ব্যবসা-বাণিজ্য Investment Tips: PPF-এ প্রতি মাসে ২০০০ টাকা রাখছেন ? দেখে নিন ম্যাচিউরিটির সময় কত টাকা পাবেন Gallery August 23, 2024 Bangla Digital Desk সকলেই মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন ৷ মাথায় রাখতে হয় দুটো জিনিস নিরাপত্তা এবং রিটার্ন। ভাল রিটার্নের পাশাপাশি টাকা যাতে সুরক্ষিত থাকে এটাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য ৷ আপনিও যদি রিস্ক ছাড়া ভাল রিটার্ন পেতে চান তাহলে পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেন্টের থেকে ভাল কোনও বিকল্প নেই ৷ আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, অবসর তহবিলের জন্য পিপিএফ আদর্শ। কেন্দ্রীয় সরকার সমর্থিত স্কিম। ফলে কোনও ঝুঁকি নেই। টাকা থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। সঙ্গে ভাল রিটার্নও মেলে। বর্তমানে পিপিএফে সুদের হার ৭.১ শতাংশ। সুদের হার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। বিনিয়োগকারী যদি এক ত্রৈমাসিকে কম সুদ পান, তাহলে পরের ত্রৈমাসিকে আরও বেশি সুদ পেতে পারেন। এছাড়া সুদের উপর সুদের সুবিধাও পাওয়া যায় পিপিএফে। অর্থাৎ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ। এটাই পিপিএফকে অন্যান্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। পিপিএফ স্কিমে বিনিয়োগে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়। আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র আওতায় সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় মেলে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, স্কিমে অর্জিত সুদ এবং মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত অর্থ সম্পূর্ণ করমুক্ত। পিপিএফের ম্যাচিউরিটির মেয়াদ ১৫ বছর। অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। ১৫ বছর পর পাঁচ বছর করে আরও দু’বার মেয়াদ বাড়ানো যায়। অবসর তহবিলের জন্য যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ বিকল্প চান, তাঁরা পিপিএফে বিনিয়োগ করতে পারেন। বর্তমানে ৫০০ টাকা দিয়ে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। কেউ যদি এক বছরে ৫০০ টাকা জমা করেন তাহলে স্কিম চালু থাকবে। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণ বছরে ১.৫ লাখ টাকা। এখন প্রশ্ন হল, যদি কেউ পিপিএফে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি কত রিটার্ন পাবেন? পিপিএফ ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, মাসিক ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ মানে বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ ২৪০০০ টাকা। তাহলে ১৫ বছরে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩,৬০,০০০টাকা। এখন ৭.১ শতাংশ হারে সুদ এবং আসল মিলিয়ে ম্যাচিউরিটিতে পেয়ে যাবেন প্রায় ৬.৫০ লক্ষ টাকা ৷