কলকাতা: স্বপ্ন বোনা চলছিল, আর সোমবার রাতে সেই স্বপ্নকেই বাস্তব করল হাবাসের ছেলেরা৷ এর আগে অ্যান্তেনিও লোপেজ হাবাসের হাত ধরে এটিকে আইএস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল৷ আইএসএল জেতার সৌভাগ্য আগেই হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানের, তবে এতদিন অধরা ছিল আইএসএলের লিগ শিল্ড খেতাব জয়। অবশেষে সেই ইতিহাসও তৈরি করে ফেলল মোহনবাগান।
এদিনের মোহনবাগানের জয়ে ফের একবার ভারতের মানচিত্রে নিজেদের জয়ডঙ্কা বাজাল বাংলা ফুটবল৷ বাংলার শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের এই সাফল্যে সকলেই উচ্ছ্বসিত৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাগানের জয়ের পরে সকলকে শুভেচ্ছা জানান৷
Hearty congratulations to @mohunbagansg on being the 2023/24 ISL League Shield Champions!
Their historic victory over Mumbai City FC crowns them as the undisputed champions of India.
I applaud the players, management, and coaching staff, whose dedication and hard work have…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 15, 2024
নিজের ট্যুইটবার্তায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন নিষ্ঠা, একাগ্রতা, এবং কঠিন পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য৷ দলের জয়ের এই কৃতিত্ব তিনি দলের সদস্য, স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট ও সমর্থকদের জানিয়েছেন৷
এদিকে দলের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও নিজের দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত৷ তিনিও সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় নিজের আবেগ শেয়ার করেছেন৷
View this post on Instagram
এদিকে সোমবার কলকাতায় ডু অর ডাই ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সে পৌছাল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। একইসঙ্গে লিগ শিল্ড জিতল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। ম্যাচে মোহনবাগানের হয়ে গোল জয়ের নায়ক লিস্টন কোলাসো ও জেসন কামিংস।
আরও পড়ুন- ISL 2024: আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান, তৈরি হয়ে গেল একাধিক রেকর্ড, কুর্নিশ
লিগ শিল্ড জিততে হলে মুম্বইকে হারাতেই হত মোহনবাগানকে। অপরদিকে, ড্র হলেই খেতাব জয় হয়ে যেত মুম্বই সিটি এফসির। আর শুরুর দিকে অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার খেসারত দিতে হল মুম্বইকে। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে মোহনবাগান। বাগান কোচ হাবাস ডাগআউটে ফেরার আত্মবিশ্বাস প্রভাব ফেলে দলের খেলাতেও। যার ফল মেলে ম্যাচের ২৮ মিনিটে। পেত্রাতোসের পাস থেকে মুম্বইয়ের বিপিনকে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন লিস্টন কোলাসে। এরপর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চললেও আর গোল আসেনি। ১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি। কিন্তু ডিফেন্সিভ না হয়ে আক্রমণ জারি রাখে মোহনবাগানও। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সময় দুই দলের মধ্যে তুল্যমূল্য লড়াই হয়। কিন্তু ম্যাচের ৮০ মিনিটে পের গোলের মুখ খুলে ফেলে মোহনবাগান। কামিন্স ও পেত্রাতোস এক-অপরের মধ্যে পাস খেলে গোলের সুযোগ তৈরি করেন। আর সেখান থেকে গোল করে মোহনবাগানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন জেসন কামিন্স।
২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নির্ধারিত হয়েই গিয়েছিল। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে ছাংতে একটি গোল করে মুম্বইয়ের হয়ে ব্যবধান কমায়। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না মুম্বইকে ম্যাচে ফেরানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। ম্যাচ শেষে সেলিব্রেশনে মাতেন বাগান খেলোয়াররা। লিগ-শিল্ড জেতার ফলে পরের মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগও পেয়ে গেল মোহনবাগান।