খোপি দাঁড়া 

Khopidara-Sandakphu : সান্দাকফুর পাদদেশে রয়েছে ছোট্ট এই গ্রাম! মাত্র ১৫০০ টাকায় থাকা-খাওয়া সব! জানুন বিস্তারিত

দার্জিলিং: মেঘ, পাইন আর কাঞ্চনজঙ্ঘা নিয়ে খোপিদাঁড়া। পাইনের বনের কোলে দাঁড়িয়ে মেঘেদের দেশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ রয়েছে খোপিদাঁড়াতে। সম্ভবত খোপিদাঁড়াই সবচেয়ে নিচু পর্যটন কেন্দ্র যেখান থেকে স্লিপিং বুদ্ধার অবয়ব স্পষ্ট দেখা যায় । একই সঙ্গে এক ফ্রেমে দার্জিলিং এর পাহাড় থেকে শুরু করে সিকিমের পাহাড় দেখার সুযোগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফুর পাদদেশে অবস্থিত ছোট্ট এই গ্রাম খোপিদাঁড়া।

প্রত্যেক পাহাড় প্রেমী মানুষেরা ছুটি পেলেই ছুটে আসে পাহাড়ে। শান্ত শীতল আবহাওয়ায় যেন নিমিষেই মন ভরে যায়। রাতের অন্ধকারে টিমটিম করে জ্বলতে থাকা পাহাড়ি গ্রামের আলোগুলি যেন জোনাকির মত ধরা দেয় চোখে আর যারা পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোয় মুড়ে থাকা পাহাড় যেন এক বাড়তি পাওনা।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ত্বক, চুলের সমস্যা-সহ বহু রোগের মহা-ওষুধ পেয়ারা পাতা

বর্তমানে এ শহরের কোলাহল ছেড়ে সকলেই চায় নিরিবিলিতে একটু সময় কাটাতে। আপনিও যদি আপনার ব্যস্ততম জীবন থেকে বিরতি নিয়ে নিরিবিলিতে পাহাড়ের কোলে শান্ত শীতল পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে চান তাহলে আপনার জন্য সেরা ঠিকানা হতে চলেছে খোপিদাঁড়া।

সান্দাকফুর গেটওয়ে মানেভঞ্জন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই খোপিদাঁড়া গ্রাম। এই ছোট্ট গ্রামের মধ্যেই রয়েছে টোটোলা হোমস্টে। ঘরোয়া পরিবেশে এই হোমস্টেতে থেকেই আপনি দার্জিলিং থেকে শুরু করে সিকিমের পাহাড়ের মজা নিতে পারবেন। পাশাপাশি সান্দাকফু ট্রেক যদি আপনার স্বপ্ন হয়ে থাকে তাহলে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। এই হোমস্টেতে থাকলে জনপ্রতি ১৫০০ টাকা খরচা করে আপনি পেয়ে যাবেন তিন বেলার খাবার। গ্রামের মধ্যেই চাষ করা বিভিন্ন অর্গানিক শাকসবজি দিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু খাবার।

আরও পড়ুন: চোখের সামনে তৈরি হবে আম, গন্ধরাজ লেবু, তরমুজ ফ্লেভারের বিয়ার! খেতে হলে চলে আসুন এই ঠিকানায়

তাই আর দেরি না করে আপনিও যদি পাহাড় ভ্রমণের কথা ভাবছেন তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসুন চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা অসম্ভব সুন্দর এই খোপিদাঁড়া গ্রাম থেকে।সান্দাকফুর পাদদেশে অবস্থিত এই গ্রামের হাতের নাগালেই রয়েছে সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যান। যেই পথ ধরে আপনি হেরিটেজ ল্যান্ড রোভার অথবা পায়ে হেঁটে সান্দাকফু ভ্রমণের মজা নিতে পারবেন। এখানে আসতে হলে রিজার্ভ গাড়ি করে আপনারা এখানে চলে আসতে পারেন খুব সহজে। অথবা শেয়ার গাড়িতেও আপনারা এখানে আসতে পারেন।

অনির্বাণ রায়