জ্যোতিষকাহন, বীরভূম Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যার পুণ্য তিথি, মা সেজে উঠেছেন নতুন বস্ত্র, গা ভরা গয়নায়, মায়ের ভোগে তাঁরই পছন্দের সব আইটেম Gallery September 2, 2024 Bangla Digital Desk : আজ কৌশিকী অমাবস্যা। তারাপীঠ এর সব থেকে বড় এবং মেগা উৎসব। আর অমাবস্যা উপলক্ষে সকাল থেকে সাজো সাজো রব তারাপীঠ মন্দিরে।গোটা তারাপীঠ চত্বরকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।বিভিন্ন ধরনের আলোক সজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা মন্দির চত্বর। সকাল বেলায় মা তারার মঙ্গল আরতির পরে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মা তারার গর্ভ গৃহের মন্দির।আর আমাবস্যা উপলক্ষে মা তারাকে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যায় মায়ের একবার মধ্যাহ্ন ভোগ হয় আর একবার নিশিথে ভোগ হয়।মধ্যাহ্ন ভোগে রয়েছে পোলাও, অন্ন, পাঁচ রকম ভাজা, খিচুড়ি, নানান ধরনের তরিতরকারি বলির মাংস,ও শোল মাছ পোড়া। যেহেতু এটা তন্ত্রপীঠ তাই মাছ রাখা হয়, কারণবারি থাকে, সেই মত মাকে তন্ত্রমতে পুজো করা হয়, আর সেইজন্য এই জিনিসগুলি লাগে। এই সমস্ত জিনিস দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হয়।সন্ধ্যায় মাকে লুচি, সুজি, পায়েস, নানা রকম মিষ্টান্ন-ভাজা দিয়ে শীতল ভোগ দেওয়া হয়।রাতে খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হয় এবং মন্দিরের ভেতর যে পাঁঠা বলি দেওয়া হয়, সেই বলির পাঁঠার মাংস মাকে ভোগ দেওয়া হয়।’ প্রত্যেক বছর এই নিয়মেই মাকে ভোগ নিবেদন করা হয় বলে জানান মন্দির সভাপতি। তবে মায়ের প্রধান ভোগ বসিয়ে খাওয়া হয় না এই সময়, বলে জানিয়েছেন তারাময় মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, এখানে সেবায়তদের মাধ্যমে ভোগ দেওয়া হয়।মন্দির কমিটিও ভোগ দেওয়ার কাজ করে, এছাড়া মায়ের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। তবে এই দু’দিন বসে মানুষ ভোগ খেতে পারেন না, হাতেই প্রসাদ গ্রহণ করেন।আর যাঁরা মাকে এই সময় ভোগ দিতে চান সেই প্রক্রিয়া টা কী? এ বিষয়ে মন্দির সভাপতি জানান, মাকে ভোগ দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ ও ভক্তরা সেবায়তদের সঙ্গেই যোগাযোগ করেন।যে যতজনকে খাওয়াবেন ও ভোগ দেবেন সেই অনুযায়ী খরচ।বলতে গেলে মায়ের ভোগ অনুযায়ী খরচ হয়। ভক্তরা তাঁদের সাধ্যমতভোগ নিবেদন করতে পারেন, তাই খরচও সেই অনুযায়ী হয়। Input- Souvik Roy