দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নির্যাতিতা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী শেষবার মহিষমারি হাটের এডুকেয়ার মিশনে শুক্রবার পড়তে গিয়েছিল বিকেল পাঁচটার সময়। সেখান থেকে টিউশনি পড়ে ফেরার পথেই নিখোঁজ হয়ে যায় নাবালিকা।
আর এই ঘটনায় কার্যত শনিবার সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে জয়নগরের মহিষামারি হাট এলাকা। পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর কোনওটাই বাদ যায়নি। টিউশন পড়তে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করে পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথেই নিখোঁজ হয়ে যায় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: আপনার মোবাইল নম্বরে ২ সংখ্যাটি কতবার রয়েছে? জীবনে কী প্রভাব সংখ্যাটির জানেন? রইল বিশেষজ্ঞের মতামত
পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পরেও তার খোঁজ মেলেনি। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, নাবালিকার বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাড়ি এই গৃহশিক্ষিকার। প্রথম শ্রেণি থেকেই তাঁর কাছে পড়াশোনা করত ওই নাবালিকা। গৃহশিক্ষিকা প্রতিমা বিশ্বাসের। টিউশন পড়ে যাওয়ার পথে তার সঙ্গে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা মানতে নারাজ তিনি।
আরও পড়ুন: গাছের ২টি পাতা, অযত্নের আগাছা ডায়াবেটিসের ‘মৃত্যুবাণ’! এভাবে খেলেই নামবে ব্লাড সুগার
দোষীদের কড়া শাস্তি চেয়েছেন নাবালিকার গৃহ শিক্ষিকা। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। নির্যাতিতা ছাত্রীর শিক্ষিকা জানান, ‘ও খুব মেধাবী ছিল। আমি তো ভাবতেই পারছি না। এই রকম যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের যেন ফাঁসি হয়। পুলিশ তো কোনও দায়িত্ব নেয়নি। ওর বাবারা যখন মহিষমারি ক্যাম্পে যখন এসেছিল অভিযোগ জমা করতে, তখন ওদের পাঠায় জয়নগরে। তারপর কুলতলি। পুলিশ তো কোনও দায়িত্ব নেয়নি। রাত্রিবেলাই যদি পুলিশ খুঁজত। তাহলে হয়ত বেঁচে থাকত।’
সুমন সাহা