জলপাইগুড়ি: সরকারের উদ্যোগে আধুনিকতার ছোঁয়ায় উন্নত হচ্ছে একের পর এক রেলস্টেশন। কিন্তু অদ্ভুতভাবে সেই তালিকা থেকে বাদ জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের দোমহনি স্টেশন। এক সময়কার ইতিহাসের সাক্ষী বহনকারী এই রেলপথ যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের অভাবে আজ ধুঁকছে।
উত্তরবঙ্গের রেল পথ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীত করার লক্ষ্যে অমৃত ভারত প্রকল্প শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু জলপাইগুড়ির এই ঐতিহ্যবাহী রেল স্টেশন যেন নজরের আড়ালেই থেকে গিয়েছে বছরের পর বছর। তবে এবার উত্তরের অন্যতম প্রাচীণ এই রেল স্টেশনকে ঘিরে উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক মঞ্চের সকল সদস্য। রেল স্টেশনের পাশেই বিনা ব্যবহারে পড়ে রয়েছে কয়েক একর জমি। কিন্তু না আছে ব্যবহার, না আছে কোনও উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: গরমে টবে লাগানো গাছ বাঁচাতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
তিস্তা পাড়ের দোমোহনি রেল স্টেশন ইংরেজ আমলে তৈরি। এই স্টেশন ছিল তৎকালীন বেঙ্গল-ডুয়ার্স রেলওয়েজের সদর দফতর। এই স্টেশন থেকেই জঙ্গল পথে ছুটত বাষ্প চালিত ট্রেন। তবে সেসব আজ ইতিহাসের পাতাতেই বন্দি। স্বাধীনতার পর বদলে যায় দোমোহনির আর্থসামাজিক চিত্র। বন্ধ হয়ে যায় রেল যোগাযোগ। এরপর প্রায় ৭৫ বছর পর অন্যান্য রেল স্টেশন যখন আধুনিকীকরণের পথে হেঁটেছে সেই সময় দোমোহনি বঞ্চিতের তালিকাতেই থেকে গিয়েছে। শুধু মাত্র গুটি কয়েক ট্রেন চলাচলের মধ্যেই আটকে আছে দীর্ঘ সময় ধরে।
এই স্টেশন আধুনিকীকরণের দাবিতে এবার জোট বাঁধল এলাকার নাগরিকেরা। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ির নাগরিক সচেতনতা মঞ্চ এই দাবির স্বপক্ষে দোমোহনি বাজারে এক পথসভা করে। তাঁরা দাবি জানান, রেল স্টেশনের পাশে পড়ে থাকা প্রায় চারশো একর জমিতে এইমস-এর মত অত্যাধুনিক হাসপাতাল এবং রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা স্থাপন করতে হবে। এতে করে এলাকার যুবক- যুবতীদের যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে তেমনই যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বহনকারী এই রেলপথ জেগে উঠবে পুনরায়।
সুরজিৎ দে