কোচবিহার: কোচবিহারের ২ নং ব্লকের খাপাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘরঘড়িয়া প্রথম খণ্ড এলাকায় আচমকাই ঘটে গেলে এক মর্মান্তিক ঘটনা। গোখরো সাপের কামড়ে প্রাণ হারালেন ২৭ বছর বয়সী গৃহবধু। বর্তমানে ওই বাড়ি জুড়ে শুধুই কান্নার রোল
একদিকে মনসা পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙলি। আর অপরদিকে এই ঘটনা যেন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে গোটা গ্রামে। ওই আক্রান্ত গৃহবধূকে এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মৃত্যুর ঘটে। ফলে তাঁকে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: খাঁ খাঁ করছে গোটা হাসপাতাল, মুখ ফেরালেন রোগীরাও! চেনা আরজি করকে এখন চেনাই দায়
স্থানীয় এক ব্যক্তি নারায়ণ চন্দ্র রায় জানান, এলাকার এক গ্রামবাসীর নাম নিতাই বর্মন। তাঁর স্ত্রী অনিতা মালো নিজের ছয় বছরের শিশুকে নিয়ে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। তখনই আচমকা একটি ভারতীয় গোখরো সাপ তাঁকে পায়ে কামড় দেয়। তবে প্রথমে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন নি। তবে তারপর যখন আবার সাপটি কামরায়। তখন তিনি দেখেন তাঁর পায়ের থেকে রক্ত পড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে তিনি আশেপাশের মানুষদের ডাকার চেষ্টা করেন তবে তিনি ঘরের মেঝেতে পড়ে যান। তারপর এলাকার মানুষেরা তাঁকে উদ্ধার করে এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে পরবর্তী সময়ে সর্প উদ্ধারকারী ও বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ
সর্প উদ্ধারকারী অর্ধেন্দু বণিক জানান, তারা ওই বাড়িতে গিয়ে সাপটিকে ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করেন। সাপটি ঘরের একটি কোনার খুঁটির পেছনে লুকিয়ে বসেছিল। বেশ কিছুটা সময়ের প্রচেষ্টায় সাপটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
বন দফতর সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, “উদ্ধার করা সাপটিকে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তারপর সেটিকে জনবসতি থেকে দূরে জলা এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় মৃতার পরিবারকে সরকারি সাহায্যের বিষয়ে যথা সম্ভব সাহায্য করা হবে। তবে গ্রামবাসীদের আতঙ্ক দূর করতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।”
তবে জেলায় একের পর এক সাপের কামড়ের ঘটনা সামনে এসেই চলেছে। কয়েকদিন আগে একটি বাচ্চা ছেলেকে সাপ কামড়ায়। বর্তমানে সে এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ের ঘটনায়।
Sarthak Pandit