Tag Archives: ISL 2023-24

ISL ফাইনালে হার মোহনবাগানের, ট্রফির কাছে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গ সবুজ-মেরুনের

মোহনবাগান ১ (কামিংস)
মুম্বই সিটি ৩ (দিয়াস, বিপিন, ইয়াকুব)

কলকাতা: একেই হয়তো বলে, স্বপ্নকে খুব কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখা!

ত্রিমুকুটের স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের। আইএসএল ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসির কাছে ১-৩ গোলে হারল মোহনবাগান। আইএসএলে লিগ-শিল্ড জেতা মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না এবার।

যুবভারতীর ফাইনালে প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। জেসন কামিংসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল কলকাতার দল। দ্বিতীয়ার্ধে মুম্বইকে অক্সিজেন জোগান জর্জে পেরেরা দিয়াস।

আরও পড়ুন- রিঙ্কু সিংকে নিয়ে বড় দাবি সৌরভের, বিশ্বকাপের ভারতীয় দল নিয়ে মুখ খুললেন ‘দাদা’

মুম্বইয়ের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন বিপিন সিংহ। তৃতীয় গোল ইয়াকুব ভোজটাসের। এবার নিয়ে দু’বার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্ট ফাইনালে গোল করলেন বিপিন। এর আগে ২০২১ সালেও তিনি গোল করেছিলেন।

এদিন যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে মুম্বই। তা হয়তো মোহনবাগান সমর্থকদের অধিকাংশ মেনে নেবেন! কারণ শুরু থেকেই দাপট বজায় রেখেছিল মুম্বই। বল নিয়ন্ত্রণেও তারাই এগিয়ে ছিল। এর আগে লিগ-শিল্ডের ম্যাচে মোহনবাগান যা খেলেছিল, এদিন সেই খেলা খেলতে পারেনি হাবাসের দল।

আরও পড়ুন- ২০২৪ আইপিএলের সেরা ‘আবিষ্কার’, সেই ক্রিকেটারের স্বপ্ন শেষ! ভয়ঙ্কর খারাপ খবর

প্রথমার্ধে খেই হারিয়ে ফেলা মোহনবাগান দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খেলার হাল ধরে। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছিল। মুম্বইয়ের ফুটবলাররা খেলা গুছিয়ে ফেলেছিল। আর তাতে লাগাতার চাপ বাড়তে থাকে মোহনবাগানের উপর। শেষ পর্যন্ত মুম্বই ম্যাচ বের করে নেয়।

Mohun Bagan: আইএসএল ফাইনালে প্রথমার্ধে কামিন্সের গোলে এগিয়ে মোহনবাগান, চ্যাম্পিয়নশিপের থেকে ৪৫ মিনিট দূরে সবুজ-মেরুণ

কলকাতা: আইএসএল ফাইনালের প্রথমার্ধেই দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়াপ গন্ধ পাচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ঘরের মাঠে দর্শকের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে ফাইনালের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। গোল করে মোহনবাগানকে লিড এনে দিয়েছেন জেসন কামিংস। ফের একবার মরশুমে ত্রিমুকুট জিতে ইতিহাস গড়ার দোরগোড়ায় আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল।

এদিন যুবভারতীতে টানটানভাবে শুরু হয় আইএসএল ২০২৩-২৪ এর ফাইনাল। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে খেলা। দু দলই একাধিকবার গোল করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। বেশি আক্রমণ করে মুম্বই। কিন্তু জালে বল জড়াতে পারছিল না কোনও দলই। তবে বল পজিশন ও গোলমুখী শট মোহনবাগানের থেকে বেশি ছিল মুম্বই সিটি এফসির। কাজের কাজটা করে ফেলে মোহনবাগান।

আরও পড়ুনঃ KKR News: মিচেল স্টার্কের ভাগ্য ফেরালেন অন্য একজন! কেকেআর ফ্যানেরা বলছেন ‘লাকি চার্ম’

ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের শেষ মুহূর্তে মোহনবাগানেপ হয়ে গোলের মুখ খোলেন জেসন কামিন্স। দুরন্ত গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর ইনজুরি টাইমে গল শোধ করার মরিয়া চেষ্টা করে মুম্বই সিটি এফসি। তবে গোলের মুখ আর খোলেনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালে বিরতিতে গিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আর ৪৫ মিনিট লিড ধরে রাখতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান।

ISL Final 2024: আজ আইএসএলের ফাইনালে মুখোমুখি দুই যুযুধান-Mohun Bagan ও Mumbai City FC

ISL Final 2024 : আজ আইএসএলের ফাইনাল। আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। ঘরের মাঠে ফাইনালে নামবে Mohun Bagan। মুখোমুখি দুই যুযুধান-মোহনবাগান ও মুম্বই সিটি এফসি। ২৩ বছর পর ত্রিমুকুট জেতার সামনে দাঁড়িয়ে মেরিনার্স। দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch bangla news video)৷

আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান, আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে সবুজ-মেরুন

কলকাতা: মোহনবাগান জনতা একবারের জন্যও আশা ছাড়েননি। সবুজ-মেরুন সমর্থকরা মন থেকে বিশ্বাস করেছিলেন, তাঁদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় ক্লাব ঠিক আবার ভারতসেরা হওয়ার লড়াইয়ে থাকবে। আর মোহনবাগান ফুটবলাররা আরও একবার সমর্থকদের হতাশ করলেন না।

লিগ-শিল্ড জয়ের পর এবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি মোহনবাগানের সামনে। এদিন ওড়িশার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে ৯০+৩ মিনিটে ২-০ এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে উঠল সবুজ-মেরুন শিবির।

আরও পড়ুন- T20WC 2024: কে থাকল দলে আর কে পড়ল বাদ? টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে মহাচমক!

রবিবার যুবভারতীতে  ম্যাচের ২২ মিনিটে জেসন কামিন্সের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এর পর সামাদের গোল। প্রথম লেগে ওড়িশা এফসির কাছে ১-২ হেরেছিল মোহনবাগান। রবিবার ঘরের মাঠে ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে সেই হারের হিসেব বুঝে নিল হাবাসের ছেলেরা।

আরও পড়ুন- KKR News: দিল্লি ম্যাচের আগে কেকেআরের ৩টি বড় চিন্তা! কী করবেন গম্ভীর? রইল আপডেট

এই ম্যাচে অন্তত দু’গোলের ব্যবধানে জিততে হবে, সেটা আগে থেকেই জানতেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা। শেষমেশ নিজেদের টার্গেট পূরণ করল মোহনবাগান। তবে এদিন আরও বেশি ব্যবধানে জিততে পারতেন কামিন্সরা। বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে মোহনবাগান।

Mohun Bagan vs Odisha FC: আইএসএল সেমির প্রথম পর্বে হার মোহনবাগানের, ঘরের মাঠে মরণ-বাঁচন ম্যাচ সবুজ-মেরুণের

কলিঙ্গ: আইএসএল সেমিফানালের প্রথম পর্বটা ভাল গেল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। অ্যাওয়ে ম্যাচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়াতে হল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের দলের। ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গিয়ে সেই লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় বাগান। প্রথমার্ধেই ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও গোল না হলেও একটি করে লাল কার্ড দেখল উভয় দল। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে জিতে মাঠ ছাড়ল সার্জিও লোবেরোর ওড়িশা এফসি।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দুই দল। গোলের মুখ খোলার জন্য বেশি সময় প্রতীক্ষা করতে হয়নি মোহনবাগানকে। তিন মিনিটের মাথায় মনবীরের গোলে এগিয়ে যায় বাগান। কর্নার থেকে পেত্রাতসের ভাসানো বল হেডে ওড়িশা এফসির জালে জড়িয়ে দেন মনবীর। যদিও লিড বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি মোহনবাগান।

গোল খাওয়ার পরে মরিয়া হয়ে আক্রমণে ওঠে ওড়িশা এফসি। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে বাগানের ডিফেন্সে। ১১ মিনিটের মাথায় ডেলগাডোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ওড়িশা এফসি। ১০ মিনিটের মাথায় ওড়িশার একটি দুরন্ত আক্রমণ প্রতিহত করে মোহনবাগান। গোললাইন সেভ হয় সেক্ষেত্রে। তবে ঠিক পরক্ষণেই জাহউয়ের পাস থেকে গোল করেন ডেলগাডো।

ম্যাচে সমতা ফেরার পর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চলতে থাকে। তবে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে কাজের কাজটা করে যান রয় কৃষ্ণা। মাঝমাঠ থেকে ভাসানো বল হেডে রিসিভ করেন রয় কৃষ্ণা। তিনি দৌড়ে গিয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকেই বাগান গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। পায়ের আলতো টাচে বিশালের পাশ দিয়ে বল বাগানের জালে জড়িয়ে দেন। এরপর আর কোনও দল গোল করতে পারেনি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ওড়িশা এফসি।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লিড ধরে রাখার জন্য অনেক বেশি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে ওড়িশা। মোহনবাগান গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও ওড়িশার ডিফেন্সের প্রাচীর ভাঙতে পারেনি। উল্টে মাথা গরম করে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় মোহন স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকুকে। এরপর বক্সের মধ্যে হ্যান্ড বল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বাইরে যান ডেলগাডো।

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই ভারতের পরবর্তী অধিনায়কের নাম ঘোষণা? মহাচমক ভারতীয় তারকার

ম্যাচের শেষের দিকে সমকা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। অনিরুদ্ধ থাপার শট পোস্টে গেলে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে ফাইনালে ওঠার লড়াই পিছিয়ে থাকল মোহনবাগান। ২৮ তারিখ রবিবার কলকাতায় দ্বিতীয় লেগের খেলা। ঘরের মাঠে জয় ছড়া গতি নেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের।

Mohun Bagan vs Odisha FC: শুরুতে গোল করেও লিড রাখতে পারল না মোহনবাগান, প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড

কলিঙ্গ: আইএসএলের সেমিফাইনালের প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মোহনবাগান ও ওড়িশা এফসির। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে অ্যাওয়ে ম্যাচে তুল্যমূল্য লড়াই দিলেও পিছিয়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলার ফল ২-১। মনবীর সিংয়ের গোলে প্রথমে লিড নেয় হাবাসের দল। সেই গোল শোধ করে ওড়িশাকে ঘরের মাঠে সমতায় ফেরান ডেলগাডো। রয় কৃষ্ণার গোলে লিড নেয় সার্জিও লোবেরোর দল।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দুই দল। গোলের মুখ খোলার জন্য বেশি সময় প্রতীক্ষা করতে হয়নি মোহনবাগানকে। তিন মিনিটের মাথায় মনবীরের গোলে এগিয়ে যায় বাগান। কর্নার থেকে পেত্রাতসের ভাসানো বল হেডে ওড়িশা এফসির জালে জড়িয়ে দেন মনবীর। যদিও লিড বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি মোহনবাগান।

গোল খাওয়ার পরে মরিয়া হয়ে আক্রমণে ওঠে ওড়িশা এফসি। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে বাগানের ডিফেন্সে। ১১ মিনিটের মাথায় ডেলগাডোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ওড়িশা এফসি। ১০ মিনিটের মাথায় ওড়িশার একটি দুরন্ত আক্রমণ প্রতিহত করে মোহনবাগান। গোললাইন সেভ হয় সেক্ষেত্রে। তবে ঠিক পরক্ষণেই জাহউয়ের পাস থেকে গোল করেন ডেলগাডো।

ম্যাচে সমতা ফেরার পর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চলতে থাকে। তবে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে কাজের কাজটা করে যান রয় কৃষ্ণা। মাঝমাঠ থেকে ভাসানো বল হেডে রিসিভ করেন রয় কৃষ্ণা। তিনি দৌড়ে গিয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকেই বাগান গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। পায়ের আলতো টাচে বিশালের পাশ দিয়ে বল বাগানের জালে জড়িয়ে দেন। এরপর আর কোনও দল গোল করতে পারেনি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ওড়িশা এফসি।

ISL Champion Mohun Bagan: ভারতসেরা বাংলার ফুটবল, এল মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা, খুশি দলের কর্ণধারও

কলকাতা: স্বপ্ন বোনা চলছিল, আর সোমবার রাতে সেই স্বপ্নকেই বাস্তব করল হাবাসের ছেলেরা৷ এর আগে অ্যান্তেনিও লোপেজ হাবাসের হাত ধরে এটিকে আইএস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল৷  আইএসএল জেতার সৌভাগ্য আগেই হয়ে গিয়েছিল  মোহনবাগানের,  তবে এতদিন অধরা ছিল আইএসএলের লিগ শিল্ড খেতাব জয়। অবশেষে সেই ইতিহাসও তৈরি করে ফেলল মোহনবাগান।

এদিনের মোহনবাগানের জয়ে ফের একবার ভারতের মানচিত্রে নিজেদের জয়ডঙ্কা বাজাল বাংলা ফুটবল৷ বাংলার শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের এই সাফল্যে সকলেই উচ্ছ্বসিত৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাগানের জয়ের পরে সকলকে শুভেচ্ছা জানান৷

 

নিজের ট্যুইটবার্তায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন নিষ্ঠা, একাগ্রতা, এবং কঠিন পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য৷ দলের জয়ের এই কৃতিত্ব তিনি দলের সদস্য, স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট ও সমর্থকদের জানিয়েছেন৷

এদিকে দলের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও নিজের  দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত৷ তিনিও সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় নিজের আবেগ শেয়ার করেছেন৷

 

 

এদিকে সোমবার কলকাতায় ডু অর ডাই ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সে পৌছাল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। একইসঙ্গে লিগ শিল্ড জিতল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। ম্যাচে মোহনবাগানের হয়ে গোল জয়ের নায়ক লিস্টন কোলাসো ও জেসন কামিংস।

আরও পড়ুন- ISL 2024: আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান, তৈরি হয়ে গেল একাধিক রেকর্ড, কুর্নিশ

লিগ শিল্ড জিততে হলে মুম্বইকে হারাতেই হত মোহনবাগানকে। অপরদিকে, ড্র হলেই খেতাব জয় হয়ে যেত মুম্বই সিটি এফসির। আর শুরুর দিকে অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার খেসারত দিতে হল মুম্বইকে। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে মোহনবাগান। বাগান কোচ হাবাস ডাগআউটে ফেরার আত্মবিশ্বাস প্রভাব ফেলে দলের খেলাতেও। যার ফল মেলে ম্যাচের ২৮ মিনিটে। পেত্রাতোসের পাস থেকে মুম্বইয়ের বিপিনকে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন লিস্টন কোলাসে। এরপর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চললেও আর গোল আসেনি। ১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি। কিন্তু ডিফেন্সিভ না হয়ে আক্রমণ জারি রাখে মোহনবাগানও। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সময় দুই দলের মধ্যে তুল্যমূল্য লড়াই হয়। কিন্তু ম্যাচের ৮০ মিনিটে পের গোলের মুখ খুলে ফেলে মোহনবাগান। কামিন্স ও পেত্রাতোস এক-অপরের মধ্যে পাস খেলে গোলের সুযোগ তৈরি করেন। আর সেখান থেকে গোল করে মোহনবাগানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন জেসন কামিন্স।

২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নির্ধারিত হয়েই গিয়েছিল। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে ছাংতে একটি গোল করে মুম্বইয়ের হয়ে ব্যবধান কমায়। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না মুম্বইকে ম্যাচে ফেরানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। ম্যাচ শেষে সেলিব্রেশনে মাতেন বাগান খেলোয়াররা। লিগ-শিল্ড জেতার ফলে পরের মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগও পেয়ে গেল মোহনবাগান।

ISL 2024: লিগ-শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান, তৈরি হয়ে গেল একাধিক রেকর্ড, কুর্নিশ

: পয়লা বৈশাখের পর যা লক্ষ লক্ষ মোহনবাগান সমর্থক যা আশা করেছিল তাই স্বপ্নপূরণ হল৷  একক লিগ অভিযানে সবচেয়ে বেশি জয়ের ক্লাব রেকর্ড করেছে মোহনবাগান। Photo Credit: FSDL/ISL Media
: পয়লা বৈশাখের পর যা লক্ষ লক্ষ মোহনবাগান সমর্থক যা আশা করেছিল তাই স্বপ্নপূরণ হল৷  একক লিগ অভিযানে সবচেয়ে বেশি জয়ের ক্লাব রেকর্ড করেছে মোহনবাগান। Photo Credit: FSDL/ISL Media
এদিন মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে  জয়ের সঙ্গে মোহনবাগান আইএসএলের লিগ পর্বে রেকর্ড ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এটি এক মরশুম ক্লাবের রেকর্ড পয়েন্টও। মোহনবাগানের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ট্যালি পূর্বে ন্যাশানাল ফুটবল লিগে  ১৯৯৯-০০ মরসুমে ৪৭ পয়েন্ট ছিল।
এদিন মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে  জয়ের সঙ্গে মোহনবাগান আইএসএলের লিগ পর্বে রেকর্ড ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এটি এক মরশুম ক্লাবের রেকর্ড পয়েন্টও। মোহনবাগানের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ট্যালি পূর্বে ন্যাশানাল ফুটবল লিগে  ১৯৯৯-০০ মরসুমে ৪৭ পয়েন্ট ছিল।
মোহনবাগান ৬টি লিগ শিরোপা জিতেছে, ভারতীয় ফুটবলে একটি নতুন রেকর্ড।
মোহনবাগান ৬টি লিগ শিরোপা জিতেছে, ভারতীয় ফুটবলে একটি নতুন রেকর্ড।
মোহনবাগান মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয়ের রেকর্ড করে আইএসএল শিল্ড তুলল।
মোহনবাগান মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয়ের রেকর্ড করে আইএসএল শিল্ড তুলল।
মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম এনএফএল এসেছিল, মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম আই লিগ এসেছিল, মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম আই লিগ এসেছিল
মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম এনএফএল এসেছিল, মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম আই লিগ এসেছিল, মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম আই লিগ এসেছিল

Mohun Bagan: ফের ভারত সেরা মোহনবাগান! মুম্বইকে হারিয়ে লিগ শিল্ড জিতল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড

কলকাতা: আইএসএল জেতার সৌভাগ্য আগেই হয়ে গিয়েছিল। তবে এতদিন অধরা ছিল আইএসএলের লিগ শিল্ড খেতাব জয়। অবশেষে সেই ইতিহাসও তৈরি করে ফেলল মোহনবাগান। কলকাতায় ডু অর ডাই ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সে পৌছাল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। একইসঙ্গে লিগ শিল্ড জিতল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। ম্যাচে মোহনবাগানের হয়ে গোল জয়ের নায়ক লিস্টন কোলাসো ও জেসন কামিংস।

লিগ শিল্ড জিততে হলে মুম্বইকে হারাতেই হত মোহনবাগানকে। অপরদিকে, ড্র হলেই খেতাব জয় হয়ে যেত মুম্বই সিটি এফসির। আর শুরুর দিকে অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার খেসারত দিতে হল মুম্বইকে। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে মোহনবাগান। বাগান কোচ হাবাস ডাগআউটে ফেরার আত্মবিশ্বাস প্রভাব ফেলে দলের খেলাতেও। যার ফল মেলে ম্যাচের ২৮ মিনিটে। পেত্রাতোসের পাস থেকে মুম্বইয়ের বিপিনকে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন লিস্টন কোলাসে। এরপর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চললেও আর গোল আসেনি। ১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি। কিন্তু ডিফেন্সিভ না হয়ে আক্রমণ জারি রাখে মোহনবাগানও। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সময় দুই দলের মধ্যে তুল্যমূল্য লড়াই হয়। কিন্তু ম্যাচের ৮০ মিনিটে পের গোলের মুখ খুলে ফেলে মোহনবাগান। কামিন্স ও পেত্রাতোস এক-অপরের মধ্যে পাস খেলে গোলের সুযোগ তৈরি করেন। আর সেখান থেকে গোল করে মোহনবাগানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন জেসন কামিন্স।

আরও পড়ুনঃ KKR vs RR: রাজস্থান ম্যাচের আগে বড় ভুল করল কেকেআর? খেসারত দিতে হবে না তো! জানুন বিস্তারিত

২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নির্ধারিত হয়েই গিয়েছিল। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে ছাংতে একটি গোল করে মুম্বইয়ের হয়ে ব্যবধান কমায়। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না মুম্বইকে ম্যাচে ফেরানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। ম্যাচ শেষে সেলিব্রেশনে মাতেন বাগান খেলোয়াররা। লিগ-শিল্ড জেতার ফলে পরের মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগও পেয়ে গেল মোহনবাগান।

East Bengal: ৪-১ গোলে চরম লজ্জার হার,আইএসএলে স্বপ্ন শেষ ইস্টবেঙ্গলের

দিল্লি: যে ম্যাচে মরশুমের সেরা ফুটবলটা ইস্টবেঙ্গল দলের কাছে আশা করেছিল লাল-হলুদ ফ্যানেরা। সেই ম্যাচেই মরশুমের জঘন্যতম ফুটবল খেলে নিজেদের কফিনে নিজেরাই শেষ পেরেকটা মেরে দিল কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। আইএসএলের সুপার সিক্সে থাকার লড়াইয়ের মরণ-বাঁচন ম্যাচে পঞ্জাব এফসির কাছে ৪-১ গোলে লজ্জার হার ইস্টবেঙ্গলের। একইসঙ্গে এবারের মত শেষ হল লাল-হলুদের আইএসএল অভিযান।

এদিন খেলার শুরু থেকেই ছন্নছাড়া দেখায় ইস্টবেঙ্গলকে। পঞ্জাব এফসি দ্রুত মাঝমাঠের দখল নিয়ে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে। যদিও ম্যাচের ৭ মিনিটে নিশু কুমার গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে। এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় পঞ্জাব। পঞ্জাবের তালাল এবং জর্ডন জুটিকে সামলাতে রীতিমত হিমসিম খেতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের ১৯ মিনিটে জর্ডনের গোলেই প্রথম লিড নেয় পঞ্জাব।

যদিও সেই গোল শোধ করতে ইস্টবেঙ্গল বেশি সময় নেয়নি। ২৫ মিনিটে একক দক্ষতায় গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরান সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গোটা ম্যাচ জুড়ে পঞ্জাবের একাধিপত্ব দেখা যায়। মুহূর্মুহূ আক্রমণে বেসামাল দেখায় লাল-হলুদ রক্ষণকে। কোন পরিকল্পনা নিয়ে খেলছে ইস্টবেঙ্গল তাও বোঝা যাচ্ছিল না। তারই সুযোগ নিয়ে ৪৩ মিনিটে পঞ্জাবকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তালাল।

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024, Team India Squad: টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে বাদ একাধিক মহাতারকা? স্কোয়াডে অনেক চমক! জেনে নিন বিস্তারিত

দ্বিতীয়ার্ধে মনে করা হয়েছিল পরিকল্পনা বদলে দলকে ম্যাচে ফেরাবেন কার্লোস কুয়াদ্রাত। কিন্তু দলের খেলা একেবারে নিরাশ করে ফ্যানেদের। উল্টে ম্যাচের ৬২ মিনিটে ৭০ মিনিটে গোল করে লাল-হলুদের সব স্বপ্ন শেষ করে দেন জর্ডন ও মাজেন। ম্যাচে জোড়া গোল করে পঞ্জাবের নায়ক জর্ডন। এই হারের ফলে ২৪ পয়েন্টে মরশুম শেষ করল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। পড়শী ক্লাব যেখানে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে রয়েছে সেখানে আইএসএলে আরও একটি মরশুম হতাশাই সাঙ্গ হল ফ্যানেদের।