ট্রেন

Indian Railways: কবে থেকে ফের সঠিক সময়ে চলবে ট্রেন? প্রশ্ন নিত্যযাত্রীদের

হাওড়াঃ “হালুয়া” যখন তেতো। হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীদের কাছে ‘হালুয়া’ অতি পরিচিত স্টেশন।তবে এখানে না আছে স্টেশন শেড, না আছে যাত্রী ওঠানামার ব্যবস্থা।কিন্তু এখানেই দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকে একের পর এক ট্রেন। হাওড়া স্টেশনকে বলা হয় বোতলমুখ। স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এলাকা যথেষ্ট প্রশস্ত। কিন্তু ট্রেন ছেড়ে বেরনো বা ঢোকার রাস্তা বা লাইন হল বোতলের মুখের মতো সরু। ফলে লেট, লেট আর অতি লেটের গুঁতোয় হাওড়া দিয়ে যাতায়াত বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে যাত্রীদের কাছে।

আরও পড়ুনঃ  ঘূর্ণাবর্তের ধাক্কা! বুধ, বৃহস্পতি,শুক্র… আবহাওয়ার আমূল বদল রাজ‍‍্যজুড়ে!আইএমডির তোলপাড় আপডেট

লোকাল ট্রেনের শ্রীরামপুর থেকে লিলুয়া আসতে গড় সময় লাগে ২২ মিনিট।আট স্টেশনের মাঝে এখন ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে রিষড়া রেল গেট, উত্তরপাড়া রেলে গেটে।আর নানা কারণেই বেলুড় ঢোকার আগে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়া এখন অতি সাধারণ ব্যাপার।খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, করমন্ডল এক্সপ্রেস দূর্ঘটনার পরে নানা জায়গায় গতি নিয়ন্ত্রণ আর রোজ লাইনের কাজ।তার জেরেই সঠিক সময়ে ট্রেন চলা স্বপ্ন হয়ে আছে যাত্রীদের কাছে।

সন্ধ্যায় অফিস টাইমের ছবি দেখলেই বোঝা যায় কি দুর্বিষহ অবস্থা।প্রতি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সময়ের অন্তত ৭-৮ মিনিট দেরিতে প্ল্যাটফর্মে আসে।আর ছেড়ে যায় আরও দেরিতে, সব মিলিয়ে গড়ে ১০-১৫ মিনিট দেরিতে চলছে। সমস্যার সমাধান হবে কী করে? দক্ষিণ পূর্ব রেল যদি শালিমার বা খড়গপুরে পুরোপুরি স্থানান্তর হয়।স্বাভাবিক গতিতেই যদি ট্রেন চালানো হয়।কিন্তু করছি আর করব বলেই দায় এড়াচ্ছে হাওড়া ও খড়গপুর ডিভিশন।

পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন,‘‘রেল লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাঝেমধ্যে সাময়িক ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’’ বিষয়টি নিয়ে সরব রেলযাত্রী সংগঠনগুলিও।-পূর্ব রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য বলেন,‘‘পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সহ সমস্ত আধিকারিককে এ ব্যাপারে আমরা চিঠি দিয়েছি। ওঁরা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন সমস্যার সমাধান করার ব্যাপারে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।’’