অভিযুক্ত সাথে সিআইডির টিম

South 24 Parganas News: কোথায় ফেলা হয়েছে বাংলাদেশের সাংসদের দেহ? কসাইয়ের সাহা‌য্যে উদ্ধারে সিআইডি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা : নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিমের খুনে এবার সামনে এল আরও শিউরে ওঠার মতো তথ্য৷ তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি-র দাবি, দেহ লোপাটের আগে মৃত সাংসদের দেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হয়৷ এর পর মাংস, হাড় ছোট ছোট টুকরো করে তিনটি প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে সম্ভবত ভাঙড়ের পোলেরহাট এলাকায় গিয়ে খালে ফেলে দেওয়া হয়৷ ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকায় বাংলাদেশেরসাংসদের দেহাংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে সিআইডি। অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে চলছে তল্লাশি।

গতকাল রাতেও তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু জিরানগাছা খালে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়ায় দেহাংশ উদ্ধার করতে পারেনি। এবার ভাঙড়ের পোলেরহাট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করে পুলিশ আধিকারিকেরা। অভিযুক্ত যে জায়গা চিহ্নিতকরণ করেছে সেখানেই খালে ডুবুরি নামিয়ে একদিকে যেমন তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে, তারই পাশাপাশি এবার ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ আধিকারিকেরা।

দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযান চালানোর পরে অভিযুক্তকে নিয়ে গাড়ির ভিতরে বসে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিআইডি টিম। রাতে তল্লাশি অভিযান চালানোর মতো উপযুক্ত সরঞ্জাম না থাকায় আপাতত তল্লাশি অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। সকাল থেকে আবার নতুন করে তল্লাশি অভিযান শুরু হবে।

এই কাজে বাংলাদেশ থেকে জিহাদ নামে এক কসাইকে প্রায় দু মাস আগে ভাড়া করে আনা হয়েছিল৷ ঘটনার দিন, আগে থেকেই ওই ফ্ল্যাটে লুকিয়ে ছিল আততায়ীরা৷ বাংলাদেশের সাংসদ ফ্ল্যাটে ঢুকে বাথরুম থেকে বেরনোর পরই প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে ওই সাংসদকে বেহুঁশ করা হয়৷ এর পরই বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্রথমে ভারী বস্তু দিয়ে সাংসদের মাথায় আঘাত করে আততায়ীরা৷ তার পর রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে শুরু হয় দেহ লোপাটের প্রস্তুতি৷