বিয়ের ৪ মাসের মধ্যেই ঘটল অঘটন! প্রিয়জনকে হারালেন রূপাঞ্জনা

Kaliachak – Chapter 1: তৈরি হয়েছিল বিতর্ক; অবশেষে ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘কালিয়াচক চ্যাপ্টার ওয়ান’-এর গ্র্যান্ড প্রিমিয়ার

কলকাতা: আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল টিজার, প্রথম পোস্টার, মিউজিক এবং ট্রেলার। এবার সম্প্রতি হইহই করে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘কালিয়াচক চ্যাপ্টার ওয়ান’-এর গ্র্যান্ড প্রিমিয়ার।

আসলে চক্রান্ত এবং সাসপেন্সের এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনি ‘কালিয়াচক চ্যাপ্টার ওয়ান’। গায়ে কাঁটা দেওয়া সত্য ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত এই কাহিনি মানব প্রকৃতির গভীরতা এবং প্রতিকূলতার মুখে ন্যায়বিচারের জন্য দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামের কথা বলে। সাঁই বাংলা ফিল্মস এবং নয়ন রাজের প্রযোজনায় ‘কালিয়াচক চ্যাপ্টার ওয়ান’ পরিচালনা করছেন রাতুল মুখোপাধ্যায়। অভিনয় করেছেন নবাগত অসীম, রূপাঞ্জনা মিত্র, পার্থসারথি, দেবপ্রসাদ হালদার, দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত (তাজু), প্রতীশ ঘোষ এবং নয়ন রাজ। এর পাশাপাশি দেখা গিয়েছে নবাগতা পূজা সাহা এবং নবাগতা প্রিন্সি প্রিয়া ভৌমিককেও।

আরও পড়ুন- ফল কিনতে গিয়ে আপেল কিংবা কমলালেবুর গায়ে নিশ্চয়ই সাঁটানো স্টিকার লক্ষ্য করেছেন? এর অর্থ ঠিক কী? ৯৯ শতাংশ মানুষই জানেন না

ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন অতনু তনুজ ঘোষ। ক্যামেরা টিমে রয়েছেন রোহান পল, গ্যাম্বি অরবিন্দ ও সায়ন মুখোপাধ্যায়। ছবিটি সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন অভিষেক মণ্ডল। ছবিটির গান গেয়েছেন রাজ বর্মন, সুপ্রতীপ ভট্টাচার্য এবং নয়ন রাজ। ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা ফিল্মস।

‘কালিয়াচক চ্যাপ্টার ওয়ান’-এর বিষয়বস্তু বেশ অন্য ধরনের। আসলে যুগের পর যুগ ধরে নারীদের সম্মানকে ধূলিসাৎ করে কুকীর্তির ঘৃণ্য ব্যবসা করে আসছেন কিছু শ্রেণীর মানুষ। আর এমনই এক কাহিনির প্রেক্ষাপটে রয়েছেন আসিক আহমেদ। মালদহের অভ্যন্তরে কালিয়াচক নামে এক শান্ত অথচ রহস্যময় গ্রামে বাস করেন তিনি। খোলা আকাশের মতো বিশাল স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চান এই উজ্জ্বল ছাত্রটি। অথচ আপাতদৃষ্টিতে সহজ-সরল জীবনের নিচে লুকিয়ে থাকে প্রতারণা এবং হতাশার এক অন্ধকার জগৎ। ছেলেটির মধ্যবিত্ত বেকার জীবন কেটে যায় টাকা শোধ করতে আর প্রত্যাখ্যাত প্রেমের প্রতিশোধ নিতেই।

আরও পড়ুন– অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! মঙ্গলবার থেকে আরও বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে

 

তাঁদের ছয় জনের পরিবার। কিন্তু পরিবারটি আদৌ সুখী কি না, তা বোঝা দায়। কারণ পারিবারিক ব্যবসা চোরাই অস্ত্র এবং মোবাইল পাচারকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে। এ হেন উপার্জনের টাকায় সমৃদ্ধি আসে ঠিকই, কিন্তু সুখ কি আদৌ আসে! এই অন্ধকারময় জগতে আসিকের নিজের বাবা-দাদার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঘৃণ্য ভাবে তলিয়ে যায় তাঁর ছোট বোনটি। অথচ এই বোনটিই ছিল আসিকের সবথেকে কাছের। রাগে-ক্ষোভে জর্জরিত হয়ে ব্যক্তিগত ও মর্মান্তিক কিছু ঘটনাচক্রে জড়িয়ে পড়েন আসিক। অপরাধের ছায়ায় কলঙ্কিত হয়ে যায় তাঁর এক সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ। পারিবারিক কলহ এবং অপূর্ণ সম্ভাবনার শ্বাসরুদ্ধকর চাপের সঙ্গে চলতে থাকে লড়াই। ধ্বংসাত্মক কাজের পরে আসিকের এক সময়ের সরল জীবন বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। মিথ্যার জালে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এভাবে রোমহর্ষক রহস্যে মোড়া কাহিনি এগোতেই আসিক নিজেকে ঝড়ের কেন্দ্রে আবিষ্কার করেন। আসিক কি অতীতের মুখোমুখি হতে বাধ্য হবেন? সত্যিই কি আইনের চোখে শাস্তি অনিবার্য হবে? তাঁর পরিবারের মর্মান্তিক মৃত্যুর পিছনে থাকা সত্যের উদ্ঘাটন কি হবে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে দেখতেই হবে ‘কালিয়াচক চ্যাপ্টার ওয়ান’।