প্রযুক্তি 4G, 5G রিচার্জ কি উঠে যাবে! আসছে 6G! ২৪ অক্টোবরের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ! Gallery October 19, 2024 Bangla Digital Desk আজকাল হাই স্পিড ইন্টারনেটের যুগ। মানুষ দ্রুত গতি বিশিষ্ট ইন্টারনেট পরিষেবা চান। বর্তমানে অবশ্য আমাদের দেশে 4G এবং 5G ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু এখন আমাদের দেশ 6G ইন্টারনেট পরিষেবার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বলা ভাল যে, ওয়্যারলেস প্রযুক্তির পরবর্তী প্রজন্মকে আকার দেওয়ার জন্য উত্তরোত্তর অগ্রসর হচ্ছে ভারত। ভারত। একাধিক গবেষণার উপর ভিত্তি করে জানা গিয়েছে যে, 6G টেকনোলজি সংক্রান্ত পেটেন্ট ফাইলিংয়ের নিরিখে চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ স্থানের মধ্যে নিজের জায়গা পাকা করেছে এই দেশ। দিল্লিতে ১৫ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি (WTSA)-র আয়োজন করেছে ভারত। যেখানে ১৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। এই অনুষ্ঠান আসলে অতিথি-অভ্যাগতদের এমন একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে, যেখানে 6G, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং দেশের বড়সড় ডেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। আর সবথেকে বড় কথা হচ্ছে, এশিয়ার মধ্যে প্রথম বার এই বৈঠক হচ্ছে। ৬টি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ভারত:বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্লোবাল পেটেন্ট ফাইলিংয়ের নিরিখে ভারত সেরা ছয়টি দেশের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আর এটাকে ভারতের বড়সড় কৃতিত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ বিশ্বব্যাপী স্তরে প্রযুক্তির খাতে যে ভারত অগ্রসর হচ্ছে, সেটাই প্রমাণ করছে এই বিষয়টা। বলে রাখা ভাল যে, এখনও পর্যন্ত দেশে উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট বলতে রয়েছে 4G এবং 5G পরিষেবাই। বহু সংস্থাই এখনও গ্রাহকদের 4G ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত 6G পরিষেবা উপলব্ধ নয়। কারা এই WTSA-র আয়োজন করে?ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (ITU) আয়োজন করে WTSA। এটা আসলে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটা সংস্থা। যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারকে আরও অগ্রসর করে তোলে। 6G-র জন্য কেমন মানদণ্ডের প্রয়োজন হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই অতিথিরা WTSA-তে অংশগ্রহণ করতে আসছেন। মূলত মোবাইল নেটওয়ার্ক টেকনোলজি বা মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নেক্সট জেনারেশন হল 6G। যা অনেকটাই দ্রুতি গতি সম্পন্ন। এমনকী তা 5G-র তুলনায় আরও ভরসাযোগ্য হয়ে উঠবে। দ্রুত এবং সহজে কাজ করার জন্য 6G ব্যবহার করা যেতে পারে। ভারতের জন্য WTSA-র আয়োজন করার সুযোগ পাওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এটা বিশ্বব্যাপী স্তরে ভারতকে প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব প্রদর্শনের সুযোগ করে দেবে। এখানেই শেষ নয়, এটা ভারতকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কোল্যাবোরেট করার সুযোগও প্রদান করবে। সেই সঙ্গে তৈরি হবে গ্লোবাল টেকনিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডও।