কলকাতা: কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা কল্যাণী জে এন এম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গ। এসে পৌঁছল জয়নগরের মৃত নাবালিকার দেহ। AIIMS-এর মেডিক্যাল সুপার অজয় মল্লিক-সহ একজন চিকিৎসক ঢুকেছেন মর্গের ভিতরে। AIIMS-এর চিকিৎসকরাও যান ভিতরে মর্গের গেটের বাইরে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য আছেন বিজেপির কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। আইএসএফ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে মর্গের গেটের বাইরে। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই-ও বিক্ষোভে শামিল। গাড়ি থেকে দেহ নামানোর সময়েও স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের।
আরও পড়ুন- ৩৬ ঘণ্টা পার জুনিয়র ডাক্তারদের ‘আমরণ অনশন’! স্বচ্ছতা বজায় রাখতে লাইভ স্ট্রিমিং
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জয়নগরে মৃত শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত হবে কল্যাণী এমসে। মোমিনপুরের কাঁটাপুকুর মর্গ থেকে সোমবার সকালেই দেহ নিয়ে গাড়ি রওনা দেয় কল্যাণীর উদ্দেশে। পৌনে ১০টা নাগাদ সেই গাড়ি কল্যাণীতে পৌঁছেছে। তবে জয়নগর এখনও থমথমে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তার মাঝেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা চলছে। জয়নগরের মহিষমারি বাজারে সোমবার সকালে অনেক দোকানপাটই খুলে গিয়েছে। কেনাবেচাও চলছে ধীর লয়ে। তবে রাস্তায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সংখ্যক পুলিশ ঘোরাফেরা করছে। দফায় দফায় টহল দিচ্ছে পুলিশের গাড়ি। এলাকায় রয়েছে পুলিশ পিকেট।
আরও পড়ুন- এই গান গাইতে গিয়ে গলা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল সোনু নিগমের! ২৭ বছর পরেও তা সুপারহিট!
শুক্রবার রাতে কুলতলির কৃপাখালির হালদার পাড়া এলাকার একটি ক্ষেতের আলের ভিতর থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়৷ সন্ধে থেকে নিখোঁজ ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কুলতলি৷ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ভাঙচুর করে স্থানীয় মহিষমারি পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা৷ স্থানীয়দের আরও ক্ষোভের কারণ, বালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর অভিযোগ জানাতে গেলে কোন থানায় অভিযোগ দায়ের হবে, তা নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি শুরু করে কুলতলি এবং জয়নগর থানা৷