কলকাতা: ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চ সরাতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী জিষ্ণু চৌধুরী। অনশন মঞ্চ রাস্তার উপর না করে একপাশে সরানোর আবেদন জানান তিনি। তবে অনশন মঞ্চের স্থান পরিবর্তন নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এমনকি জনস্বার্থ মামলার অনুমতিও দিল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞনমের মন্তব্য, ‘ডাক্তারদের যাবতীয় ইস্যু সুপ্রিম কোর্ট তদারকি করছে। হাইকোর্টের এই মুহূর্তে হাতে কিছু নেই। এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলা তালিকার বাইরে রেখেছে হাইকোর্ট।’
এদিকে, ৩৬ ঘণ্টা অতিক্রম করল জুনিয়র ডাক্তারেদের অনশন। অনশন মঞ্চে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে লাগানো হলো সিসিটিভি। লাগানো হয়েছে দুটো টিভি, যেগুলিতে ২৪ ঘন্টা লাইভ স্ট্রিমিং-এর ব্যবস্থা থাকবে। যাতে অনশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে, তার জন্য এই উদ্যোগ বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।
বায়ো টয়লেট বসাতে চেয়ে শনিবার রাতেই লালবাজারে ইমেল করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখান থেকে কোনও জবাব আসেনি। অনশন কর্মসূচির অনুমতিও দেয়নি পুলিশ। তা সত্ত্বেও অনশন চলছে। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, অনশনের মাঝে দুর্বল হয়ে পড়লে শৌচাগার ব্যবহার করতে বেশি দূরে যাওয়া সম্ভব হবে না। সেই কারণে অনশনমঞ্চের কাছেই বায়ো টয়লেট প্রয়োজন, সেই মতো বায়ো টয়লেটও ইনস্টল করা হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রথমে ছ’জন অনশন শুরু করেছিলেন। রবিবার রাতে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো রবিবার ধর্মতলায় গিয়ে বাকি ছ’জনের সঙ্গে অনশনে যোগ দেন। বর্তমানে অনশনে রয়েছেন সাত জন। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ এবং নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ দফা দাবি নিয়ে চলছে এই অনশন। এখনও সরকারের সাড়া মেলেনি।