Reporter: Manoj Singh Patel
জৌনপুর, উত্তর প্রদেশ: লোকসভা ভোট মিটতেই উত্তর প্রদেশে এনকাউন্টার শুরু। মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী প্রশান্ত সিং ওরফে প্রিন্স সিংকে গুলি করে মারল জৌনপুর পুলিশ। প্রশান্তের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতির মতো একাধিক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল প্রশান্ত। তাকে ধরে দিলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। জৌনপুর, আজমগড়, অযোধ্যা তো বটেই, মহারাষ্ট্রেও একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল প্রশান্তের বিরুদ্ধে।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে খেতাসরাইয়ের সোনগারের সামনে একটি কালভার্টের কাছে নাকা চেকিং করছিল পুলিশ। হঠাৎই একটি বাইক এসে থামে। আচমকাই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে চালক।
তারপরই বাইক ঘুরিয়ে পালায়। পিছু ধাওয়া করে পুলিশও। সোনগার পুলিয়ার কাছে দুবৃত্তকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়। কিন্তু চালক ফের গুলি চালাতে শুরু করে। সাব ইন্সপেক্টর বিবেক তিওয়ারির হাতে গুলি লাগে। ইন্সপেক্টর রামজনম যাদবও গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন– চালু হল ‘ফেয়ার লক’ ফিচার, এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট বুকিং এখন আরও সহজ
আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয় প্রশান্ত। বাইক থেকে পড়ে যায় সে। তখনই প্রশান্তর এক সঙ্গী অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত প্রশান্তকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত অপরাধী প্রশান্ত সিং সরাইখোয়াজা থানার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জৌনপুর এবং রাজ্যের অন্যান্য জেলায় খুন ও ডাকাতির মতো ৩৭টি জঘন্য অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। প্রশান্তর সঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এসপি অজয় পাল শর্মা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে খেতাসরাই এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী ঘোরাফেরা করছে। পুলিশ তল্লাশি শুরু করলে দুই দুর্বৃত্ত পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পাল্টা হামলায় মারা যায় প্রশান্ত। নিহত অপরাধী প্রশান্ত ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে পলাতক ছিল। তিনি জানিয়েছেন, আশুতোষ হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী ছিল সে। সরাইখোয়াজা থানা এলাকার একাধিক অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে। নিহতের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।