গুজরাত টাইটান্স – ১৫৬/৯
#মুম্বই: গত একটা বছর সময়টা কঠিন গিয়েছে তার। অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে, অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে। ভারতীয় নির্বাচকদের নজর ছিল এই আইপিএলে তিনি কেমন পারফর্ম করেন। হার্দিক পান্ডিয়াকে ধরে রাখেনি প্রাক্তন দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। গুজরাত টাইটান্স দলের অধিনায়ক হিসেবে তার কাছে এবারের আইপিএল নিজেকে প্রমাণ করার একটা মঞ্চ ছিল। সেভাবেই নিজেকে তৈরি রেখেছিলেন হার্দিক সেটা প্রমাণ করে চলেছেন।
রান করছেন, উইকেট নিয়েছেন, ফিন্ডিং করে উইকেট তুলছেন। আজ কেকেআরের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। শুভমন গিল তাড়াতাড়ি ফিরে গেলেও তিন নম্বরে এসে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকেন হার্দিক। প্রথম দিকে একটু দেখে নিলেন। তারপর আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করতে থাকলেন। কিছুটা তাকে সাহায্য করলেন ঋদ্ধিমান এবং ডেভিড মিলার।
হার্দিক পান্ডিয়া এদিন টার্গেট করে নেমেছিলেন শেষ পর্যন্ত ব্যাট করবেন। কারণ তিনি দলের অধিনায়ক। যতটা বেশি সম্ভব রান দোলা ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। তিনি যতক্ষণ রইলেন চাপ বাড়তে থাকল নাইট রাইডার্স দলের। উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিনদের বুদ্ধি করে খেললেন। অন্যদিকে সুযোগ পেলেই ডেভিড মিলার বড় শট মারতে শুরু করেন।
দুটি উইকেট পড়ার পর আর উইকেট ফেলতে পারছিল না কেকেআর। তবে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার চেষ্টা করছিলেন ফিল্ডিং বদল করে চাপ সৃষ্টি করতে। আজ হার্দিক পান্ডিয়া দেখিয়ে দিলেন শুধু রান করা নয়, অধিনায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব নিতে তৈরি। এত টাকা খরচ করে তাকে নেওয়া হয়েছে, সেটা সুদে-আসলে পুষিয়ে দিচ্ছেন গুজরাত অধিনায়ক। এদিন ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে বোলারদের জন্য উইকেটে সেভাবে কিছুই সাহায্য ছিল না।
ANDRE OP ho jaaye in the replies!?#KKRHaiTaiyaar #KKRvGT #IPL2022
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 23, 2022
পুরোটাই ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। মাভির বলে ২৭ করে আউট হলেন ডেভিড মিলার। শেষ পর্যন্ত সাউদির বলে রিঙ্কু সিং এর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন হার্দিক (৬৭)। এদিন প্যাট কামিন্সকে বসিয়ে নিউজিল্যান্ডের সাউদিকে ফিরিয়েছিল কেকেআর। তিনটি উইকেট নিয়ে ভরসার মর্যাদা দিলেন কিউই পেসার। ফিরিয়ে দিলেন রশিদ খানকে।
এই ধরনের উইকেটে কিভাবে বল করতে হয় দেখালেন অভিজ্ঞ সাউদি। সুইং, গতির হেরফের এবং মুভমেন্ট দিয়ে গুজরাত ব্যাটসম্যানদের বড় শট খেলতে দিলেন না। রাসেল ফিরিয়ে দিলেন লকি ফার্গুসনকে। তার আগের বলেই আউট করেছিলেন অভিনবকে। ফের আউট করলেন তেওয়াতিয়াকে। পরের বলেই কট অ্যান্ড বোল্ড করলেন দয়ালকে। এক ওভারে চারটি উইকেট নিলেন রাসেল।