্থ্রাইটিস, হাড় সম্পর্কিত একটি গুরুতর রোগ, এটিও খুব যন্ত্রণাদায়ক। এমন পরিস্থিতিতে জয়েন্টের ব্যথা কমাতে এবং ফোলাভাব দূর করতে তুলসী খাওয়া উপকারী। তুলসী পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যে কারণে হাড়ের জয়েন্ট সংক্রান্ত সমস্যায় তুলসী খুবই কার্যকর। পেটের সমস্যা খুবই সাধারণ এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে তার থেকে অনেক মারাত্মক রোগও দেখা দিতে পারে। তুলসী পেটের আলসারজনিত চাপ থেকে মুক্তি দেয়। এর পাশাপাশি, এর নিয়মিত সেবন পাকস্থলীর অ্যাসিড কমায় এবং শ্লেষ্মা নিঃসরণ বাড়ায়। এতে শ্লেষ্মা কোষও বৃদ্ধি পায়। তুলসী পাতার নির্যাস আঘাতের পরে ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। তুলসীতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যানালজেসিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে এর নিয়মিত ব্যবহার খুবই উপকারী হতে পারে। প্রতিদিন সকালে ৪-৫টি তুলসী পাতা নিয়মিত খান৷ ১৫ দিনেই দেখতে পাবেন লাভ৷ Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ১৮ নিশ্চিত করে না৷ প্রতিটা মানুষের শরীর এবং তাঁদের রোগের ধরন আলাদা৷ কোনও নতুন কিছু শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷