আগামিকাল, সোমবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির দাপট শুরু হতে চলেছে। সমস্ত জেলাতেই কমলা সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ কিলোমিটার উপরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বাতাস প্রবেশ করছে পশ্চিমবঙ্গে।দক্ষিণ আন্দামান-সহ বিভিন্ন জায়গায় বর্ষার প্রবেশ ঘটে গিয়েছে আজ, রবিবার। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ২২ মে, বুধবার নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে।আর তারপরেই উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে নিম্নচাপটি। ২৪ মে, শুক্রবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে। কিন্তু গতিপথ নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি হাওয়া অফিস।এর ফলে সোমবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে। সোমবার থেকে আগামী ৭ দিন এই বৃষ্টির দাপট চলবে দক্ষিণবঙ্গে।আগামিকাল দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে।দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানে কাল ও পরশু ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঘণ্টায় যার গতিবেগ হতে পারে ৫০-৬০ কিলোমিটার।কেবল দক্ষিণবঙ্গ নয়, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আজ, রবিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের কোথাও কোথাও।বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সৃষ্টি হতে চলেছে কি? এই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে হাওয়া অফিসের। এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।প্রতি বছর মে মাস নাগাদ যে নিম্নচাপ তৈরি হয়, তা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের একটি সম্ভাবনা থাকে বলেই বিশেষ ভাবে সতর্ক আবহাওয়াবিদেরা। কিন্তু এখনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি বলে গতিপথ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করা যাচ্ছে না।নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর ঘনীভূত হয়ে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এবং এই নিম্নচাপই শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে বলে অনুমান।