‘সেফ জোন’ বলে চিহ্ণিত অঞ্চলে ইজরায়েল এই হামলা করেছে৷ (AFP File Photo)

Israel-Palestine War:গাজার ‘সেফ জোনে’ বোমাবর্ষণ ইজরায়েল সেনার, নিহত প্রায় ৯২ জন

গাজা: গাজা ভূখন্ডে ইজরায়েলি হামলা নিয়ে সারা পৃথিবী জুড়ে নিন্দিত হয়েছে৷ এমনকি বন্ধু রাষ্ট্র আমেরিকাও যে রাফাতে ইজরায়েলের আক্রমণে খুব একটা যে খুশি নয়,তাও বিভিন্ন বিবৃতিতে বোঝা যাচ্ছে৷ কিন্তু ইজরায়েলের তরফ থেকে আক্রমণ থামানোর কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ তাঁর মধ্যেই ১৪ জুলাই দক্ষিণ গাজা ভূখন্ডে ইজরায়েল আবার হামলা চালায়

যদিও ইজরায়েলি শীর্ষকর্তা থেকে জানানো হয়েছে, খান ইউনিস তথা মোহাম্মদ দেইফই ছিল এই হামলার মূল লক্ষ ছিল৷ মনে করা হয়, ইনিই ছিলেন ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামাস হামলার অন্যতম প্রধান স্থপতি৷

আরও পড়ুন:  শনিবার ভূখণ্ডে ইজরায়েলের হানায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০, এসেছে শিশু মৃত্যুর খবরও, আহত বহু, বিশ্ব জুড়ে আবারও শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়

এই হামলায় দক্ষিণ ইজরায়েলে প্রায় ১২০০ লোক নিহত হয়েছিল৷ এরপর থেকেই ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। তারপর থেকেই ইজরায়েল গাজার উপর লাগাতার হামলা চালায়৷ শিশু মৃত্যুর ঘটনা ক্রমাগত সামনে আসায় ইজরায়েলের বন্ধু দেশ আমেরিকাও নিন্দিত করেছে৷ শুধু তাই নয় এই নিয়ে ইজরায়েলকে সচেতনও করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

আরও পড়ুন: ছুরির আঘাতে জার্মানিতে নিজের বিলাসবহুল প্রাসাদে মৃত রোলস রয়েসের প্রাক্তন ডিজাইনার ইয়ান ক্যামেরন

কিন্তু অনেকেই মনে করছেন আল মাওআসি অঞ্চলে ইজরায়েল যে বোমাবর্ষণ করেছিল সেই বোমা গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি  হয়েছিল৷ এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আরও এক প্রস্তর নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু হয়েছে৷ যদিও বোমগুলো নিশ্চিত ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই কি না, তা এখনও নিশ্চয় করে বলা যাচ্ছে না৷

‘সেফ জোন’ বলে চিহ্ণিত অঞ্চলেই ইজরায়েল এই হামলা করেছে৷ সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এই বোমাবর্ষণে প্রায় ৯২ জন নিহত হন৷ আহতের সংখ্যা তিনশোরও বেশি৷

গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের সূ্ত্র অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইজরায়েলের আক্রমণে এখনও পর্যন্ত প্রায় গাজায় ৩৮,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন৷ আহতের সংখ্যা প্রায় ৮৮,০০০ এরও বেশি৷ গাজা ভূখন্ডে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ বাস করতেন৷ এই আগ্রাসনের ফলে তাঁদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষকে তাঁদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী তাবুতে আশ্রয় নিতে হয়েছে৷