বড় সাফল্য সেবক রংপো রেল প্রজেক্টে

Indian Railways: সিকিম পর্যন্ত রেলপথ নিয়ে বিরাট খবর, মাইলস্টোন টানেল টি-০৬-এ মিলল সাফল্য

শিলিগুড়ি: এক বৃহৎ মাইলস্টোন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলায় অবস্থিত সেবক-রংপো রেল প্রোজেক্ট (এসআরআরপি)-এর টানেল নং. টি-০৬ -এর কাজ সাফল্যের সঙ্গে মিটল। এই প্রকল্পের মধ্যে মোট ১৪টি টানেল রয়েছে। এই টানেলের সাফল্যের ফলে প্রকল্পটির ১২টি টানেল খননের কার্যকলাপ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার এনএইচপিসি, তিস্তা লো ডাম পাওয়ার স্টেশন III-এর নিকটে অবস্থিত ৫৭৭ মিটার দৈর্ঘ্যের ইভাকুয়েশন টানেলের পাশাপাশি এই মূল টানেলটির দৈর্ঘ ৩৯৪৩ মিটার।

মূল টানেলটি দুর্বল ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থা এবং তরুণ হিমালয়ের ভূকম্পীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয়েছে। এসআরআরপি-এর অন্যান্য সমস্ত টানেলের মতো মাটির ভারের দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে, সর্বশেষ ও সবচেয়ে আধুনিক ও পরিশীলিত টানেলিং টেকনোলজি তথা নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড (এনএটিএম) ব্যবহার করা হয়েছে। সেবক-রংপো নতুন  রেল লাইন প্রকল্পের ৬৬ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। সেবক-রংপো নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৪.৯৬ কেএমএস লম্বা, যা সেবক (পশ্চিমবঙ্গ) ও রংপোকে (সিকিম) সংযুক্ত করবে এবং এতে ১৪টি টানেল, ১৩টি মেজর ব্রিজ, ০৯টি মেজর ব্রিজ ও ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বুদ্ধদেবের কর্নিয়া দৃষ্টি ফেরাল দু জনের! সচেতন ভাবেই ছানি অপারেশন করাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?

দীর্ঘতম টানেলটি (টি-১০) ৫.৩ কিমি এবং দীর্ঘতম ব্রিজটি (ব্রিজ-১৭) ৪২৫ মিটার লম্বা। সমগ্র প্রকল্পটির প্রায় ৩৮.৬৫ কিমি বিন্যাস টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে এবং টানেল নির্মাণের ৯৩.৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে টানেল টি-০২, টি-০৩, টি-০৯, টি-১২ ও টি-১৪-এর ফাইনাল লাইনিং সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং টি-০১, টি-৪, টি-০৭, টি-০৮, টি-১০, টি-১১ ও টি-১৩-এর কাজ অগ্রগতি লাভ করেছে। এ পর্যন্ত মোট ১৬.৪৫ কিমি লাইনিং সম্পূর্ণ হয়েছে। সবগুলি সেকশনে কাজ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে। এটি ভারতের অন্যতম একটি মর্যাদাপূর্ণ নির্মীয়মাণ জাতীয় প্রকল্প এবং প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে প্রথমবারের জন্য সিকিম রেলওয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে যাবে।

এই রেল নেটওয়ার্কটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর সিকিমের সাথে একটি বিকল্পমূলক ও স্থিতিশীল সংযোগ প্রদান করবে। প্রকল্পটি দ্রুত সম্পূর্ণ করতে বর্তমানে টানেল, ব্রিজ ও স্টেশন ইয়ার্ড নির্মাণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চালানো হচ্ছে।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকেও এই প্রকল্পটি সময়ের পূর্বে সম্পূর্ণ করে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা হচ্ছে।