কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর Indian Railways: এটাই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের রুটে বাংলার শেষ স্টেশন! আপনিও প্রায়শই গেছেন এটা পেরিয়ে বেড়াতে, থামে বহু দূরপাল্লার ট্রেন Gallery July 8, 2024 Bangla Digital Desk : সুজলাং সুফলাং পশ্চিমবঙ্গ। একদিকে যেমন সবুজে ঘেরা এই রাজ্য, তেমনই কলকারখানা কিংবা অন্যান্য যাতায়াত ব্যবস্থারও উন্নতি হয়েছে এ রাজ্যে। পাশে বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড সহ একাধিক প্রতিবেশী রাজ্য রয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যের শেষ রেল স্টেশন আপনি জানেন? কোথায় রয়েছে এই রেল স্টেশন? কতগুলি বা ট্রেন যাতায়াত করে? একাধিক শেষ স্টেশনের মধ্যে এই স্টেশনটিও অন্যতম। একদিকে যেমন বাংলার সীমান্তে অবস্থিত, তেমনইঐতিহাসিক দিক দিয়েও বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনটি। এই স্টেশনটি শেষ রেলওয়ে স্টেশন হলেও এর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে একটি হল্ট স্টেশন। বেশ কিছু ট্রেন এই হল্ট স্টেশনে থামলেও একে পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের মর্যাদা দেওয়া যায় না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ভারতগামী রেলপথে রাজ্যের শেষ সীমানায় রয়েছে দাঁতন রেলওয়ে স্টেশন। যা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় শেষ রেলওয়ে স্টেশন বলেই ধরা হয়। স্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই শুরু হচ্ছে ওড়িশা। তবে এই স্টেশন থেকে অনতি দূরে রয়েছে আঙ্গুয়া হল্ট স্টেশন। এই হল্ট স্টেশনটি যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শেষ সীমান্ত দাঁতন। এরপর শুরু হচ্ছে ওড়িশা রাজ্য। বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে পথে রাজ্যের শেষ সীমানায় অবস্থিত স্টেশনটি একদিকে যেমন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ঐতিহাসিক দিক দিয়েও বেশ গুরুত্ব রয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয় স্টেশনটি। সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বাংলার শেষ স্টেশন দিয়ে ছুটে যায় দক্ষিণ ভারতগামী একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। বাংলা এবং ওড়িশার সংযোগস্থলে অবস্থিত দাঁতন রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়ায় বিভিন্ন প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস মিলিয়ে মোট ৭ জোড়া ট্রেন। স্বাভাবিকভাবে সীমান্ত এই এলাকা থেকে বহু মানুষ ওড়িশার বিভিন্ন জায়গা এবং কলকাতা, খড়গপুর সহ একাধিক জায়গায় এই স্টেশন দিয়েই যাতায়াত করেন। ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায় ব্রিটিশ সময়ে নির্মিত হয়েছিল দাঁতন রেলওয়ে স্টেশন। এখনও সেই সময়ের ভবন, জলের ট্যাংক সহ একাধিক স্মৃতি রয়েছে। যদিও বর্তমানে স্টেশনের উন্নতি করছে রেল মন্ত্রক। তবুও বাংলার শেষ স্টেশন তার নিজের গৌরব এবং প্রাচীনত্বকে ধরে রেখেছে। Input- Ranjan Chanda