উত্তর ভারতের অনেক শহরে তাপমাত্রা বেড়েছে ব্যাপক হারে৷ আগ্রাও রয়েছে সেই তালিকায়। প্রায় ১০০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে গরম। ১২৪ বছরে দ্বিতীয়বার আগ্রার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ফলে বিপর্যস্ত আগ্রার মানুষ। বাঁচার উপায় খুঁজছেন সকলে। AC দোকানে মানুষের ভিড়। কিন্তু এসবের থেকে একেবারে উল্টো পথে হাঁটছেব আগ্রা দয়ালবাগের এক কলোনিতে এসি নেই। এই কলোনিগুলোও এক রেকর্ড গড়েছে এই গরমে৷আজও এসি লাগানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন নয় যে এখানকার বাসিন্দাদের AC কেনার ক্ষমতা নেই৷ এখানে বসবাসকারী অনেকেই IAS বা PCS অফিসার৷ আইএএস, আইপিএস এবং অনেক বিচারকও এই কলোনিগুলিতে থাকেন। গ্রীষ্মকালে শুধু কুলার এবং ফ্যানের চলে এখানে।দয়ালবাগ আগ্রা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এখানে প্রায় এক ডজন উপনিবেশ রয়েছে যা ৫০ থেকে ৯০ বছরের পুরনো। শহরের তুলনায়, এই কলোনিগুলির তাপমাত্রা কিছুটা কম৷ এর কারণ হল চমৎকার ইকো সিস্টেম এবং সবুজ ঘেরা পরিবেশ। এখানে প্রতিটি বাড়ির সামনে গাছ রয়েছে। এছাড়াও, ঘরগুলির গঠন এমন যে বেশি হাওয়া চলাচল খুব ভালভাবে হয়৷এই কলোনিগুলি হল স্বামী নগর, দয়াল নগর, প্রেম নগর, বিদ্যুৎ নগর, শ্বেত নগর, কার্যবীর নগর, রাধা নগর, শরণ নগর, মেহর বাগ এবং ডিইআই কলোনি। এই সব কলোনিতে ১৫০০-র বেশি পরিবার বসবাস করে। এসব বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনার নেই। শুধু ফ্যান আর কুলারের কাজ। বাড়ির তাপমাত্রাও খুব কম থাকে। আশেপাশের কলোনিতে প্রচুর গাছ। কোনও বাড়ির ছাদে এয়ার কন্ডিশনার দেখা যায় না৷এখানকার বাসিন্দারা মনে করেন যে গরমে থেকে বাঁচতে এয়ার কন্ডিশনার স্থায়ী সমাধান নয়। একটি গাছ অনেকগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রক হিসাবে সরবরাহ করে বাড়ির চারদিক ঠান্ডা রাখে। সূর্যের আলো কম থাকে এবং ঘরের ভিতরের তাপমাত্রাও খুব কম থাকে। শুধুমাত্র কুলার বা ফ্যান কাজ করে।
