জিওল মাছ (ছবি সৌজন্য - ইন্টারনেট)

Healthy Lifestyle: বাজারে দেখলে নাক সিঁটকোন? সব রোগের যম, এই সস্তার মাছ… পুষ্টিগুণে ঠাসা! রক্তাল্পতায় এর গুণ মারাত্মক

কোচবিহার: অসুখ-বিসুখ ও রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীদের প্রায়ই জিওল মাছ খেতে বলা হয়। প্রোটিনের উৎস হিসেবে জিওল মাছের কোনও বিকল্প মাছ হয় না। এমন নয় যে রোগীরাই এই মাছ খাবেন। সুস্থ মানুষেরাও খেতে পারেন এই মাছগুলি।

চিকিৎসক অর্ণব নিয়োগী জানান, শিঙি মাছে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদানের পরিমাণ রয়েছে অনেকটাই বেশি। তাই প্রাচীনকাল থেকেই রক্তশূন্যতার রোগীদের এই মাছ খেতে বলা হয়। এটি হাড়ের ঘনত্বও বাড়ায়। শিঙি মাছের তুলনায় মাগুর মাছে আয়রন ও ক্যালসিয়াম সামান্য কিছুটা কম থাকে। তবে সুস্বাদু বলে এর কদর বেশি। সুস্বাদু শোল মাছ মানবদেহের হাড় ও মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া রুচিও বাড়াতেও সাহায্য করে। অনেকেই টাকি মাছের ভর্তা খেয়ে থাকেন। এতেও প্রটিন আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম রয়েছে বেশ অনেকটা পরিমাণে। তাই শারীরিক অসুস্থতায় জিওল মাছের অপার গুণ৷

তিনি আরও জানান, শরীরের রক্তাল্পতা দূর করে শরীর সুস্থ রাখে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই জিওল মাছের পাতলা করে ঝোল করে খেতে পারেন।ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে বলেই জিওল মাছ শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। মাছের বাজারে কম বেশি প্রায় প্রতিদিনই এই জিওল মাছ গুলি বিক্রি হয়ে থাকে৷ তবে বাজারে এই মাছ গুলি বেশ দামেই বিক্রি হয়ে থাকে। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য এই মাছ ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম খাওয়া ভাল। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তারা যতটুকু খেতে পারে সেটুকু খাবে।