পাঁচমিশালি Cyclone Name: ‘আমফান’ দিয়েছিল থাইল্যান্ড, ‘ফণী’ বাংলাদেশ, ‘রিমল’ দিল ওমান! জানেন কীভাবে স্থির হয় ঝড়ের নাম? Gallery May 26, 2024 Bangla Digital Desk ধেয়ে আসছে রিমল। রবিবারই বঙ্গোপসাগরে তৈরি এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা। এবারের ঘূর্ণিঝড় রিমলের নাম ওমানের দেওয়া। কিন্তু জানেন কি কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়? কোন দেশ পায় সেই সুযোগ? আমফান, আয়লা থেকে ইয়াস। একাধিক ঝড়ের তাণ্ডবে কেঁপেছে দক্ষিণবঙ্গ। প্রায় প্রতি বছরই উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। কিন্তু আয়লা হোক বা ইয়াস, জানেন ঝড়ের এমন নাম কোথা থেকে এল। কখনও শোনা যায় ঝড়ের নাম রেখেছে ভারত, কখনও বাংলাদেশ, কখনও ওমান। কিন্তু কীভাবে স্থির হয় কোন দেশ রাখবে ঝড়ের নাম? কীভাবেই বা রাখা হয় ঝড়ের নাম? আগে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও নাম থাকত না। অতীতে বহু দাপুটে ঝড়েরই কোনও নাম রাখা হয়নি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লুএমও) আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। উত্তর ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলির নামকরণ করে বেশ কয়েকটি দেশ। এর আগে ২০০৪ সালে আটটি দেশ মিলে নামকরণের যে তালিকা করেছিল, তা শেষ হয় আমফান ঝড়ের মাধ্যমে। আমফানের পর থেকেই নতুন তালিকা ধরে ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে ১৩ দেশ মিলে মোট ১৬৯টি নামের ঘোষণা করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী দিনে এই দেশগুলির ভৌগলিক এলাকা মানে উত্তর ভারত সাগর ও আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঝড়ের নাম কী হবে, তা ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে গিয়েছে এই দেশগুলির তালিকায় রয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাশাহী। নামকরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মও মানা হয়। যেমন রাজনীতি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, বা লিঙ্গনিরপেক্ষ হতে হবে নামগুলোকে। মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে এমন নাম দেওয়া যাবে না। সহজে উচ্চারণ করা যাবে এমন নাম দিতে হবে। পাশাপাশি নামটি সংক্ষিপ্তও হতে হবে। সর্বোচ্চ আটটি বর্ণ থাকতে হবে ওই নামে। নাম দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চারণও উল্লেখ করে দিতে হবে। শুধু নাম দিলেই হবে না, লক্ষ্য রাখতে হবে সেই নাম যেন আগে ব্যবহার না হয়ে থাকে। নামের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চারণও জানাতে হবে। প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে আরও বেশ কিছু নিয়ম মেনে ঝাড়াই বাছাই করে তারপর স্থির করা হয় ঝড়ের নাম। কোন দেশ নাম দেবে তাতেও রয়েছে অনেক নিয়ম। ঘূর্ণিঝড় যে অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে সেই দেশ অধিকার পায়। আবার রোটেশানাল পদ্ধতিতে কোনও দেশ ঝড়ের নাম দেওয়ার অধিকার পায়। একসঙ্গে অনেক গুলি নিয়ম মেনে তবেই নাম বাছার অধিকার পায় কোনও দেশ।