গরমে রান্না করতে গিয়ে নাজেহাল৷ ঘেমে নেয়ে একসার৷ ফলে গরমে কেউ রান্নাঘরে বেশিক্ষণ থাকতেই চান না৷ কিন্তু, খাবার না খেয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে না চাইলেও রান্নাঘরে যেতে হয় বাড়ির মহিলাদের। শাক-সবজি, রুটি, ডাল, ভাত সব কিছু তৈরি করতে গ্যাসের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ১৫ মিনিটের মধ্যে কপাল থেকে ঘাম ঝরতে শুরু করে। তবে এই রান্নাঘরই এবার থাকবে সুপারকুল৷ এর জন্য আপনাকে কিছু টিপস মানতে হবে। এগুলো ব্যবহার করে দেখুন, রান্নাঘরে থাকতে সমস্যা হবে না, তাপ থেকেও রক্ষা পাবেন।আপনি যা বানাতে চান, উপকরণগুলো আগেই সংগ্রহ করুন। সবজি কেটে নিন। মশলা প্রস্তুত করুন। রাতে বা সকালে ঘুমানোর আগে কিছু সময় আলাদা করে রেখে এসব কাজ করা উচিত। আপনি যখন রান্নাঘরে যান, তখন এই সমস্ত কাজেও বেশি সময় লাগে। রান্নাঘরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে আবার গরম অনুভব করা যায়।গরমে সহজ এবং দ্রুত তৈরি হওয়া খাবার তৈরি করুন। এই সময় অত্যধিক তেল-মশলা যুক্ত জিনিস খাওয়াও অস্বাস্থ্যকর। শুধুমাত্র সেই জিনিসগুলি তৈরি করুন যাতে বেশি সময় লাগে না। সাধারণ খাবার বেছে নিন, যা কম পরিশ্রমে এবং কোনও কৌশল ও পদ্ধতি ছাড়াই প্রস্তুত করা যায়।রান্নাঘরে দিনের বেলা ১২ থেকে ২টা পর্যন্ত খাবার রান্না করেন মহিলারা। এ সময় সূর্যের প্রবল তাপের কারণে ঘরের ভিতরও তাপ বেড়ে যায়। রান্নাঘরে সেই গরম যেন দ্বিগুণ হয়৷ এখানে এসি বা কুলার লাগানো সম্ভব নয়। ফলে গর বাড়তে থাকে৷ কষ্টে রান্না করতে হয়৷ কিন্তু আপনি যদি দিনে তিন বেলা রান্না করেন, তবে সকালে সমস্ত কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। পরে খাওয়ার সময় দিন-রাতের জন্য প্রস্তুত শাক-সবজি, চাল, ডাল ইত্যাদি গরম করে খেতে হবে। এটি দিয়ে আপনাকে বারবার রান্নাঘরে যেতে হবে না। আর গরমও কম লাগবে৷যদি রান্নাঘরে এক্সজস্ট ফ্যান এবং চিমনি লাগানো থাকে, তাহলে অবশ্যই সেগুলো ব্যবহার করুন। এটি রান্নার সময় ধোঁয়া, বাষ্প, তেল এবং মশলার গন্ধ দূর করবে। রান্নাঘরের জানালা খুলুন। এতে রান্নাঘরের ভিতরে আর্দ্রতা, ময়লা এবং গন্ধ জমবে না। আপনি যখনই রান্নাঘরে প্রবেশ করবেন তখন আপনি পরিষ্কার, শীতল এবং গন্ধমুক্ত বোধ করবেন।গ্যাসের কাছে দাঁড়িয়ে রান্না করার সময় বেশিরভাগ গ্যাস নষ্ট হয়। এমন সব রেসিপি তৈরি করা উচিত যাতে বেশিক্ষণ গ্যাসের চুলার কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। এর মাধ্যমে আপনি আপনার রুটিন জিনিস থেকে ভিন্ন কিছু খেতে পাবেন। ফল, সালাড, জুস, হালকা ও সেদ্ধ জিনিস খেতে পারেন। এগুলো সহজে হজম হবে এবং শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না।