পাখি

Tourist Spot: সবুজের মাঝে টলটলে নদীর জলে দেশবিদেশের পাখির আনাগোনা, পুজোর ছুটিতে চট করে ঘুরে আসুন ‘এই’ জায়গায়

জলপাইগুড়ি: পুজোর মরশুমে পাখিদের ভিড় উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যৈর মাত্রা বাড়াতে পুজোর আগেই হাজির দেশি-বিদেশি পাখিরা। তিস্তা-করলার টলটলে স্বচ্ছ জলে ডানা ঝাপটে আনন্দের আমেজে পাখির দল। এখন থেকেই সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের ভিড় শুরু ডুয়ার্সে।

জলপাইগুড়ি জেলা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিস্তা, করলা, লিস, ঘিস্, পাঙ্গা, যমুনা, জলঢাকা নদী-সহ চা বাগানের সবুজ গালিচা। বহু নদীবেষ্টিত এই জলপাইগুড়ির অন্যতম একটি নদীর নাম করলা, যার বর্ণনা সন্ন্যাসী বিদ্রোহের পটভূমিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনবদ্য সৃষ্টি ‘দেবী চৌধুরানী’, ভবানী পাঠকের কাহিনিতে বারবার উঠে এসেছে। শহরের বুক চিরে বয়ে চলা এই করলা নদীর আরেক নাম জলপাইগুড়ির টেমস। সেই স্থানীয় টেমস নদীর টলটলে জলে পুজো আসতেই ভিড় জমায় দেশি-বিদেশি পাখির দল, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

আরও পড়ুন: বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে হঠাৎ ধস! দুমড়ে-মুচড়ে গেল লোহার কাঠামো…একাধিক পুণ্যার্থীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দেশি পাখির মধ্যে সারালি, দোচারা-সহ পানকৌড়ি পাখির অবাধে নদীর জলে ভেসে যাওয়া বাড়িয়ে তুলেছে করলা নদীর সৌন্দর্য। এছাড়াও দেখা মেলে সুদূর ইউরোপ থেকে তিস্তা এবং করলা নদীর পাড়ে আসা ব্ল্যাক হুইল্ড বাজা, হ্যারিয়ার-সহ নানা নাম-না-জানা পাখি। এরা চিল প্রজাতির পাখি বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, ড: রাজা রাউত বলেন, ”করলা নদী এই অঞ্চলের অন্যতম একটি নদী যেখানে দেশি-বিদেশি পাখিরা এসে ভিড় জমায়। বিদেশি পাখিরা মূলত খাদ্যের খোঁজেই এখানেই উড়ে আসে।” এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ”যেহেতু অবৈজ্ঞানিক উপায়ে হলেও তিস্তা, এবং করলা নদী ঘেঁষে চাষবাস হয়, ফলে সেখানে ইঁদুরের সংখ্যা বেশি থাকে সবসময়ই। বর্ষায় নদীতে জন্মানো ব্যাঙ তো রয়েইছে। মূলত এই ধরনের খাদ্যের খোঁজেই এখানে পাড়ি জমায় এই পাখির দল। সব মিলিয়ে খাদ্যের খোঁজে এলেও পুজোর মরশুমে দ্বিগুণ সৌন্দর্য বাড়ে তিস্তা-করলার।

সুরজিৎ দে