এই সেই ঐতিহাসিক স্থাপত্য

India: তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৮৫ বছর, ভারতের এই স্থাপত্য দেখতে আসেন বিদেশি পর্যটকরাও! কোথায় জানেন?

ভারতের সংস্কৃতি, খাবার, ইমারত সমস্ত কিছু মিলিয়েই আমাদের দেশকে অন্যান্য দেশের থেকে আলাদা করে তোলে। ভারতে এমন অনেক স্থানই রয়েছে, যা সমগ্র এশিয়ার মধ্যে অনন্য। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তথা দেশের সর্ববৃহৎ মসজিদ মধ্যপ্রদেশের ভোপালে নির্মিত। এই মসজিদটি নির্মাণ করতে ৮৫ বছর সময় লেগেছিল, এর থেকেই অনুমান করা যেতে পারেন এটি কতটা বিশেষ।

এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ

ভোপাল তার সৌন্দর্যের জন্য দেশজুড়ে পরিচিত। এখানকার সবুজ গাছ এবং তাজা বাতাস সবাইকে শহরের দিকে আকৃষ্ট করে। এই শহরের অনেক ঐতিহাসিক স্থান সারা বিশ্বে বিখ্যাত। তাজ-উল-মসজিদ না দেখলে ভোপাল ভ্রমণ অসম্পূর্ণ বলে মনে হতে পারে অনেকের।

শাহজাহান বেগম নির্মাণ কাজ করিয়েছিলেন

ভোপালের এই মসজিদটি সারা বিশ্বে বিখ্যাত। ভোপালের শাসক বাহাদুর শাহ জাফরের স্ত্রী সিকন্দর বেগম তাজ উল তাঁর নির্মিত মসজিদকে বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু টাকার অভাবে তা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাঁর কন্যা ভোপালের শাসক শাহজাহান বেগম মায়ের স্বপ্নের এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।

ভোপালের তাজ-উল-মসজিদ গোলাপি রঙের। এই মসজিদে দুটি সাদা গম্বুজ মিনার রয়েছে, যেগুলি মাদ্রাসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই মসজিদে এক সঙ্গে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। স্থাপত্যের কথা বললে মসজিদটি ইসলামিক ও মুঘল রীতিতে নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদের ওপর তিনটি বড় গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া দুটি বড় টাওয়ারও নির্মাণ করা হয়েছে। এই মসজিদের সামনে ওযু করার জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

শাহজাহান বেগম স্থাপত্য নির্মাণের কাজ খুব পছন্দ করতেন। তিনি তাজ-উল-মসজিদ, তাজমহল, নূর মসজিদ, বেনজির মঞ্জিল, নূর মহল, নিশাত মঞ্জিল, নবাব মঞ্জিলসহ অনেক বড় বড় ভবন নির্মাণের জন্য কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ভোপালে নবাব জাহাঙ্গির মহম্মদ খান ও সিকন্দর বেগমের নামে সমাধিও নির্মাণ করেন।

তাজ-উল-মসজিদ কোথায় অবস্থিত?

তাজ উল মসজিদ ভোপালে অবস্থিত, ভোপাল রেলওয়ে জংশন থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। এই মসজিদে পৌঁছাতে স্টেশন থেকে আমাদের সময় লাগবে ১০ মিনিট। আবার, ভোপালের রাজা ভোজ বিমানবন্দর থেকে এই মসজিদের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। যেখান থেকে ট্যাক্সি বুক করে সহজেই পৌঁছানো যায়।