![ডিম খেতে ভালবাসেন। কিন্তু ডিম খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেন প্রতিবার। এবার থেকে তা না করে জমিয়ে রাখুন এক জায়গায়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4524925_img_20240703_133424_watermark_03072024_133553_5.jpg)
![ডিমের খোসায় প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সেজন্য ডিমের খোসা গুঁড়ো করে গাছের সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4524925_img_20240703_133500_watermark_03072024_133630_2.jpg)
![পাখিদের খাবার হিসাবে ডিমের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। সেজন্য ডিমের খোসা গুঁড়ো করে বারান্দায় কিংবা ছাদে একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4524925_img_20240703_133434_watermark_03072024_133756_4.jpg)
![রান্না করার সময় অজান্তে অনেক সময় পুড়ে যায় কড়াই। সেই কড়াই আবার ঝকঝকে করে তুলতে ডিমের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে পারে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4524925_img_20240703_133511_watermark_03072024_133837_1.jpg)
![প্রথমে ডিমের পরিষ্কার খোসাগুলি গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর ওই পোড়া পাত্রের মধ্যে খোসার গুঁড়ো, লবণ এবং জল দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4524925_img_20240703_133447_watermark_03072024_133854_7.jpg)
![জল ফুটে উঠলে সেটা ফেলে দিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলেই দেখবেন ডিমের খোসার কামাল।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4524925_img_20240703_133522_watermark_03072024_133954_3.jpg)
গরমের দাপট তো জারি রয়েছেই। কিন্তু গরম মানেই তো আবার টানা লম্বা গরমের ছুটি। একটা সময় ছিল, যখন স্কুলে গরমের ছুটি পড়লেই যাওয়া হত মামাবাড়িতে। সেখানে নানা মজা-আনন্দ অপেক্ষা করে থাকে। খেলাধূলা, গল্পের বই পড়া থেকে শুরু করে দিদিমার আঁচলের তলায় ঘুমোনো সবটাই যেন মধুর স্মৃতির পাতায় লেখা হয়ে থাকে। আর সেই সময়কার গরমের ছুটির দিনগুলো জড়িয়ে থাকত নিখাদ এবং নির্ভেজাল আনন্দ।
কিন্তু এরপর বড় হয়ে যাওয়ার পর সবটা বদলে যায়। শুরু হয় কেরিয়ার জীবনের ব্যস্ততা। কাজের জন্য দৌড়াদৌড়ি। ফলে আর উপভোগ করা যায় না গরমের ছুটি। গরমকালটা কেটে যায় ল্যাপটপের সামনে বসেই। কাজ করতে করতেই সময় কেটে যায়। এমনকী রান্নাঘরে সামান্য কাজেরও সময় মেলে না। ফলে রান্নাঘরের বেসিনে ডাঁই জমতে থাকে এঁটো বাসন। ফলে হাতে সময় পেলেই তা মেজে পরিষ্কার করা হয়ে ওঠে। আর গরমে যেহেতু তাপমাত্রার পারদ বাড়ে, তাই এঁটো বাসনে খাবার অবশিষ্টাংশও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতে থাকে। ফলে সেটা ঘষেমেজে পরিষ্কার করা আরও কঠিন হয়ে ওঠে। ফলে গরমের দিনে বাসন মাজতে বেশি কসরত না করতে হয়, তার জন্য রইল কিছু উপায়।
কম বাসন ব্যবহার:
গরমের দিনে এমন বাসন ব্যবহার করতে হবে, যেখানে রান্না এবং পরিবেশন উভয়ই করা সম্ভব। এর জন্য উপযুক্ত ক্যাসেরোলের মতো পাত্র। আসলে এর মধ্যে রান্না করে ওভেন থেকে নামিয়ে সরাসরি টেবিলে পরিবেশনের জন্য রাখা যায়। আর রান্নাবান্নার জন্য একটাই পাত্র ব্যবহার করা উচিত। অর্থাৎ এমন পাত্র ব্যবহার করতে হবে, যেখানে ভাত কিংবা তরকারি উভয়ই রান্না করা যাবে। আবার গরমে খাটনি কমাতে ওয়ান-পট মিলও তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। এতে বেশি বাসনও মাজতে হবে না, আবার রান্নাও বেশি করতে হবে না।
কিছু জরুরি জিনিসের ব্যবহার:
সমস্ত বাসন ব্যবহার করার পরে ঈষদুষ্ণ গরম জলে তা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে থালাবাসনে থাকা এঁটোকাঁটা নরম হয়ে আসবে। আর তা একবার মাজলেই অনায়াসে উঠে আসবে। এর সঙ্গে ভাল স্পঞ্জ এবং ভাল মানের ডিশওয়াশিং লিক্যুইডও ব্যবহার করা আবশ্যক। প্লেট এবং গ্লাসের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখার জন্য একটি বড় বাটিতে জল নিয়ে তাতে ১ চা-চামচ ডিশ জেল মিশিয়ে নিতে হবে। এতে বাসনে খাবার, তেল-মশলার গন্ধও থাকবে না আর তা ঝকঝক করবে।
বাসনকোসনের জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নেওয়া:
গরমের দিনে বাসন ধোওয়ার পরে জল ঝরিয়ে নিয়ে আলাদা করে শুকিয়ে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন হয় না। বাসন শুকানোর র্যাকে বাসন রেখে দিলেই হয়ে যাবে।
রান্নাঘর যে কোনও বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ পরিবারের পরিজনদের সুস্থ রাখার পিছনে এই স্থানের স্বাস্থ্যকর দিক এবং পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়ির মহিলাদের রান্নাঘরে থাকতে হয় দিনের একটা বড় অংশ৷ অতিরিক্ত গরম, আর্দ্রতা এবং রান্নাঘরের তাপে গলদঘর্ম হতে হয়৷ জানুন কীভাবে এই সমস্যা থেকে তাঁরা মুক্তি পাবেন৷ রইল সহজ টিপস৷
রান্নার সময় পরিবর্তন
চেষ্টা করুন সকাল সকাল রান্না শুরু করার৷ তাহলে বেলা বেশি গড়ানোর আগেই চটজলদি শেষ করতে পারবেন দিনের রান্নার অধিকাংশটাই৷ বেলা যত বাড়বে তত বাড়বে তাপমাত্রা ও অসহনীয় আর্দ্রতা৷
চটজলদি রেসিপি
গরমে এমনিতেই কম তেলমশলার হাল্কা ও পাতলা রেসিপি শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ভাল৷ এমন রেসিপি খুঁজে বার করুন, যাতে সময় কম লাগবে৷ ভাল থাকবে শরীরও৷
নামমাত্র রান্না
ডায়েটে রাখুন বেশি করে ফল, স্যালাড, হাল্কা ও সিদ্ধ করা খাবার৷ গ্যাসের আঁচ কমিয়ে রাঁধুন৷ দেখুন যাতে যত কম সময় রান্নার পিছনে ব্যয় করা যায়, ততই ভাল৷
আরও পড়ুন : থাইরয়েডে কমছেই না? নিয়মিত খান এই ৩ খাবার! আপনাকে ছেড়ে রোগ পালাবে বহুদূর
প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন
সবজি কাটা, মশলা তৈরি করা-সহ রান্নার একাধিক প্রস্তুতির ধাপ আগেই সেরে রাখুন৷ এতে আপনার সময় সাশ্রয় হবে৷ রান্নাঘরের অতিরিক্ত গরমে বেশিক্ষণ থাকতেও হবে না৷
এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার
রাঁধার সময় ব্যবহার করুন এগজস্ট ফ্যান৷ এতে রান্নাঘরে তেলকালি মশলা জমবে না৷ চটচটে হবে না দেওয়ালের টাইলস বা অন্য কোনও অংশ৷ গরমে রান্নাঘর একদিকে যেমন পরিষ্কার থাকবে, আপনিও রেহাই পাবেন গলদঘর্ম হওয়ার হাত থেকে৷