পুলিশের উর্দি পরে এলাকা টহল দিচ্ছিলেন যুবক; সন্দেহ হতে এগিয়ে এল পুলিশ

পুলিশের উর্দি পরে এলাকা টহল দিচ্ছিলেন যুবক; সন্দেহ হতে এগিয়ে এল পুলিশ, জেরা করতেই প্রকাশ্যে চরম সত্য!

জামুই, বিহার: এবার পুলিশের জালে পড়ল এক ভুয়ো আইপিএস অফিসার। বিহারের জামুই জেলার সিকন্দ্রা থানা এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, ট্রেনি আইপিএস অফিসারের পোশাক পরে বাইকে চেপে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে।

ধৃত ওই যুবক লাখিসরাই জেলার হালসি এলাকার গোবর্ধনবিঘা এলাকার বাসিন্দা মিথিলেশ কুমার। গ্রেফতার করার পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ২.৩ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২ লক্ষ টাকা মিটিয়েছিলেন তিনি। এরপর খৈরা এলাকার বাসিন্দা মনোজ নামে এক ব্যক্তি তাঁকে একটি স্কুল প্রাঙ্গণে নিয়ে গিয়েছিল। পোশাক পরিয়ে ওই যুবকের হাতে একটা খেলনা পিস্তল দেওয়া হয়েছিল। আর পিস্তলের পরীক্ষা নিয়ে মনোজ তাকে বলেছিল যে, এই বিষয়ে তাঁর কাছে ফোন আসবে।

আরও পড়ুন– বিয়ের কার্ডে এ কী লেখা! চমকে গেলেন আমন্ত্রিত অতিথিরাও; যদিও সমাধান বার করে দিয়েছেন আমন্ত্রণকারীরাই

এরপর একটি বাইকে চেপে সিকন্দ্রা চকে পৌঁছন মিথিলেশ মাঞ্ঝি নামে ওই যুবক। তাঁর পরনে ছিল পুলিশের পোশাক এবং আইপিএস ব্যাচ। আর পুলিশের উর্দি পরে তাঁকে এলাকায় বাইকে টহল দিতে দেখে পুলিশের সন্দেহ দানা বাঁধে। জেরার সময় ওই যুবক জানান যে, আইপিএস অফিসার তিনি। তারপরেই তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। অবশেষে জানা যায় যে, মিথিলেশ নামে ওই যুবক ম্যাটিকুলেশন পাশ।

আরও পড়ুন– সংস্থায় যোগ দেওয়ার চার মাসের মধ্যেই মৃত্যু তরুণীর! অতিরিক্ত কাজের চাপ আর হাড়ভাঙা খাটনিকেই দায়ী করলেন মা

ধৃত যুবক পুলিশের কাছে জানান যে, দিন কয়েক আগে তিনি খৈরা থানা এলাকার পাচভূর জলপ্রপাতে স্নান করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মনোজ সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। এই মনোজই তাঁকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। যার জন্য ২.৩ লক্ষ টাকাও দাবি করেছিল। এরপর মিথিলেশ নিজের মায়ের কাছ থেকে এই টাকা চান। এরপর মামার থেকে টাকা ধার করে ২ লক্ষ টাকা কোনওমতে জোগাড় করে মনোজকে সেই টাকা দিয়েছিলেন মিথিলেশ। এরপর তাঁকে পুলিশের উর্দি পাঠিয়ে মনোজ মিথিলেশকে বলে যে, কোথায় তাঁর ডিউটি হবে, সেটা তাঁকে ফোনে জানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মিথিলেশের মা পিঙ্কি দেবী বলেন, “সেই রাতে মিথিলেশ পুলিশের উর্দি পরে এসে বলেছিল যে, ও পুলিশে চাকরি পেয়ে গিয়েছে। গোটা রাত বাড়িতেই ছিল। আমরা কোনও টাকা দিইনি। ওর মামা ওকে টাকা দিয়েছিল। আমরা খুবই আনন্দিত ছিলাম। আমি আমার ছেলের কথায় বিশ্বাস করেছিলাম। আসলে আমরা তো খুবই দরিদ্র।”

জামুই এসডিপিও সতীশ সুমন বলেন যে, মিথিলেশ মাঞ্ঝি নামে ওই যুবককে সিকন্দ্রা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। এই সংক্রান্ত তথ্য খুব শীঘ্রই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে।